ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

২২ দেশে ছড়িয়েছে অমিক্রন, ৭০ দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

  • আপডেট সময় : ০২:০০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন এ পর্যন্ত ২২ দেশে ছড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সৌদি আরবে শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ২২ দেশে ছড়িয়ে পড়ল করোনার নতুন এই ধরন।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, অমিক্রন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায়। এরপর আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নাইজেরিয়া।
নতুন ধরন ছড়ানো শুরুর পর থেকে আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বিভিন্ন দেশ। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এই রেজিমেন্টের বিস্তার ঠেকাতে কমপক্ষে ৭০টি দেশ ও অঞ্চল আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনার নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগ থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) করোনার নতুন এ ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এই ধরন প্রসঙ্গে আফ্রিকার সেন্টার ফল এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও টি আলজেরিয়া বলেন, অস্বাভাবিকভাবে এটি রূপান্তরিত হয়েছে এবং অন্য যেকোনো ধরন থেকে এটি আলাদা। তিনি বলেন, ‘এই ধরন আমাদের হতবাক করেছে।’ টি আলজেরিয়া বলেন, সব মিলে ৫০ বারের মতো জিনবিন্যাস পরিবর্তিত হয়ে নতুন অমিক্রন ধরন রূপ পেয়েছে। আর এর স্পাইক প্রোটিনের বৈশিষ্ট্য বদলেছে ৩০ বারের বেশি।
ওমিক্রন ঠেকাতে ‘অন্ধের’ মতো পদক্ষেপ নয়: ডব্লিউএইচও : মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ কতটা ভয়াবহ তা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য অস্থির না হয়ে শান্তভাবে পদক্ষেপ নিতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্ল্উিইচও)। ‘অন্ধের’ মতো নেওয়া পদক্ষেপ অসমতাকে বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার এই আহ্বান জানান ডব্লিউএইচওর প্রধান। ওমিক্রন প্রতিরোধে শান্ত থাকতে এবং যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়ে টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস এক ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা সদস্যভুক্ত সব দেশের প্রতি যৌক্তিক ও আনুপাতিক ঝুঁকি হ্রাসমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বৈশ্বিক পদক্ষেপ হতে হবে অবশ্যই শান্ত, সমন্বিত ও সুসংগত। এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে শনাক্ত হওয়া এই ধরন সম্পর্কে ডব্ল্উিইচওকে অবহিত করা হয়েছিল। বিভিন্ন মহাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্কতা ব্যক্ত করে বলেন, যেসব দেশে প্রথম এই ধরন শনাক্ত হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে সেসব দেশে নজরদারি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন এই ধরন কতটা বিপদজনক হতে পারে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে করোনার যে ধরনটি সম্পর্কে আমরা এখনো পুরোপুরি জানতে পারিনি তা থেকে নিজ দেশের নাগরিককে রক্ষার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশ। টেডরস বলেন, কিন্তু আমি একইসঙ্গে কিছু দেশের অন্ধের মতো পদক্ষেপ নেওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এসব পদক্ষেপ প্রমাণভিত্তিক নয়। এসব পদক্ষেপ কেবল অসমতাকেই বাড়িয়ে তুলবে।
অসুস্থ ও ষাটোর্ধ্বদের ভ্রমণ স্থগিতের পরামর্শ ডব্লিউএইচওর : ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাজনিত জটিলতার ঝুঁকিতে থাকা সব মানুষকে আপাতত বিদেশভ্রমণ স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনার নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার সংস্থার এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডব্লিউএইচওর ভ্রমণ নির্দেশনায় বলা হয়, ‘যাঁরা শারীরিকভাবে অসুস্থ, যাঁদের কোভিড-১৯–সংক্রান্ত মারাত্মক জটিলতায় ভোগার ও মারা যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের উচিত ভ্রমণ স্থগিত রাখা। পাশাপাশি ৬০ বছর কিংবা এর বেশি বয়সী কিংবা হৃদ্রোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও একই পরামর্শ দেওয়া হলো।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২২ দেশে ছড়িয়েছে অমিক্রন, ৭০ দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০২:০০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন এ পর্যন্ত ২২ দেশে ছড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সৌদি আরবে শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ২২ দেশে ছড়িয়ে পড়ল করোনার নতুন এই ধরন।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, অমিক্রন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায়। এরপর আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নাইজেরিয়া।
নতুন ধরন ছড়ানো শুরুর পর থেকে আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বিভিন্ন দেশ। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এই রেজিমেন্টের বিস্তার ঠেকাতে কমপক্ষে ৭০টি দেশ ও অঞ্চল আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনার নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগ থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) করোনার নতুন এ ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। এই ধরন প্রসঙ্গে আফ্রিকার সেন্টার ফল এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও টি আলজেরিয়া বলেন, অস্বাভাবিকভাবে এটি রূপান্তরিত হয়েছে এবং অন্য যেকোনো ধরন থেকে এটি আলাদা। তিনি বলেন, ‘এই ধরন আমাদের হতবাক করেছে।’ টি আলজেরিয়া বলেন, সব মিলে ৫০ বারের মতো জিনবিন্যাস পরিবর্তিত হয়ে নতুন অমিক্রন ধরন রূপ পেয়েছে। আর এর স্পাইক প্রোটিনের বৈশিষ্ট্য বদলেছে ৩০ বারের বেশি।
ওমিক্রন ঠেকাতে ‘অন্ধের’ মতো পদক্ষেপ নয়: ডব্লিউএইচও : মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ কতটা ভয়াবহ তা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য অস্থির না হয়ে শান্তভাবে পদক্ষেপ নিতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্ল্উিইচও)। ‘অন্ধের’ মতো নেওয়া পদক্ষেপ অসমতাকে বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার এই আহ্বান জানান ডব্লিউএইচওর প্রধান। ওমিক্রন প্রতিরোধে শান্ত থাকতে এবং যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়ে টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস এক ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা সদস্যভুক্ত সব দেশের প্রতি যৌক্তিক ও আনুপাতিক ঝুঁকি হ্রাসমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বৈশ্বিক পদক্ষেপ হতে হবে অবশ্যই শান্ত, সমন্বিত ও সুসংগত। এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে শনাক্ত হওয়া এই ধরন সম্পর্কে ডব্ল্উিইচওকে অবহিত করা হয়েছিল। বিভিন্ন মহাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্কতা ব্যক্ত করে বলেন, যেসব দেশে প্রথম এই ধরন শনাক্ত হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে সেসব দেশে নজরদারি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন এই ধরন কতটা বিপদজনক হতে পারে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে করোনার যে ধরনটি সম্পর্কে আমরা এখনো পুরোপুরি জানতে পারিনি তা থেকে নিজ দেশের নাগরিককে রক্ষার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশ। টেডরস বলেন, কিন্তু আমি একইসঙ্গে কিছু দেশের অন্ধের মতো পদক্ষেপ নেওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এসব পদক্ষেপ প্রমাণভিত্তিক নয়। এসব পদক্ষেপ কেবল অসমতাকেই বাড়িয়ে তুলবে।
অসুস্থ ও ষাটোর্ধ্বদের ভ্রমণ স্থগিতের পরামর্শ ডব্লিউএইচওর : ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাজনিত জটিলতার ঝুঁকিতে থাকা সব মানুষকে আপাতত বিদেশভ্রমণ স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনার নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার সংস্থার এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডব্লিউএইচওর ভ্রমণ নির্দেশনায় বলা হয়, ‘যাঁরা শারীরিকভাবে অসুস্থ, যাঁদের কোভিড-১৯–সংক্রান্ত মারাত্মক জটিলতায় ভোগার ও মারা যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের উচিত ভ্রমণ স্থগিত রাখা। পাশাপাশি ৬০ বছর কিংবা এর বেশি বয়সী কিংবা হৃদ্রোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও একই পরামর্শ দেওয়া হলো।’