আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টেকে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এএসসি) শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগকালে ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে। শুধু তা-ই না। প্রায় ৯ হাজার পদে প্রার্থীদের উত্তরপত্র ও নম্বরের তালিকা বিকৃত করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর আদালতে শুনানির সময় সিবিআই এ তালিকা দেয়। তদন্তের জন্য গড়া বিশেষ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) প্রধান অশ্বিন সেনভি এদিন আদালতে দাবি করেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত দুর্নীতিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্ট দুর্নীতির আওতা থেকে বাদ যায়নি। শুধু তা-ই নয়, ৯ হাজারের বেশি প্রার্থীর উত্তরপত্র ও মার্কশিট জাল করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সিবিআইর সিট প্রধানের এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বসু নড়েচড়ে বসেন। মন্তব্য করেন, ‘আমি তো অবাক হচ্ছি। দুর্নীতিতে যুক্ত এমন কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।’ এরপর তিনি মন্তব্য করেন, ‘তদন্তে সব রকম সাহায্য করবেন আদালত। এই দুর্নীতির শেষ দেখা জরুরি।’ বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, ‘কাদা সরিয়ে জলটা স্বচ্ছ করুন।’
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এ কথাও বলেন, ‘অপরাধে যুক্ত থাকলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। আদালত এই তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।’ তারপরে বলেন, ‘কাদা সরিয়ে পানি পরিষ্কার করুন।’ এর আগে স্কুলশিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অভিযোগ উঠলে গ্রেপ্তার হন তৎকালীন এই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এখন কারাগারে। গ্রেপ্তার হয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্মকর্তাসহ বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত ম-ল সেই সঙ্গে বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাসহ তৃণমূলের নেতা।
২১ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতি : সিবিআই
জনপ্রিয় সংবাদ