ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

২১ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া শিশুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে

  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: মাত্র ২১ সপ্তাহ বা ৫ মাসের কিছু বেশি সময় মায়ের গর্ভে থাকার পরই পৃথিবীর আলো দেখল এক শিশু। জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ১০ আউন্স (২৮৩ গ্রাম)। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে এমন ঘটনা। শুধু তা-ই নয়, এক বছর বয়স হতেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছে সে!

শিশুটির নাম নাশ কিন। ২০২৪ সালের ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়ায় তার জন্ম। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৩৩ দিন অর্থাৎ প্রায় ১৯ সপ্তাহ আগেই পৃথিবীতে চলে আসে সে। জন্মের পরই কিনকে আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট ফ্যামিলি চিলড্রেনস হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে টানা ছয় মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে মা মলি কিন ও বাবা র‌্যান্ডাল কিনের সঙ্গে বাসায় ফিরেছে শিশুটি।

চলতি জুলাইয়ে কিনের প্রথম জন্মদিন উদ্যাপন করেছে পরিবার। আর জন্মদিনের সঙ্গেই এসেছে আরেকটি বড় স্বীকৃতি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। ২০২০ সালে আলাবামায় জন্ম নেওয়া এক শিশুর আগের রেকর্ড ভেঙে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে সবচেয়ে কম বয়সে জন্মানো জীবিত শিশুর খেতাব এখন নাশ কিনের দখলে!

চিকিৎসকেরা সাধারণত ২২ সপ্তাহের আগে জন্মানো শিশুর জন্য জীবনরক্ষামূলক চিকিৎসা দেন না। কারণ, তখন টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। অবশ্য কিনের ব্যাপারে চিকিৎসকেরা আশাবাদী। তাঁরা বলছেন, সাধারণত অপরিণত শিশুদের যেসব শারীরিক ও বিকাশগত জটিলতা দেখা যায়, তার অনেকটাই আশাজনকভাবে পেরোতে পারছে কিন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মালিন্ডা শ্যাফার বলেন, কিনের জন্ম মা ও নবজাতক–সংক্রান্ত চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তবে কিনের লড়াই শেষ হয়নি। এক বছরের একটু বেশি বয়সী কিনকে এখনো শ্বাস নিতে অক্সিজেনের সাহায্য নিতে হয়, খেতে হয় ফিডিং টিউবের মাধ্যমে। তবে এখন ধীরে ধীরে মুখে নরম খাবার দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

কিনের হৃৎপি-েও হালকা সমস্যা আছে। তবে চিকিৎসকদের ধারণা, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটিও ঠিক হয়ে যাবে। কিন এখন নিজে নিজে গড়াগড়ি দিতে পারে। তার মা বলেন, ‘সে এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখার চেষ্টা করছে, এটা দারুণ ব্যাপার।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

২১ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া শিশুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে

আপডেট সময় : ০৬:৩২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মাত্র ২১ সপ্তাহ বা ৫ মাসের কিছু বেশি সময় মায়ের গর্ভে থাকার পরই পৃথিবীর আলো দেখল এক শিশু। জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ১০ আউন্স (২৮৩ গ্রাম)। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে এমন ঘটনা। শুধু তা-ই নয়, এক বছর বয়স হতেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছে সে!

শিশুটির নাম নাশ কিন। ২০২৪ সালের ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়ায় তার জন্ম। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৩৩ দিন অর্থাৎ প্রায় ১৯ সপ্তাহ আগেই পৃথিবীতে চলে আসে সে। জন্মের পরই কিনকে আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট ফ্যামিলি চিলড্রেনস হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে টানা ছয় মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে মা মলি কিন ও বাবা র‌্যান্ডাল কিনের সঙ্গে বাসায় ফিরেছে শিশুটি।

চলতি জুলাইয়ে কিনের প্রথম জন্মদিন উদ্যাপন করেছে পরিবার। আর জন্মদিনের সঙ্গেই এসেছে আরেকটি বড় স্বীকৃতি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। ২০২০ সালে আলাবামায় জন্ম নেওয়া এক শিশুর আগের রেকর্ড ভেঙে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে সবচেয়ে কম বয়সে জন্মানো জীবিত শিশুর খেতাব এখন নাশ কিনের দখলে!

চিকিৎসকেরা সাধারণত ২২ সপ্তাহের আগে জন্মানো শিশুর জন্য জীবনরক্ষামূলক চিকিৎসা দেন না। কারণ, তখন টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। অবশ্য কিনের ব্যাপারে চিকিৎসকেরা আশাবাদী। তাঁরা বলছেন, সাধারণত অপরিণত শিশুদের যেসব শারীরিক ও বিকাশগত জটিলতা দেখা যায়, তার অনেকটাই আশাজনকভাবে পেরোতে পারছে কিন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মালিন্ডা শ্যাফার বলেন, কিনের জন্ম মা ও নবজাতক–সংক্রান্ত চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তবে কিনের লড়াই শেষ হয়নি। এক বছরের একটু বেশি বয়সী কিনকে এখনো শ্বাস নিতে অক্সিজেনের সাহায্য নিতে হয়, খেতে হয় ফিডিং টিউবের মাধ্যমে। তবে এখন ধীরে ধীরে মুখে নরম খাবার দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

কিনের হৃৎপি-েও হালকা সমস্যা আছে। তবে চিকিৎসকদের ধারণা, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটিও ঠিক হয়ে যাবে। কিন এখন নিজে নিজে গড়াগড়ি দিতে পারে। তার মা বলেন, ‘সে এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখার চেষ্টা করছে, এটা দারুণ ব্যাপার।’