নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের আকাশে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় ঈদুল আজহা। খ্রিস্টাব্দের হিসাবে আগামী ২১ জুলাই দেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শুরু হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভা শেষে জানানো হয়, ১৪৪২ হিজরির জিলহজ মাসের চাঁদ গিয়েছে। ত্যাগের মহিমায় সারা বিশ্বের মুসলমানের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতবারের মতো এবারও করোনা পরিস্থিতিতে ভিন্ন বাস্তবতায় পালিত হবে ঈদ। পশুর হাটে যাওয়ার পরিবর্তে অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে উৎসাহিত করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার সারাদেশে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি করুণ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। শুধু শহর নয়, গ্রামেও ছড়িয়েছে করোনা। ফলে এবার ঈদের সময়ও কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই থাকতে হবে।
নবী ইবরাহিম (আ.), তার স্ত্রী হাজেরা ও ছেলে ইসমাঈলের ত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মানুষ পশু কোরবানি দেয়। কোরআনে আল্লাহ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল মালের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্য জমিন হতে বের করেছি তার অংশ ব্যয় কর’ (বাকারাহ, ২৬৭)। এ কোরবানি শুধু পশু কোরবানি নয়, নিজের পশুত্ব, ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, হীনতা, অহংকারকেও কোরবানি করা।