ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে পাওনাদারকে পুড়িয়ে হত্যা

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • ১৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৮ মে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যবসায়ী আহসান হাবিব। এর আগের দিন তাকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাভারের দোকান থেকে পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে বাসা থেকে বের হন আহসান হাবিব। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে ঘটনা তদন্তে নেমে নুরন নবী ওরফে রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। হাবিবের পাওনা ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তার শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে রনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
সিআইডির হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, প্রধান আসামি নুরুন নবী ওরফে রনি, মো. হাসান আহমেদ, জাহিদ হোসেন ও রঞ্জু। তিনি বলেন, সাভার থেকে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর আহসান হাবিব নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। নিহত ব্যক্তি ৭ মে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন অর্থ্যাৎ ৮ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহসান হাবিব মারা যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আহসান হাবিবের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় তার শ্যালক জাকারিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। সোমবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি মো. নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, নুরুন নবীর সঙ্গে নিহত ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। রনির কাছে হাবিব ২০ লাখ টাকা পেতেন। সেই বিরোধের জের ধরে রনি তার আরও তিনজন সহযোগী নিয়ে ব্যবসায়ী আহসান হাবিবকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাতের পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, যে বাসায় ব্যবসায়ী হাবিবের শরীরে আগুন দেয়া হয় সেই বাসাটি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেয় রনি। ১ জুন এ বাসায় তার দুজন কর্মচারী থাকবে বলে বাড়ির মালিককে জানায় সে। তিনি আরো বলেন, ভাড়া দেয়ার পর রুমটি তালাবদ্ধ ছিলো। রনি কোনো এক সময়ে এই ব্যবসায়ীকে নিয়ে বাসায় ঢুকে তাকে হত্যার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তালা মেরে পালিয়ে যায়৷ এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবাইকে আজ গাজীপুর জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে পাওনাদারকে পুড়িয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ০১:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৮ মে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যবসায়ী আহসান হাবিব। এর আগের দিন তাকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাভারের দোকান থেকে পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে বাসা থেকে বের হন আহসান হাবিব। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে ঘটনা তদন্তে নেমে নুরন নবী ওরফে রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। হাবিবের পাওনা ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তার শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে রনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
সিআইডির হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, প্রধান আসামি নুরুন নবী ওরফে রনি, মো. হাসান আহমেদ, জাহিদ হোসেন ও রঞ্জু। তিনি বলেন, সাভার থেকে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর আহসান হাবিব নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। নিহত ব্যক্তি ৭ মে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন অর্থ্যাৎ ৮ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহসান হাবিব মারা যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আহসান হাবিবের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় তার শ্যালক জাকারিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। সোমবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি মো. নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, নুরুন নবীর সঙ্গে নিহত ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। রনির কাছে হাবিব ২০ লাখ টাকা পেতেন। সেই বিরোধের জের ধরে রনি তার আরও তিনজন সহযোগী নিয়ে ব্যবসায়ী আহসান হাবিবকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাতের পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, যে বাসায় ব্যবসায়ী হাবিবের শরীরে আগুন দেয়া হয় সেই বাসাটি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেয় রনি। ১ জুন এ বাসায় তার দুজন কর্মচারী থাকবে বলে বাড়ির মালিককে জানায় সে। তিনি আরো বলেন, ভাড়া দেয়ার পর রুমটি তালাবদ্ধ ছিলো। রনি কোনো এক সময়ে এই ব্যবসায়ীকে নিয়ে বাসায় ঢুকে তাকে হত্যার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তালা মেরে পালিয়ে যায়৷ এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবাইকে আজ গাজীপুর জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।