ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জনে গুণগত শিল্পায়নে দ্রুত এগুচ্ছে দেশ: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা। এ লক্ষ্য অর্জনে গুণগত শিল্পায়নের পথে দেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘দেশীয় শিল্প কারখানায় বর্তমানে বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব শিল্পপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। এর ফলে আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে এবং জনগণের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ অর্জনেও আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। এ ধারা অব্যাহত রেখে আমরা অচিরেই শিল্পায়নের কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষেক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে এসব বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৩’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সব অংশীজন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: সাপোর্টিং দ্যা ফিউচার অব গে¬াবাল ট্রেড’- বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাণিজ্য সম্পর্ক আস্থার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। সরবরাহ শৃংখলের প্রতি পর্যায়ে পণ্য ও সেবার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এ আস্থা অর্জিত হয়। এজন্য প্রয়োজন গুণগত মান ব্যবস্থাপনা, পরিমাপ, পরীক্ষণ এবং অ্যাক্রেডিটেশনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় মান অবকাঠামো, যা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিংবা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। কাজেই জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের অভিযাত্রা জোরদার এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বিএবি জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী দিনেও ইতিবাচক অবদান রাখবে। তিনি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৩’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জনে গুণগত শিল্পায়নে দ্রুত এগুচ্ছে দেশ: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা। এ লক্ষ্য অর্জনে গুণগত শিল্পায়নের পথে দেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘দেশীয় শিল্প কারখানায় বর্তমানে বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব শিল্পপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। এর ফলে আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে এবং জনগণের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ অর্জনেও আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। এ ধারা অব্যাহত রেখে আমরা অচিরেই শিল্পায়নের কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষেক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে এসব বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৩’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সব অংশীজন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: সাপোর্টিং দ্যা ফিউচার অব গে¬াবাল ট্রেড’- বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাণিজ্য সম্পর্ক আস্থার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। সরবরাহ শৃংখলের প্রতি পর্যায়ে পণ্য ও সেবার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এ আস্থা অর্জিত হয়। এজন্য প্রয়োজন গুণগত মান ব্যবস্থাপনা, পরিমাপ, পরীক্ষণ এবং অ্যাক্রেডিটেশনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় মান অবকাঠামো, যা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিংবা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। কাজেই জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের অভিযাত্রা জোরদার এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বিএবি জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী দিনেও ইতিবাচক অবদান রাখবে। তিনি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৩’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।