ক্রীড়া ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের পর ভারত জাতীয় দলের সঙ্গে ভিরাট কোহলি ও রোহিত শার্মার সংযোগ এখন কেবল ওয়ানডে ক্রিকেটে। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আগেই।
সেই পর্যন্ত আদৌ কি থাকবেন বা টিকবেন তারা? ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট সুনিল গাভাস্কার অন্তত তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর এই সংস্করণে জাতীয় দলকে বিদায় জানান কোহলি ও রোহিত।
গত সপ্তাহে টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দেন রোহিত। এর পাঁচ দিন পর সোমবার একই ঘোষণা দেন কোহলিও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন শুধু ওয়ানডেতেই দেখা যাবে তাদের।
টেস্টে ক্রিকেটে সবশেষ কয়েকটি সিরিজে এই দুজন ভালো করতে না পারলেও ওয়ানডেতে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন খুব একটা নেই। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দেন রোহিত।
টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচগুলোয় বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও শিরোপা লড়াইয়ে ৮৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে দলকে ভালো শুরু এনে দেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগের ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচে খেলেন ৯০ বলে ১১৯ রানের ইনিংস। কোহলিকে তো বলা হয় ওয়ানডের ‘রাজা।’
এই সংস্করণের সবচেয়ে বেশি ৫১টি সেঞ্চুরি তার। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয়ের পথে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরি ও সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস উপহার দেন তিনি।
পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ না থাকলেও আগামী বিশ্বকাপের জন্য দল গুছিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা ভাবলে, তাদের নিয়ে সংশয় আছে বটে। ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে হবে বিশ্বকাপ। ততদিনে রোহিতের বয়স হবে ৪০ বছর, কোহলির হবে ৩৮।
‘স্পোর্টস টুডে’তে আলাপে সোমবার সাবেক ব্যাটসম্যান গাভাস্কার বলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে এই দুজনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। “এই সংস্করণে তারা অসাধারণ পারফর্মার। আবার নির্বাচক কমিটি হয়তো ২০২৭ বিশ্বকাপের দিকে নজর রাখবে।
দেখবে, ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য তারা দলে থাকতে পারবে কি-না। যে ধরনের অবদান তারা এতদিন রেখে আসছে, তখনও কি তেমনটা পারবে? এটাই হবে নির্বাচক কমিটির চিন্তাভাবনা। যদি নির্বাচক কমিটি মনে করে ‘হ্যাঁ, তারা পারবে’, তাহলে তারা দুজনই সেখানে থাকবে।”
এরপরই গাভাস্কার বলেন, সম্ভাবনা কমই দেখছেন তিনি। “না, আমার মনে হয় না তারা খেলবে।
আমার সত্যিই তাই মনে হয়। কিন্তু কে জানে, আগামী বছর বা তারপরেও যদি তারা ফর্ম ধরে রাখে, যদি তারা শতকের পর শতক করতে থাকে, তাহলে এমনকি ঈশ্বরও তাদের বাদ দিতে পারবেন না।”