ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

২০২৬ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি ডব্লিউএইচও থেকে তাঁর দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেন
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি ডব্লিউএইচও থেকে তাঁর দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেনছবি: রয়টার্স
২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটি।

চিঠি পাওয়ার পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নোটিশ অনুযায়ী, দেশটি ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডব্লিউএইচও ছাড়বে।

ডব্লিউএইচও থেকে কোনো সদস্য দেশ বেরিয়ে যেতে চাইলে এক বছরের নোটিশ দিতে হয়। এ ছাড়া ডব্লিউএইচওর কোনো পাওনা থাকলে তা–ও পরিশোধ করতে হয়।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি ডব্লিউএইচও থেকে তাঁর দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে নির্বাহী আদেশে সই করেন। ভবিষ্যতে সংস্থাটিতে মার্কিন সরকারের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক গতকাল বলেন, ট্রাম্পের গত সোমবারের ঘোষণার পর সদস্যপদ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ডব্লিউএইচও থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠির তারিখ ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি। নিয়ম অনুসারে, এক বছর পর ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের নোটিশ কার্যকর হবে।

ট্রাম্প তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর পাশাপাশি মার্কিন সরকারের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো অর্থ, সহায়তা বা সম্পদ ডব্লিউএইচওকে দেওয়া না হয়।

ডব্লিউএইচওর সঙ্গে কাজ করা মার্কিন সরকারের সব কর্মী প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মহামারি মোকাবিলায় ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক চুক্তির আলোচনায় মার্কিন সরকারের কর্মীদের অংশ নিতে বারণ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
এখন পর্যন্ত ডব্লিউএইচওর সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তাকারী সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশ।

ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সংস্থাটি তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তাকারীকে হারাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যক্ষ্মা, এইচআইভি/এইডসসহ বৈশ্বিক মহামারির মতো বড় স্বাস্থ্যগত সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএইচওর সক্ষমতার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি প্রভাব ফেলবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০২৬ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি ডব্লিউএইচও থেকে তাঁর দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেন
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি ডব্লিউএইচও থেকে তাঁর দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেনছবি: রয়টার্স
২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটি।

চিঠি পাওয়ার পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নোটিশ অনুযায়ী, দেশটি ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডব্লিউএইচও ছাড়বে।

ডব্লিউএইচও থেকে কোনো সদস্য দেশ বেরিয়ে যেতে চাইলে এক বছরের নোটিশ দিতে হয়। এ ছাড়া ডব্লিউএইচওর কোনো পাওনা থাকলে তা–ও পরিশোধ করতে হয়।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি ডব্লিউএইচও থেকে তাঁর দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে নির্বাহী আদেশে সই করেন। ভবিষ্যতে সংস্থাটিতে মার্কিন সরকারের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক গতকাল বলেন, ট্রাম্পের গত সোমবারের ঘোষণার পর সদস্যপদ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ডব্লিউএইচও থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠির তারিখ ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি। নিয়ম অনুসারে, এক বছর পর ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের নোটিশ কার্যকর হবে।

ট্রাম্প তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর পাশাপাশি মার্কিন সরকারের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো অর্থ, সহায়তা বা সম্পদ ডব্লিউএইচওকে দেওয়া না হয়।

ডব্লিউএইচওর সঙ্গে কাজ করা মার্কিন সরকারের সব কর্মী প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মহামারি মোকাবিলায় ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক চুক্তির আলোচনায় মার্কিন সরকারের কর্মীদের অংশ নিতে বারণ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
এখন পর্যন্ত ডব্লিউএইচওর সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তাকারী সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশ।

ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সংস্থাটি তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তাকারীকে হারাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যক্ষ্মা, এইচআইভি/এইডসসহ বৈশ্বিক মহামারির মতো বড় স্বাস্থ্যগত সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএইচওর সক্ষমতার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি প্রভাব ফেলবে।