প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনা মহামারির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০২৫ সালে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বিশ্ব অর্থনীতি। বৈশ্বিক মন্দাকে এড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সফলতা দেখিয়েছি বিশ্ব। ফলে ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার কমাতে সক্ষম হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের স্টক বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফোর্বস জানিয়েছে, এটি বিশ্বের ধনীদের জন্য একটি ভালো বছর। এটা ভলো খবর হওয়ার কথা থাকলেও হতাশ সাধারণ নাগরিকরা। কারণ তুলনামূলকভাবে মূল্যস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৫ সাল অনেকের জন্য আরও কঠিন হতে পারে। হোয়াইটা হাউজে এসে ট্রাম্প যদি আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন তাহলে ফের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
ফলে দেশে দেশে বেড়ে যেতে পারে মূল্যস্ফীতি অথবা অর্থনৈতিক ধীর গতি কিংবা এক সঙ্গে দুটোই। বাড়তে পারে বেকারত্ব। মধ্যপ্রাচ্য-ইউক্রেনে যুদ্ধ, জার্মানি ও ফ্রান্সের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং চীনের অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন সংকটকে আরও গভীর করতে পারে। জলবায়ু ক্ষতির খরচ নিয়ে উদ্বেগ আছে বহু দেশে। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দুই দশকের মধ্যে দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ অবস্থায় আছে। করোনা পরবর্তী পুনরুদ্ধারে এসব দেশ ব্যর্থ হয়েছে। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড ইসিবির বছরের চূড়ান্ত বৈঠকের পরে জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ব্যাপক অনিশ্চয়তা থাকবে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি যদি কার্যকর করা হয় তাহলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি আমদানির ওপর ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
মন পরিস্থিতিতে প্রতিশোধমূলত পদক্ষেপ নিতে পারে ভুক্তভোগীদেশগুলো। আর একটি চ্যালেঞ্জিং ইস্যু হলো শক্তিশালী ডলার। যা অনেক দেশের জন্যই খারাপ খবর। সম্প্রতি বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধও বড় মাথা ব্যথার কারণ। এতে জ্বালানি খরচের চাপ আরও বাড়তে পারে। সূত্র: রয়টার্স