নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সবখাত থেকে শিশুশ্রম নিরসনে পরিদর্শন কার্যক্রম আরও জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার সাভারে ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর’ আয়োজিত ‘স্ট্রেন্দেনিং লেবার ইন্সপেকশন টু কমবেট চাইল্ড লেবার’ শীর্ষক এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডাইফ) মহাপরিদর্শক এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কর্মকর্তারা।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। কর্মক্ষেত্রে শিশুশ্রমকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। শোভন কর্মপরিবেশ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা পেতে চাই। এজন্য দুর্ঘটনা ও শিশুশ্রমমুক্ত কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে ডাইফের পরিদর্শকদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দিক-নির্দেশনায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় এর মধ্যে আট শিল্পকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সবধরনের শিশুশ্রমের অবসান ঘটাতে এরই মধ্যে বিভিন্নখাত থেকে শিশুশ্রম নির্মূল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে ডাইফ। বর্তমানে এক বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি আমরা। এসময় শিশুশ্রম নিরসনে ডাইফের পরিদর্শকদের দক্ষভাবে শ্রম পরিদর্শনের আহ্বান জানান তিনি। কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দায়িত্বে নিয়োজিত আইএলওয়ের টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট ইনসাফ নিজাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. গোলাম মো. ফারুক, আইএলও বাংলাদেশের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসার জর্জ ফেলার এবং অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপারসন মো. মাহবুবুল হক প্রমুখ।
২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে সরকার
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ