ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

২০২৫ নাগাদ আড়াইশ উড়ুক্কু ট্যাক্সি বানাবে আর্চার

  • আপডেট সময় : ১০:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ২০২৫ সালের মধ্যে আড়াইশ ব্যাটারি চালিত উড়ুক্কু ট্যাক্সি তৈরির লক্ষ্য স্থির করেছে মার্কিন স্টার্টআপ আর্চার এভিয়েশন। ২০২৪ সাল নাগাদ এই উড়ুক্কু যানের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রত্যায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরবর্তী বছরগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর কথাও বলছে কোম্পানিটি।
“আমরা প্রথম বছরে আড়াইশ, দ্বিতীয় বছরে পাঁচশ, তৃতীয় বছরে সাড়ে ছয়শ ও পরবর্তীতে, উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে বার্ষিক প্রায় দুই হাজার উড়ুক্কু যান তৈরি করব।” –রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন কোম্পানির সিইও অ্যাডাম গোল্ডস্টাইন। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ, পাইলটসহ পাঁচ আসন বিশিষ্ট ‘মিডনাইট’ উড়ুক্কু যানটি প্রত্যয়িত করার লক্ষ্যস্থির করেছে আর্চার। তবে, মার্কিন ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফএফএ) এখনও এইসব ভবিষ্যৎবান্ধব উড়ুক্কু যান সংশ্লিষ্ট নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত করেনি। “আমাদের অনুমান বলছে, উড়ুক্কু যান উৎপাদনের বেলায় আর্চার মডেল ২০২৫ সালের মধ্যে ২০টি ইউনিট তৈরি করবে।” –বলেছেন জেপি মরগ্যানের বিশ্লেষক বিল পিটারসন।
“আমরা এর সম্ভাবনা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবো না। তবে, এটি পুরোপুরি প্রস্তুত হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। কারণ, এক বছরেরও বেশি সময় আগে এইসব কোম্পানি তাদের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যে উন্নয়নের খাড়া গ্রাফ দেখিয়েছিল, ততোটা বাস্তবে হবে না।”
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এই বছর আর্চারের শেয়ারমূল্য কমেছে ৫৪ শতাংশ। একবার প্রত্যয়িত হলে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপটির ‘ইলেকট্রিক ভার্টিকাল টেইক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটল)’ শ্রেণিভূক্ত এই উড়ুক্কু যান বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে ‘জবি এভিয়েশন’ ও ‘ভার্টিকাল অ্যারোস্পেস’-এর মতো বিভিন্ন শহুরে উড়ুক্কু পরিবহনের সঙ্গে।
নতুন এই খাতে টয়োটা মোটর কর্পোরেশন ও ডেল্টা এয়ার লাইনসের মতো হেভিওয়েটরা এলেও, এখনও প্রত্যয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে আছে আকাশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যাটারি প্রযুক্তি উন্নত করার মতো বিষয়গুলো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০২৫ নাগাদ আড়াইশ উড়ুক্কু ট্যাক্সি বানাবে আর্চার

আপডেট সময় : ১০:১১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : ২০২৫ সালের মধ্যে আড়াইশ ব্যাটারি চালিত উড়ুক্কু ট্যাক্সি তৈরির লক্ষ্য স্থির করেছে মার্কিন স্টার্টআপ আর্চার এভিয়েশন। ২০২৪ সাল নাগাদ এই উড়ুক্কু যানের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রত্যায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরবর্তী বছরগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর কথাও বলছে কোম্পানিটি।
“আমরা প্রথম বছরে আড়াইশ, দ্বিতীয় বছরে পাঁচশ, তৃতীয় বছরে সাড়ে ছয়শ ও পরবর্তীতে, উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে বার্ষিক প্রায় দুই হাজার উড়ুক্কু যান তৈরি করব।” –রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন কোম্পানির সিইও অ্যাডাম গোল্ডস্টাইন। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ, পাইলটসহ পাঁচ আসন বিশিষ্ট ‘মিডনাইট’ উড়ুক্কু যানটি প্রত্যয়িত করার লক্ষ্যস্থির করেছে আর্চার। তবে, মার্কিন ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফএফএ) এখনও এইসব ভবিষ্যৎবান্ধব উড়ুক্কু যান সংশ্লিষ্ট নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত করেনি। “আমাদের অনুমান বলছে, উড়ুক্কু যান উৎপাদনের বেলায় আর্চার মডেল ২০২৫ সালের মধ্যে ২০টি ইউনিট তৈরি করবে।” –বলেছেন জেপি মরগ্যানের বিশ্লেষক বিল পিটারসন।
“আমরা এর সম্ভাবনা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবো না। তবে, এটি পুরোপুরি প্রস্তুত হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। কারণ, এক বছরেরও বেশি সময় আগে এইসব কোম্পানি তাদের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যে উন্নয়নের খাড়া গ্রাফ দেখিয়েছিল, ততোটা বাস্তবে হবে না।”
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এই বছর আর্চারের শেয়ারমূল্য কমেছে ৫৪ শতাংশ। একবার প্রত্যয়িত হলে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপটির ‘ইলেকট্রিক ভার্টিকাল টেইক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটল)’ শ্রেণিভূক্ত এই উড়ুক্কু যান বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে ‘জবি এভিয়েশন’ ও ‘ভার্টিকাল অ্যারোস্পেস’-এর মতো বিভিন্ন শহুরে উড়ুক্কু পরিবহনের সঙ্গে।
নতুন এই খাতে টয়োটা মোটর কর্পোরেশন ও ডেল্টা এয়ার লাইনসের মতো হেভিওয়েটরা এলেও, এখনও প্রত্যয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে আছে আকাশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যাটারি প্রযুক্তি উন্নত করার মতো বিষয়গুলো।