বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআইচালিত বিভিন্ন চ্যাটবটে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যয় বিশ্বজুড়ে ২০২৪ সালে তিনগুণ হয়েছে বলে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে।
ডিজিটাল ইকোনমি ডেটা কোম্পানি ‘সেন্সর টাওয়ার’-এর বার্ষিক ‘স্টেট অফ মোবাইল’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন-অ্যাপে কেনাকাটা ও এআই চ্যাটবট অ্যাপের সাবস্ক্রিপশনে গ্রাহকদের ব্যয় পৌঁছেছে একশ ১০ কোটি ডলারে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত বছর বিভিন্ন এআই চ্যাটবট অ্যাপের ওপর সবচেয়ে বেশি আগ্রহ বেড়েছে গ্রাহকদের। এসব এআই অ্যাপে ৭৭০ কোটি ঘণ্টা ব্যয় করেছেন তারা; যেখানে ‘এআই’ উল্লেখ করা বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে ১ হাজার ৭০০কোটি বার।
গুগলের ‘জেমিনাই’-এর মতো বিভিন্ন এআই মডেল প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র অ্যাপ হিসেবে চালুর কারণে ২০২৪ সালে জেনারেটিভ এআই চ্যাটবট আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। ফলে চ্যাটজিপিটিকে আরও উন্নত করে এর পরিসর বাড়ায় নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআই। এছাড়া মোবাইল ডিভাইসে সহজলভ্য হয়ে ওঠে অন্যান্য বেশ কয়েকটি অ্যাপ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই বাদে ইন-অ্যাপে কেনাকাটা ও সাবস্ক্রিপশনে গ্রাহকদের ব্যয় বিশ্বজুড়ে ১৫ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে; যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি।
এ তালিকায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরাও পিছিয়ে নেই, চার লাখ ২০ হাজার কোটি ঘণ্টা সময় ফোনে ব্যবহার করেছেন তারা, যা আগের একই সময়ের তুলনায় ৫.৮ শতাংশ বেশি।
২০২৪ সালে অ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা কিছুটা কমে ১৩ হাজার ছয়শ কোটিতে দাঁড়িয়েছে; যা আগের বছরের তুলনায় ১ শতাংশ কম।
‘সেন্সর টাওয়ার’-এর প্রধান নির্বাহী অলিভার ইয়েহ বলেছেন, “বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ গ্রাহকের মনোযোগ কেড়ে চলেছে, বিশেষ করে গেইমিংয়ের বাইরে যেসব অ্যাপ রয়েছে সেগুলো। তার ভাষায়- মোবাইলে বেশি সময় ব্যয় করার কারণে নিজেদের ডিভাইসের মাধ্যমেই কেনাকাটা করতে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন গ্রাহকরা। এই বাড়তি মনোযোগকে পুঁজি করে নিজেদের সুবিধা তুলে নেওয়ার জন্য কৌশল বদলেছে বিভিন্ন অ্যাপ কোম্পানি। ফলে গ্রাহকদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে সহজ ও উন্নত করতে নানা উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে বের করেছে তারা। সামনে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আশা করবো, আরও অ্যাপ এআই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং এতে প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অভিনব ও সৃজনশীল উপায় খুঁজে বের করবে।