ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

২০২৪-এর আগে আর ‘চাঙ্গা হবে না’ বিটকয়েন

  • আপডেট সময় : ১০:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তি বাজারে আবির্ভাবের পর থেকে গেল বছরে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল বিটকয়েনের, এক পর্যায়ে ৬৮ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল প্রতিটি বিটকয়েনের দাম। কিন্তু বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রিপ্টো মুদ্রাটির দামে আবারো এমন উর্ধ্বমুখী আচরণের জন্য বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষা করতে হতে পারে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
২০২৪ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে বিটকয়েন বাজার আবারো ‘বুল মার্কেট’ দেখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জগুলোর একটি ‘হুওবি’র প্রধান ডু জুন। ক্রিপ্টো মুদ্রার বাজারে বিটকয়েনের দামের এই ওঠা-নামা ‘হাফিং’ নামের একটি প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত এবং এটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে ‘বুল মার্কেট’ বা ষাঁড়ের বাজার কথাটির মানে হলো বাজারের এমন অবস্থা যেখানে দাম বাড়তে থাকে শেয়ারের, আরো বেশি শেয়ার কিনতে উদ্বুদ্ধ হন বিনিয়োগকারীরা। আর এর বিপরীত পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘বেয়ার মার্কেট’ বা ‘ভালুকের বাজার’।
অন্যদিকে ‘হাফিং’ প্রক্রিয়াটির সঙ্গে বিটকয়েন নেটওয়ার্কের মাইনারদের সংশ্লিষ্টতাই বেশি। বিশেষায়িত ও শক্তিশালী কম্পিউটারে জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে বিটকয়েনের নেটওয়ার্কে সংগঠিত লেনদেন যাচাই করেন মাইনাররা; পুরস্কার হিসেবে পান বিটকয়েন। আর বিটকয়েনের মূল কোডেই লেখা আছে ‘হাফিং’ বিষয়টি। ক্রিপ্টোকারেন্সি নেটওয়ার্কে লেনদেন যাচাই করার জন্য পুরস্কার হিসেবে মাইনাররা যে বিটকয়েন পান তা অর্ধেক করে ফেলে এই প্রক্রিয়াটি। প্রায় চার বছর পর পর ঘটে এই ‘হাফিং’-এর ঘটনা।
বিটকয়েন নেটওয়ার্কে শেষবার ‘হাফিং’ হয়েছিল ২০২০ সালের মে মাসে। আর ২০২১ সালে এসে সর্বোচ্চ মূল্যের মাইলফলক ছুঁয়েছিল বিটকয়েন। ৬৮ হাজার ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে প্রতিটি বিটকয়েন। এর আগের ‘হাফিং’-এর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালে। পরের বছরই আকাশচুম্বি হারে বিটকয়েনের দাম বেড়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রকাশনা সিএনবিসি।
তবে, এ প্রসঙ্গে ‘হুওবি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডু জুন বলছেন, “এই বিষয়ে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন কারণ আরো অনেক বিষয় আছে যা বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে– যেমন যুদ্ধের মতো ভূরাজনৈতিক বিষয় বা সাম্প্রতিক কোভিড মহামারী।”
২০১৭ এবং ২০২১ সালে বিটকয়েনের দাম বাড়লেও দু’বারই অল্প সময় বাদেই দাম পড়তে শুরু করে ক্রিপ্টো মুদ্রাটির। বর্তমানে বিটকয়েনের দাম এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামের ৪০ শতাংশে নেমে স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছে সিএনবিসি। পরের ‘হাফিং’ ইভেন্ট হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে। “এই চক্র যদি চলতে থাকে তবে ‘বেয়ার মার্কেট’-এর শুরুর দিকে আছি আমরা,” বলেছেন ডু জুন। “এই চক্র অনুসরণ করলে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে বিটকয়েনের বুল মার্কেটের প্রত্যাশা করতে পারি আমরা।” সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্রিপ্টো মুদ্রার দাম কমতে থাকায় এই খাতের বিনিয়োগকারীদের অনেকেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছে সিএনবিসি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০২৪-এর আগে আর ‘চাঙ্গা হবে না’ বিটকয়েন

আপডেট সময় : ১০:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তি বাজারে আবির্ভাবের পর থেকে গেল বছরে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল বিটকয়েনের, এক পর্যায়ে ৬৮ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল প্রতিটি বিটকয়েনের দাম। কিন্তু বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রিপ্টো মুদ্রাটির দামে আবারো এমন উর্ধ্বমুখী আচরণের জন্য বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষা করতে হতে পারে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
২০২৪ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে বিটকয়েন বাজার আবারো ‘বুল মার্কেট’ দেখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জগুলোর একটি ‘হুওবি’র প্রধান ডু জুন। ক্রিপ্টো মুদ্রার বাজারে বিটকয়েনের দামের এই ওঠা-নামা ‘হাফিং’ নামের একটি প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত এবং এটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে ‘বুল মার্কেট’ বা ষাঁড়ের বাজার কথাটির মানে হলো বাজারের এমন অবস্থা যেখানে দাম বাড়তে থাকে শেয়ারের, আরো বেশি শেয়ার কিনতে উদ্বুদ্ধ হন বিনিয়োগকারীরা। আর এর বিপরীত পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘বেয়ার মার্কেট’ বা ‘ভালুকের বাজার’।
অন্যদিকে ‘হাফিং’ প্রক্রিয়াটির সঙ্গে বিটকয়েন নেটওয়ার্কের মাইনারদের সংশ্লিষ্টতাই বেশি। বিশেষায়িত ও শক্তিশালী কম্পিউটারে জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে বিটকয়েনের নেটওয়ার্কে সংগঠিত লেনদেন যাচাই করেন মাইনাররা; পুরস্কার হিসেবে পান বিটকয়েন। আর বিটকয়েনের মূল কোডেই লেখা আছে ‘হাফিং’ বিষয়টি। ক্রিপ্টোকারেন্সি নেটওয়ার্কে লেনদেন যাচাই করার জন্য পুরস্কার হিসেবে মাইনাররা যে বিটকয়েন পান তা অর্ধেক করে ফেলে এই প্রক্রিয়াটি। প্রায় চার বছর পর পর ঘটে এই ‘হাফিং’-এর ঘটনা।
বিটকয়েন নেটওয়ার্কে শেষবার ‘হাফিং’ হয়েছিল ২০২০ সালের মে মাসে। আর ২০২১ সালে এসে সর্বোচ্চ মূল্যের মাইলফলক ছুঁয়েছিল বিটকয়েন। ৬৮ হাজার ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে প্রতিটি বিটকয়েন। এর আগের ‘হাফিং’-এর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালে। পরের বছরই আকাশচুম্বি হারে বিটকয়েনের দাম বেড়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রকাশনা সিএনবিসি।
তবে, এ প্রসঙ্গে ‘হুওবি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডু জুন বলছেন, “এই বিষয়ে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন কারণ আরো অনেক বিষয় আছে যা বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে– যেমন যুদ্ধের মতো ভূরাজনৈতিক বিষয় বা সাম্প্রতিক কোভিড মহামারী।”
২০১৭ এবং ২০২১ সালে বিটকয়েনের দাম বাড়লেও দু’বারই অল্প সময় বাদেই দাম পড়তে শুরু করে ক্রিপ্টো মুদ্রাটির। বর্তমানে বিটকয়েনের দাম এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামের ৪০ শতাংশে নেমে স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছে সিএনবিসি। পরের ‘হাফিং’ ইভেন্ট হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে। “এই চক্র যদি চলতে থাকে তবে ‘বেয়ার মার্কেট’-এর শুরুর দিকে আছি আমরা,” বলেছেন ডু জুন। “এই চক্র অনুসরণ করলে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে বিটকয়েনের বুল মার্কেটের প্রত্যাশা করতে পারি আমরা।” সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্রিপ্টো মুদ্রার দাম কমতে থাকায় এই খাতের বিনিয়োগকারীদের অনেকেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছে সিএনবিসি।