ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা

  • আপডেট সময় : ০১:৫২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। রাববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪২তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলার জট তৈরি হয়েছে। এটা নতুন করে তৈরি হয়েছে তা নয়, অতীতের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এ জট নিরসন করতে হবে। ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রাণ। বিচার বিভাগের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিচারকদের দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ প্রথমবারের মতো এ ইন্সটিটিউটে একইসঙ্গে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা সম্ভব হলো। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। তিনি যোগ করেন, মামলাজট কমানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে ১১৫২ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও বিচারক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোন পদ শূন্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পূরণ করা হচ্ছে। কাভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব বদলে গেছে এবং এখন প্রতিনিয়ত বিশ্ব বদলে যাবে। তার সঙ্গে তাল মিলাতে দেশকেও বদলাতে হবে। বাংলাদেশ বদলে গেলে বিচারকদেরও বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বদলাতে হবে। আনিসুল হক বলেন, আজকে বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরনো বাংলাদেশ কিন্তু আর নেই। যেখানে ২১ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি-না সে বিষয়ে মানুষের যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। সেই সংস্কৃতি বদলে গেছে। এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে বিচারপ্রাপ্তির সংস্কৃতিতে এসেছি। সেজন্য বিচারকদের প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা দুটোই বেড়েছে। এই প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা ধরে রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হলেন বিচারকরা। বিচারকরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করলে আদালতের প্রতি জনগণের আশা ও আস্থা বাড়বে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা

আপডেট সময় : ০১:৫২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। রাববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪২তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রায় ৩৭ লাখ মামলার জট তৈরি হয়েছে। এটা নতুন করে তৈরি হয়েছে তা নয়, অতীতের পুঞ্জীভূত সমস্যা। এ জট নিরসন করতে হবে। ২০২২ সালে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিচারকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রাণ। বিচার বিভাগের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিচারকদের দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ প্রথমবারের মতো এ ইন্সটিটিউটে একইসঙ্গে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা সম্ভব হলো। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে। তিনি যোগ করেন, মামলাজট কমানোর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে ১১৫২ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও বিচারক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোন পদ শূন্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পূরণ করা হচ্ছে। কাভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব বদলে গেছে এবং এখন প্রতিনিয়ত বিশ্ব বদলে যাবে। তার সঙ্গে তাল মিলাতে দেশকেও বদলাতে হবে। বাংলাদেশ বদলে গেলে বিচারকদেরও বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বদলাতে হবে। আনিসুল হক বলেন, আজকে বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পুরনো বাংলাদেশ কিন্তু আর নেই। যেখানে ২১ বছর বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল। অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি-না সে বিষয়ে মানুষের যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। সেই সংস্কৃতি বদলে গেছে। এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে বিচারপ্রাপ্তির সংস্কৃতিতে এসেছি। সেজন্য বিচারকদের প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা দুটোই বেড়েছে। এই প্রয়োজনীয়তা এবং মর্যাদা ধরে রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হলেন বিচারকরা। বিচারকরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করলে আদালতের প্রতি জনগণের আশা ও আস্থা বাড়বে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।