ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

২০২২ সালেও করোনা মহামারি চলতে পারে : ডব্লিউএইচও

  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মহামারি ২০২২ সালেও চলতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। করোনা মহামারি দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কার পেছনে দরিদ্র দেশগুলোর প্রয়োজনীয়সংখ্যক টিকা না পাওয়ার বিষয়টি সামনে এনেছে ডব্লিউএইচও।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রুস আইলওয়ার্ড বলেছেন, দরিদ্র দেশগুলোর প্রয়োজনীয়সংখ্যক টিকা না পাওয়ার অর্থ হলো, করোনা সংকট অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘায়িত হবে। অর্থাৎ করোনা মহামারি ২০২২ সালেও গভীরভাবে বিদ্যমান থাকতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিকা মহাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশেরও কমসংখ্যক মানুষ এখন পর্যন্ত করোনার টিকা পেয়েছেন। সে তুলনায় অন্যান্য মহাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরিদ্র দেশগুলোতে ধীর গতিতে টিকা সরবরাহের অর্থ করোনা মহামারি দীর্ঘস্থায়ী হওয়া। টিকার অভাবে থাকা দেশগুলোতে ইতিমধ্যে এক কোটির বেশি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি মোট ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো যাতে করোনার টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে নি¤œ আয়ের দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে পারে, সে জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রুস আইলওয়ার্ড।
ব্রুস আইলওয়ার্ড বলেন, জি-৭-এর মতো শীর্ষ সম্মেলনে ধনী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাদানের বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিল। তাই এখন ধনী দেশগুলোর উচিত, নিজেদের টিকার মজুত পর্যালোচনা করে তা দরিদ্র দেশগুলোকে দান করা।
ধনী দেশগুলোকে উদ্দেশ করে ডব্লিউএইচওর এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি যে টিকাদানের ক্ষেত্রে আমরা সঠিক গতি পথে নেই। আমাদের সত্যিই এই কার্যক্রমকে গতিশীল করা দরকার। বিষয়টি আপনারা সবাই জানেন।’
দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাদানের গতি বাড়াতে না পারলে করোনা মহামারির স্থায়িত্বকাল দুর্ভাগ্যজনকভাবে দীর্ঘায়িত হয়ে ২০২২ সালেও চলতে পারে বলে সতর্ক করেন ব্রুস আইলওয়ার্ড।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা টিকার সিংহভাগ উচ্চ আয়ের বা উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে চলে গেছে। বিশ্বব্যাপী করোনার যতসংখ্যক টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, তার মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ পেয়েছে আফ্রিকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

২০২২ সালেও করোনা মহামারি চলতে পারে : ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় : ০৯:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মহামারি ২০২২ সালেও চলতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। করোনা মহামারি দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কার পেছনে দরিদ্র দেশগুলোর প্রয়োজনীয়সংখ্যক টিকা না পাওয়ার বিষয়টি সামনে এনেছে ডব্লিউএইচও।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রুস আইলওয়ার্ড বলেছেন, দরিদ্র দেশগুলোর প্রয়োজনীয়সংখ্যক টিকা না পাওয়ার অর্থ হলো, করোনা সংকট অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘায়িত হবে। অর্থাৎ করোনা মহামারি ২০২২ সালেও গভীরভাবে বিদ্যমান থাকতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিকা মহাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশেরও কমসংখ্যক মানুষ এখন পর্যন্ত করোনার টিকা পেয়েছেন। সে তুলনায় অন্যান্য মহাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরিদ্র দেশগুলোতে ধীর গতিতে টিকা সরবরাহের অর্থ করোনা মহামারি দীর্ঘস্থায়ী হওয়া। টিকার অভাবে থাকা দেশগুলোতে ইতিমধ্যে এক কোটির বেশি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটি মোট ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো যাতে করোনার টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে নি¤œ আয়ের দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে পারে, সে জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রুস আইলওয়ার্ড।
ব্রুস আইলওয়ার্ড বলেন, জি-৭-এর মতো শীর্ষ সম্মেলনে ধনী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাদানের বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিল। তাই এখন ধনী দেশগুলোর উচিত, নিজেদের টিকার মজুত পর্যালোচনা করে তা দরিদ্র দেশগুলোকে দান করা।
ধনী দেশগুলোকে উদ্দেশ করে ডব্লিউএইচওর এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি যে টিকাদানের ক্ষেত্রে আমরা সঠিক গতি পথে নেই। আমাদের সত্যিই এই কার্যক্রমকে গতিশীল করা দরকার। বিষয়টি আপনারা সবাই জানেন।’
দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাদানের গতি বাড়াতে না পারলে করোনা মহামারির স্থায়িত্বকাল দুর্ভাগ্যজনকভাবে দীর্ঘায়িত হয়ে ২০২২ সালেও চলতে পারে বলে সতর্ক করেন ব্রুস আইলওয়ার্ড।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা টিকার সিংহভাগ উচ্চ আয়ের বা উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে চলে গেছে। বিশ্বব্যাপী করোনার যতসংখ্যক টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, তার মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ পেয়েছে আফ্রিকা।