ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

২০২১-২২ অর্থবছর রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাই নতুন বছরে রেমিট্যান্স প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন অর্থমন্ত্রী। এ বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স বাংলাদেশের আর্থসামাজিক এলাকায় বড় ভূমিকা রাখছে। আমরা বৈধ পথেই পুরো রেমিট্যান্স নিয়ে আসতে চাই। সেজন্যই রেমিট্যান্স প্রণোদনা ২ শতাংশ ছিল সেখানে থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে, শনিবার থেকে এটি কার্যকর হবে। আশা করি এই অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন অর্জন হবে।’ রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের যে রেমিট্যান্স অর্জন করার কথা, তার ৪৯ শতাংশ অর্জন করতাম বৈধ পথে আর বাকিটা আসত অবৈধভাবে। এটাকে বৈধ পথে আনলে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং সবাই এটার উপকার পাবে। সেই চিন্তা থেকে প্রথম ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করি। আমাদের গড় রেমিট্যান্স ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার, এই প্রণোদনা দেওয়ার পর প্রথম বছরে রেমিট্যান্স বেড়ে হলো ১৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর আমাদের রেমিট্যান্স আরও বেড়ে যায় এবং ২০২০-২১ সালে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। একদিকে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করেছি এবং পাশাপাশি ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে- যা কাজে লেগেছে বলে মনে করি। কারণ রেমিট্যান্স পাঠাতে একটি খরচ করতে হয় সেটি কাভার করতে পারছে। এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার। সেটা করতে গেলে দেখলাম আমরা যদি প্রণোদনা আরেকটু বাড়িয়ে দেই তাহলে বর্ধিত যে খরচ তারা সেটি কাভার করতে পারবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমদানি বাড়বে, এটা বাড়া ভালো। আমদানি বাড়লে রফতানিও বাড়বে। আমরা যতই রফতানি করি তার বেশির ভাগই আমদানি খাতে চলে যায়। তবুও আমাদের রফতানি বাড়াতে হবে, আমরা সেই কাজটি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কয়েকটি খাতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি। সেখানেও বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়ে থাকি। এগুলোর মূল কথাটা হলো একটু সাহায্য-সহযোগিতা করা। আমাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের টাকা যারা যেখান থেকে অর্জন করুক দেশে আসুক। দেশে আনার জন্য যা যা বাস্তবায়ন করা দরকার আমরা করব। তিনি বলেন, আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করব। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের স্বপ্ন পূরণ করা, ২০৩১ সালে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাব। আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে সেই সময় পৃথিবীর ২০টি উন্নত দেশের একটি হবে বাংলাদেশ। এ অর্জন আমরা করবই করব।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০২১-২২ অর্থবছর রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাই নতুন বছরে রেমিট্যান্স প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন অর্থমন্ত্রী। এ বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স বাংলাদেশের আর্থসামাজিক এলাকায় বড় ভূমিকা রাখছে। আমরা বৈধ পথেই পুরো রেমিট্যান্স নিয়ে আসতে চাই। সেজন্যই রেমিট্যান্স প্রণোদনা ২ শতাংশ ছিল সেখানে থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে, শনিবার থেকে এটি কার্যকর হবে। আশা করি এই অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন অর্জন হবে।’ রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের যে রেমিট্যান্স অর্জন করার কথা, তার ৪৯ শতাংশ অর্জন করতাম বৈধ পথে আর বাকিটা আসত অবৈধভাবে। এটাকে বৈধ পথে আনলে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং সবাই এটার উপকার পাবে। সেই চিন্তা থেকে প্রথম ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করি। আমাদের গড় রেমিট্যান্স ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার, এই প্রণোদনা দেওয়ার পর প্রথম বছরে রেমিট্যান্স বেড়ে হলো ১৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর আমাদের রেমিট্যান্স আরও বেড়ে যায় এবং ২০২০-২১ সালে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। একদিকে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করেছি এবং পাশাপাশি ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে- যা কাজে লেগেছে বলে মনে করি। কারণ রেমিট্যান্স পাঠাতে একটি খরচ করতে হয় সেটি কাভার করতে পারছে। এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার। সেটা করতে গেলে দেখলাম আমরা যদি প্রণোদনা আরেকটু বাড়িয়ে দেই তাহলে বর্ধিত যে খরচ তারা সেটি কাভার করতে পারবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমদানি বাড়বে, এটা বাড়া ভালো। আমদানি বাড়লে রফতানিও বাড়বে। আমরা যতই রফতানি করি তার বেশির ভাগই আমদানি খাতে চলে যায়। তবুও আমাদের রফতানি বাড়াতে হবে, আমরা সেই কাজটি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কয়েকটি খাতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি। সেখানেও বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়ে থাকি। এগুলোর মূল কথাটা হলো একটু সাহায্য-সহযোগিতা করা। আমাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের টাকা যারা যেখান থেকে অর্জন করুক দেশে আসুক। দেশে আনার জন্য যা যা বাস্তবায়ন করা দরকার আমরা করব। তিনি বলেন, আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করব। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের স্বপ্ন পূরণ করা, ২০৩১ সালে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাব। আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে সেই সময় পৃথিবীর ২০টি উন্নত দেশের একটি হবে বাংলাদেশ। এ অর্জন আমরা করবই করব।