ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

২০২১ সালে সাইবার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে গচ্চা ৬৯০ কোটি ডলার

  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : এক বছরেই সাইবার অপরাধে প্রায় সাতশ’ কোটি ডলার খুঁইয়েছেন আমেরিকান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। এটি আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে আগামীতে, অন্তত তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারী সংস্থা।
সম্প্রতি ফেডারে ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) প্রকাশিত বার্ষিক ‘ইন্টারনেট ক্রাইম রিপোর্টে’ ২০২১ সালের সবচেয়ে প্রচলিত সাইবার অপরাধগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে।
ইন্টারনেট অপরাধে ২০২১ সালে মানুষের ৬৯০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে, যেটি ২০২০ সালের তুলনায় বেড়েছে ২০০ কোটি ডলারের মতো।– প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এফবিআই।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে সংস্থাটির ‘ইন্টারনেট ক্রাইম কমপ্লেইন সেন্টারে’ দায়ের করা অভিযোগের তথ্য রয়েছে।
২০২১ সালে সর্বমোট আট লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৬টি ইন্টারনেট অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছে সংস্থায়, যেটি ২০২০ সালের তুলনায় সাত শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে এর বৃদ্ধি ৮১ শতাংশ! – উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
“গত দুই বছরে সম্ভবত কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য ইন্টারনেট অপরাধ বেশি বেড়েছে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ‘বাসা-থেকে-কাজ’ বেড়ে যাওয়া এবং ভার্চুয়াল মিটিং।”
ওই সময়ে শীর্ষ তিন সাইবার অপরাধ ছিল, ফিশিং স্ক্যাম, নন-পেমেন্ট /নন-ডেলিভারি এবং ব্যক্তিগত ডেটা লঙ্ঘন।
২০২০ সালে এফবিআই-এর কাছে সাড়ে ২৮ হাজারের বেশি ইন্টারনেট অপরাধের অভিযোগ এসেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই কোভিড-১৯ সম্পর্কিত। যদিও ২০২১ সালের প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ইন্টারনেট অপরাধের কোনো বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন কোভিড-১৯ কড়াকড়ি এবং বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে। সে প্রবণতার সঙ্গে অমিল রেখেই ইন্টারনেটে অপরাধমূলক কার্যক্রম, বিশেষ করে ফিশিং এবং ডেটা লঙ্ঘনের ঘটনা ২০২১ সালে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এফবিআই সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটি সামনে আরো বাড়তে পারে।
ক্রিপ্টো মুদ্রা নিয়ে ২০২১ সালেই প্রায় ৩২ হাজার ৪০০ অভিযোগ এসেছে। আগামীতে এটিরও আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাশাপাশি, অন্যান্য সাধারণ ইন্টারনেট অপরাধ যেমন সম্পর্কের ফাঁদ, প্রযুক্তি সেবা জালিয়াতি এবং র‌্যানসমওয়্যারের ক্ষেত্রেও সাবধান থাকতে হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০২১ সালে সাইবার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে গচ্চা ৬৯০ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : এক বছরেই সাইবার অপরাধে প্রায় সাতশ’ কোটি ডলার খুঁইয়েছেন আমেরিকান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। এটি আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে আগামীতে, অন্তত তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারী সংস্থা।
সম্প্রতি ফেডারে ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) প্রকাশিত বার্ষিক ‘ইন্টারনেট ক্রাইম রিপোর্টে’ ২০২১ সালের সবচেয়ে প্রচলিত সাইবার অপরাধগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে।
ইন্টারনেট অপরাধে ২০২১ সালে মানুষের ৬৯০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে, যেটি ২০২০ সালের তুলনায় বেড়েছে ২০০ কোটি ডলারের মতো।– প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এফবিআই।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে সংস্থাটির ‘ইন্টারনেট ক্রাইম কমপ্লেইন সেন্টারে’ দায়ের করা অভিযোগের তথ্য রয়েছে।
২০২১ সালে সর্বমোট আট লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৬টি ইন্টারনেট অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছে সংস্থায়, যেটি ২০২০ সালের তুলনায় সাত শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে এর বৃদ্ধি ৮১ শতাংশ! – উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
“গত দুই বছরে সম্ভবত কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য ইন্টারনেট অপরাধ বেশি বেড়েছে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ‘বাসা-থেকে-কাজ’ বেড়ে যাওয়া এবং ভার্চুয়াল মিটিং।”
ওই সময়ে শীর্ষ তিন সাইবার অপরাধ ছিল, ফিশিং স্ক্যাম, নন-পেমেন্ট /নন-ডেলিভারি এবং ব্যক্তিগত ডেটা লঙ্ঘন।
২০২০ সালে এফবিআই-এর কাছে সাড়ে ২৮ হাজারের বেশি ইন্টারনেট অপরাধের অভিযোগ এসেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই কোভিড-১৯ সম্পর্কিত। যদিও ২০২১ সালের প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ইন্টারনেট অপরাধের কোনো বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন কোভিড-১৯ কড়াকড়ি এবং বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে। সে প্রবণতার সঙ্গে অমিল রেখেই ইন্টারনেটে অপরাধমূলক কার্যক্রম, বিশেষ করে ফিশিং এবং ডেটা লঙ্ঘনের ঘটনা ২০২১ সালে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এফবিআই সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটি সামনে আরো বাড়তে পারে।
ক্রিপ্টো মুদ্রা নিয়ে ২০২১ সালেই প্রায় ৩২ হাজার ৪০০ অভিযোগ এসেছে। আগামীতে এটিরও আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাশাপাশি, অন্যান্য সাধারণ ইন্টারনেট অপরাধ যেমন সম্পর্কের ফাঁদ, প্রযুক্তি সেবা জালিয়াতি এবং র‌্যানসমওয়্যারের ক্ষেত্রেও সাবধান থাকতে হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।