প্রত্যাশা ডেস্ক : মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে গতবছর ক্ষুধা ও অপুষ্টি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বলে জাতিসংঘের তিনটি সংস্থার যৌথ এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আগের পাঁচ বছর অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও ২০২০ সালে তা বেড়েছে প্রায় ৭৬ কোটি ৮০ লাখ।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ছাপিয়ে নিরঙ্কুশ ও আনুপাতিক- উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষুধা বেড়েছে। এই সংখ্যা গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ আর ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ১১ কোটি ৮০ লাখ বেশি। পাশাপাশি ২০২০ সালে বিশ্বের ২৩০ কোটিরও বেশি মানুষ খাবারের অভাবে ছিল। এর জন্য অনেকাংশেই করোনাভাইরাসকে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
গত সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের তিন সংস্থার যৌথ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যৌথভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। ‘বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির সার্বিক অবস্থা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এ ধরনের এটিই প্রথম কোনও মূল্যায়ন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশি^ক খাদ্য পরিকল্পনাকে দুঃখজনকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারি। হুমকির মুখে পড়ছে জীবন জীবিকা। বিশ্বের কোনো অঞ্চলই এ হুমকি থেকে বাদ যায়নি। এমনটি চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জাতিসংঘের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে না। এই সময়ের মধ্যেও বিশে^র প্রায় ৬৬ কোটি মানুষ ক্ষুধাপীড়িত থেকে যাবে।