ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০১৯ অর্থবছরে ট্যাক্স দেননি পাকিস্তানের ২২৩ আইনপ্রণেতা

  • আপডেট সময় : ১১:৩১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১৯ করবর্ষে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেননি পাকিস্তানের ১৮৮ আইনপ্রণেতা। এছাড়া আরও ৩৫ জন রয়েছেন, যারা দাবি করেছেন, তাদের ট্যাক্স দেওয়ার মতো কোনো আয় নেই। এদের মধ্যে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির নামও রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ড (এফবিআর) এর তালিকা প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুসারে, দেশটিতে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স দিয়েছেন নাজিব হারুন। ২০১৯ অর্থবছরে তিনি ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৮ রুপি আয়কর দিয়েছেন।
সেখানে এক হাজার রুপির কম আয়কর দেওয়া আইনপ্রণেতার সংখ্যা ২০ জন। এক হাজার থেকে দুই হাজার রুপির মধ্যে ট্যাক্স দেওয়া আইনপ্রণেতা ৭৬ জন। এদের মধ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার অন্যতম। এছাড়া, ১০ হাজার রুপির ওপরে ট্যাক্স দিয়েছেন ৪৪ আইনপ্রণেতা। জানা গেছে, ২০১৯ অর্থবছরে পাকিস্তানের মোট ১ হাজার ৩ জন আইনপ্রণেতা ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে সিনেটর ৮০ জন, ৩১২ জন জাতীয় পরিষদের সদস্য, পাঞ্জাব বিধানসভার সদস্য ৩২৭ জন, সিন্ধের ১৪৯ জন, খাইবার-পাখতুনখাওয়ার ৯১ সদস্য এবং বালোচিস্তান সরকার থেকে রয়েছেন ৪৪ সদস্য।
যে ৩৫ জন নিজেদের ট্যাক্স দেওয়ার অযোগ্য মনে করেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পাঞ্জাব সরকারের, ১০ জন জাতীয় পরিষদের, আটজন সিনেটের. চারজন খাইবার-পাখতুনখাওয়ার এবং সিন্ধ ও বালোচিস্তান বিধানসভা থেকে রয়েছেন একজন করে সদস্য। ২০১৯ অর্থবছরে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যাক্স দিয়েছেন ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৯ রুপি। এছাড়া, সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি দিয়েছেন ১৩ লাখ ৯৯ হাজার রুপি, জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফ দিয়েছেন ৮২ লাখ ৪০ হাজার রুপি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি দিয়েছেন ২২ লাখ ১৮ হাজার ২২৯ রুপি।
জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার ট্যাক্স দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার, পাঞ্জাব বিধানসভার স্পিকার পারভেজ এলাহি ৯ লাখ ৩২ হাজার, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি দিয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার রুপি।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবকে প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার রুপি, সিনেটের ডেপুটি চেয়ারম্যান মির্জা মুহাম্মদ আফ্রিদি ৪০ হাজার ৯১৩ রুপি, আইনমন্ত্রী ফারোগ ৪২ লাখ ৮৫ হাজার রুপি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ট্যাক্স দিয়েছেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ রুপি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০১৯ অর্থবছরে ট্যাক্স দেননি পাকিস্তানের ২২৩ আইনপ্রণেতা

আপডেট সময় : ১১:৩১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১৯ করবর্ষে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেননি পাকিস্তানের ১৮৮ আইনপ্রণেতা। এছাড়া আরও ৩৫ জন রয়েছেন, যারা দাবি করেছেন, তাদের ট্যাক্স দেওয়ার মতো কোনো আয় নেই। এদের মধ্যে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির নামও রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ড (এফবিআর) এর তালিকা প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুসারে, দেশটিতে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স দিয়েছেন নাজিব হারুন। ২০১৯ অর্থবছরে তিনি ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৮ রুপি আয়কর দিয়েছেন।
সেখানে এক হাজার রুপির কম আয়কর দেওয়া আইনপ্রণেতার সংখ্যা ২০ জন। এক হাজার থেকে দুই হাজার রুপির মধ্যে ট্যাক্স দেওয়া আইনপ্রণেতা ৭৬ জন। এদের মধ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার অন্যতম। এছাড়া, ১০ হাজার রুপির ওপরে ট্যাক্স দিয়েছেন ৪৪ আইনপ্রণেতা। জানা গেছে, ২০১৯ অর্থবছরে পাকিস্তানের মোট ১ হাজার ৩ জন আইনপ্রণেতা ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে সিনেটর ৮০ জন, ৩১২ জন জাতীয় পরিষদের সদস্য, পাঞ্জাব বিধানসভার সদস্য ৩২৭ জন, সিন্ধের ১৪৯ জন, খাইবার-পাখতুনখাওয়ার ৯১ সদস্য এবং বালোচিস্তান সরকার থেকে রয়েছেন ৪৪ সদস্য।
যে ৩৫ জন নিজেদের ট্যাক্স দেওয়ার অযোগ্য মনে করেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পাঞ্জাব সরকারের, ১০ জন জাতীয় পরিষদের, আটজন সিনেটের. চারজন খাইবার-পাখতুনখাওয়ার এবং সিন্ধ ও বালোচিস্তান বিধানসভা থেকে রয়েছেন একজন করে সদস্য। ২০১৯ অর্থবছরে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ট্যাক্স দিয়েছেন ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৯ রুপি। এছাড়া, সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি দিয়েছেন ১৩ লাখ ৯৯ হাজার রুপি, জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফ দিয়েছেন ৮২ লাখ ৪০ হাজার রুপি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি দিয়েছেন ২২ লাখ ১৮ হাজার ২২৯ রুপি।
জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার ট্যাক্স দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার, পাঞ্জাব বিধানসভার স্পিকার পারভেজ এলাহি ৯ লাখ ৩২ হাজার, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি দিয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার রুপি।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবকে প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার রুপি, সিনেটের ডেপুটি চেয়ারম্যান মির্জা মুহাম্মদ আফ্রিদি ৪০ হাজার ৯১৩ রুপি, আইনমন্ত্রী ফারোগ ৪২ লাখ ৮৫ হাজার রুপি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ট্যাক্স দিয়েছেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ রুপি।