ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

২০তম দিনেও অবস্থান কর্মসূচিতে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা

  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ক্যাপশন: অবস্থান কর্মসূচিতে তথ্য আপার কর্মীরা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজেদের দুই দফা দাবি আদায়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা।

রোববার (১৫ জুন) তাদের কর্মসূচির ২০তম দিন। গত ২৭ মে থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।

তাদের দুই দফা দাবি হলো, পদ সৃষ্টি করে কর্মরত সব জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা এবং কেটে নেওয়া বেতন ও অন্যান্য ভাতা ফেরত দেওয়া। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের সঙ্গে কোনোরকমের যোগাযোগের চেষ্টা করে নাই।

গত ১৫-২০ বছর ধরে হাজারটা প্রকল্পে কেউ আওয়ামী লীগ আখ্যা না পেলেও ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পকে উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের আবর্জনা বলে বিদায় করতে চাচ্ছেন; যার কোনো সুযোগ নেই। কারণ কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কখনোই দলীয় হতে পারে না।

তারা বলেন, ডিপিপিতে উল্লেখ থাকা এবং অর্থ মন্ত্রণালয় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও তারা পদ সৃষ্টি সম্পর্কিত কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

কিন্তু আমাদের মেয়েদের প্রতিনিয়ত রাজস্বের আশ্বাস দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাদের বেতন থেকে প্রতি মাসে অবৈধভাবে অর্থ কাটা হয়েছে। তারা ব্যাখ্যা দিয়েছে, পরবর্তী সময়ে রাজস্ব নিতে সুবিধা হবে।

তারা আরো বলেন, তথ্য আপা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের ৯০ শতাংশ সফলতার ওপরে ভিত্তি করে তৃতীয় পর্যায়ে আউটসোর্সিং হিসেবে আনার পাঁয়তারা করছে মন্ত্রণালয় ও প্রধান কার্যালয়। কারণ এখানে বিশাল নিয়োগ বাণিজ্য হবে। এ সময় তারা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।

উল্লেখ্য, তথ্য আপা প্রকল্পে বর্তমানে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন কর্মী মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা (দশম গ্রেড), দুজন সহকারী (১৬তম গ্রেড) এবং একজন অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) নিয়োজিত রয়েছেন। এই কর্মীরা তৃণমূল নারীদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা ও সাইবার সুরক্ষা–এই আটটি বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শসেবা দিয়ে আসছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০তম দিনেও অবস্থান কর্মসূচিতে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা

আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজেদের দুই দফা দাবি আদায়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা।

রোববার (১৫ জুন) তাদের কর্মসূচির ২০তম দিন। গত ২৭ মে থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।

তাদের দুই দফা দাবি হলো, পদ সৃষ্টি করে কর্মরত সব জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা এবং কেটে নেওয়া বেতন ও অন্যান্য ভাতা ফেরত দেওয়া। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের সঙ্গে কোনোরকমের যোগাযোগের চেষ্টা করে নাই।

গত ১৫-২০ বছর ধরে হাজারটা প্রকল্পে কেউ আওয়ামী লীগ আখ্যা না পেলেও ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পকে উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের আবর্জনা বলে বিদায় করতে চাচ্ছেন; যার কোনো সুযোগ নেই। কারণ কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কখনোই দলীয় হতে পারে না।

তারা বলেন, ডিপিপিতে উল্লেখ থাকা এবং অর্থ মন্ত্রণালয় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও তারা পদ সৃষ্টি সম্পর্কিত কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

কিন্তু আমাদের মেয়েদের প্রতিনিয়ত রাজস্বের আশ্বাস দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাদের বেতন থেকে প্রতি মাসে অবৈধভাবে অর্থ কাটা হয়েছে। তারা ব্যাখ্যা দিয়েছে, পরবর্তী সময়ে রাজস্ব নিতে সুবিধা হবে।

তারা আরো বলেন, তথ্য আপা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের ৯০ শতাংশ সফলতার ওপরে ভিত্তি করে তৃতীয় পর্যায়ে আউটসোর্সিং হিসেবে আনার পাঁয়তারা করছে মন্ত্রণালয় ও প্রধান কার্যালয়। কারণ এখানে বিশাল নিয়োগ বাণিজ্য হবে। এ সময় তারা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।

উল্লেখ্য, তথ্য আপা প্রকল্পে বর্তমানে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন কর্মী মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা (দশম গ্রেড), দুজন সহকারী (১৬তম গ্রেড) এবং একজন অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) নিয়োজিত রয়েছেন। এই কর্মীরা তৃণমূল নারীদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা ও সাইবার সুরক্ষা–এই আটটি বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শসেবা দিয়ে আসছেন।