ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৯ ডিসেম্বর ফের চট্টগ্রামে আসছে পণ্যবাহী সেই জাহাজ

  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : পাকিস্তানের করাচি থেকে সেই জাহাজ আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজটি কনটেইনারবাহী পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন নৌবাণিজ্য দফতরের প্রিন্সিপাল অফিসার এবং রেজিস্ট্রার অব বাংলাদেশ শিপস ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ।
এর আগে, জাহাজটি প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। ৩৭০ একক পণ্যবাহী কনটেইনার খালাসের পর জাহাজটি পরদিন চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। এটি ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের পর করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা প্রথম কোনও জাহাজ। এর মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হয়েছে। ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘করাচি, দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন বাণিজ্যিক রুট অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। নতুন এ রুট বাংলাদেশের নৌবাণিজ্যকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা করছি।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে “এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং” নামের জাহাজের মাধ্যমে ৩৭০ একক কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। পরদিন ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের “জেবল আলী” বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে মধ্যবর্তী করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্ডিং হচ্ছে দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে শুরু করে পাকিস্তানের করাচি বন্দর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর, ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দর, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দর, ইন্ডিয়ার মুন্দা বন্দর ঘুরে পুনরায় দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর। জাহাজটি পণ্য নিয়ে মূলত এসব পথে ঘুরবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামের জাহাজটির প্রকৃত কনটেইনার পরিবহনক্ষমতা দুই হাজার ৩০০টি। এই রুটে আমদানি কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে ভবিষ্যতে রুটটি নিয়মিত পরিচালনা করতে জাহাজ মালিকগণ আগ্রহী হবে। আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর এবং কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানি হতো। নতুন রুটটি চালু হওয়ার কারণে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এতে করে সাশ্রয়ী ব্যয় এবং সময়ে উভয় দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।’
‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজটি গত ১১ নভেম্বর প্রথমবার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে খালাস করে ৩৭০ একক কনটেইনার। এসব কনটেইনারের মধ্যে করাচি বন্দর থেকে আনা হয় ২৯৭ কনটেইনার পণ্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয় ৭৩ কনটেইনার পণ্য। পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কনটেইনারে ছিল শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ছয় হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে। কাস্টমসের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে জাহাজটিতে করে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি। মোট ১১৫ একক কনটেইনারে রয়েছে সোডা অ্যাশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি পণ্য হলো খনিজ পদার্থ ডলোমাইট। ডলোমাইট রয়েছে ৪৬ একক কনটেইনারে। মোট ৩৫ একক কনটেইনারে আমদানি করা হয় চুনাপাথর। ৬ একক কনটেইনারে আনা হয় ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেট। এ ছাড়াও কাচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাচ আনা হয়েছে ১০ একক কনটেইনারে। শতভাগ রফতানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল কাপড়, রঙ ইত্যাদি রয়েছে ২৮ একক কনটেইনারে। একটি কনটেইনারে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস কারখানা, নাসির ফ্লোট গ্লাস, প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ৪২ একক কনটেইনারে আনা হয় পেঁয়াজ। যার পরিমাণ ৬১১ মেট্রিক টন। এর বাইরে ১৪ একক কনটেইনারে আলু আমদানি হয়েছে ২০৩ টন। এই দুটো পণ্য আনা হয়েছে হিমায়িত কনটেইনারে। পেঁয়াজ-আলু এনেছে ঢাকার হাফিজ করপোরেশন, এম আর ট্রেডিংস ও চট্টগ্রামের আল্লাহর রহমত স্টোর। গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজটি আসার পর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলে। জাহাজটিতে আনা পণ্য নিয়ে দেশে-বিদেশে চলে অপপ্রচার। গত ১৯ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সভায় এলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই জাহাজ মিডল ইস্ট (মধ্যপ্রাচ্য) থেকে এসেছে। সেখান থেকে এসে একটা দেশে গেছে, সেখান থেকে আমাদের দেশে এসেছে। আমাদের দেশে কোনও দেশের জাহাজ আসা নিষিদ্ধ আছে? আমরা কি কারও কাছে বন্দি যে শুধু তার সেবা করবো? আমার দেশ সবার ওপরে। খেজুর, পেঁয়াজ, আলু–এগুলো সামনের রোজার সময় দরকার। এগুলো কি আমরা আসতে দেবো না? যারা এগুলো নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, তারা আমাদের শত্রু।’
জাহাজটি নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করাচি থেকে সরাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ। এতে আরও বলা হয়, এই সরাসরি রুটটি সরবরাহ শৃঙ্খলা আরও সহজ করবে। পণ্য পরিবহনের সময় কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার ৩০০ একক কনটেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজটি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বহন করে এনেছে। যা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতিফলন। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এটিকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি এই অঞ্চলে আরও সমন্বিত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক জোরদারের একটি বড় পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৯ ডিসেম্বর ফের চট্টগ্রামে আসছে পণ্যবাহী সেই জাহাজ

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : পাকিস্তানের করাচি থেকে সেই জাহাজ আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজটি কনটেইনারবাহী পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন নৌবাণিজ্য দফতরের প্রিন্সিপাল অফিসার এবং রেজিস্ট্রার অব বাংলাদেশ শিপস ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ।
এর আগে, জাহাজটি প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। ৩৭০ একক পণ্যবাহী কনটেইনার খালাসের পর জাহাজটি পরদিন চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। এটি ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের পর করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা প্রথম কোনও জাহাজ। এর মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হয়েছে। ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘করাচি, দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন বাণিজ্যিক রুট অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। নতুন এ রুট বাংলাদেশের নৌবাণিজ্যকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা করছি।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে “এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং” নামের জাহাজের মাধ্যমে ৩৭০ একক কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। পরদিন ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের “জেবল আলী” বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে মধ্যবর্তী করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্ডিং হচ্ছে দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে শুরু করে পাকিস্তানের করাচি বন্দর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর, ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দর, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দর, ইন্ডিয়ার মুন্দা বন্দর ঘুরে পুনরায় দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর। জাহাজটি পণ্য নিয়ে মূলত এসব পথে ঘুরবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামের জাহাজটির প্রকৃত কনটেইনার পরিবহনক্ষমতা দুই হাজার ৩০০টি। এই রুটে আমদানি কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে ভবিষ্যতে রুটটি নিয়মিত পরিচালনা করতে জাহাজ মালিকগণ আগ্রহী হবে। আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর এবং কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানি হতো। নতুন রুটটি চালু হওয়ার কারণে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এতে করে সাশ্রয়ী ব্যয় এবং সময়ে উভয় দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।’
‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ নামের জাহাজটি গত ১১ নভেম্বর প্রথমবার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে খালাস করে ৩৭০ একক কনটেইনার। এসব কনটেইনারের মধ্যে করাচি বন্দর থেকে আনা হয় ২৯৭ কনটেইনার পণ্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয় ৭৩ কনটেইনার পণ্য। পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কনটেইনারে ছিল শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ছয় হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে। কাস্টমসের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে জাহাজটিতে করে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি। মোট ১১৫ একক কনটেইনারে রয়েছে সোডা অ্যাশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি পণ্য হলো খনিজ পদার্থ ডলোমাইট। ডলোমাইট রয়েছে ৪৬ একক কনটেইনারে। মোট ৩৫ একক কনটেইনারে আমদানি করা হয় চুনাপাথর। ৬ একক কনটেইনারে আনা হয় ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেট। এ ছাড়াও কাচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাচ আনা হয়েছে ১০ একক কনটেইনারে। শতভাগ রফতানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল কাপড়, রঙ ইত্যাদি রয়েছে ২৮ একক কনটেইনারে। একটি কনটেইনারে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস কারখানা, নাসির ফ্লোট গ্লাস, প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ৪২ একক কনটেইনারে আনা হয় পেঁয়াজ। যার পরিমাণ ৬১১ মেট্রিক টন। এর বাইরে ১৪ একক কনটেইনারে আলু আমদানি হয়েছে ২০৩ টন। এই দুটো পণ্য আনা হয়েছে হিমায়িত কনটেইনারে। পেঁয়াজ-আলু এনেছে ঢাকার হাফিজ করপোরেশন, এম আর ট্রেডিংস ও চট্টগ্রামের আল্লাহর রহমত স্টোর। গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজটি আসার পর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলে। জাহাজটিতে আনা পণ্য নিয়ে দেশে-বিদেশে চলে অপপ্রচার। গত ১৯ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সভায় এলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই জাহাজ মিডল ইস্ট (মধ্যপ্রাচ্য) থেকে এসেছে। সেখান থেকে এসে একটা দেশে গেছে, সেখান থেকে আমাদের দেশে এসেছে। আমাদের দেশে কোনও দেশের জাহাজ আসা নিষিদ্ধ আছে? আমরা কি কারও কাছে বন্দি যে শুধু তার সেবা করবো? আমার দেশ সবার ওপরে। খেজুর, পেঁয়াজ, আলু–এগুলো সামনের রোজার সময় দরকার। এগুলো কি আমরা আসতে দেবো না? যারা এগুলো নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, তারা আমাদের শত্রু।’
জাহাজটি নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করাচি থেকে সরাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ। এতে আরও বলা হয়, এই সরাসরি রুটটি সরবরাহ শৃঙ্খলা আরও সহজ করবে। পণ্য পরিবহনের সময় কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার ৩০০ একক কনটেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজটি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বহন করে এনেছে। যা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতিফলন। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এটিকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি এই অঞ্চলে আরও সমন্বিত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক জোরদারের একটি বড় পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন।