ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

১৯৯৮ সালের নকশায় ফিরবে ধানমন্ডি লেক

  • আপডেট সময় : ০২:১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৯৮ সালের নকশা অনুযায়ী ধানমন্ডি লেকের নান্দনিকতা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল বুধবার কলাবাগান খেলার মাঠ ও মাঠসংলগ্ন শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্কের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘ধানমন্ডি খালের বিভিন্ন অংশ দখল হয়ে গিয়েছে। সেগুলো দখলমুক্ত করার কাজ আমরা আরম্ভ করেছি। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি লেকের যে নকশা করে দিয়েছিলেন, সেই নকশা অনুযায়ী লেকের নান্দনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।’
মেয়র বলেন, ‘ধানমন্ডি খালের পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবিত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। এই খালের একটি অংশ আগে দখলমুক্ত করা যায়নি। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা সেগুলো দখল করে রেখেছে। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম শুরু করেছি। আজকেও আমরা পুরো জায়গাটা পরিদর্শন করেছি। সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে মূল নকশা অনুযায়ী খালকে পুনরুজ্জ্বীবিত করব এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।’
পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই খুবই কঠোর একটি বার্তা দিয়েছি- সব অবৈধ দখলদারকে আমরা উচ্ছেদ করব। পর্যায়ক্রমে সেই কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি এবং তাদেরকে উচ্ছেদ করে চলেছি। আপনারা জানেন যে, ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলো পাওয়ার পর ব্যাপকভাবে সেগুলো থেকে আমরা দখলমুক্ত করেছি।’
অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার সময় নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস। এর আগে মেয়র বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার সমাধি সৌধ, ধানমন্ডি-৩২ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং ধানমন্ডি লেকের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন।
বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, জাতীয় চার নেতা আত্মত্যাগের দৃঢ়তায় দেশপ্রেমের বিরল নজির রেখে গেছেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৯৯৮ সালের নকশায় ফিরবে ধানমন্ডি লেক

আপডেট সময় : ০২:১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৯৮ সালের নকশা অনুযায়ী ধানমন্ডি লেকের নান্দনিকতা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল বুধবার কলাবাগান খেলার মাঠ ও মাঠসংলগ্ন শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্কের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘ধানমন্ডি খালের বিভিন্ন অংশ দখল হয়ে গিয়েছে। সেগুলো দখলমুক্ত করার কাজ আমরা আরম্ভ করেছি। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি লেকের যে নকশা করে দিয়েছিলেন, সেই নকশা অনুযায়ী লেকের নান্দনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।’
মেয়র বলেন, ‘ধানমন্ডি খালের পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবিত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। এই খালের একটি অংশ আগে দখলমুক্ত করা যায়নি। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা সেগুলো দখল করে রেখেছে। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করতে কার্যক্রম শুরু করেছি। আজকেও আমরা পুরো জায়গাটা পরিদর্শন করেছি। সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে মূল নকশা অনুযায়ী খালকে পুনরুজ্জ্বীবিত করব এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।’
পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই খুবই কঠোর একটি বার্তা দিয়েছি- সব অবৈধ দখলদারকে আমরা উচ্ছেদ করব। পর্যায়ক্রমে সেই কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি এবং তাদেরকে উচ্ছেদ করে চলেছি। আপনারা জানেন যে, ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলো পাওয়ার পর ব্যাপকভাবে সেগুলো থেকে আমরা দখলমুক্ত করেছি।’
অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার সময় নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস। এর আগে মেয়র বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার সমাধি সৌধ, ধানমন্ডি-৩২ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং ধানমন্ডি লেকের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন।
বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, জাতীয় চার নেতা আত্মত্যাগের দৃঢ়তায় দেশপ্রেমের বিরল নজির রেখে গেছেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।