সাহিত্য ডেস্ক: অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৯তম দিনেও প্রকাশিত হয়েছে গল্প, কবিতা, উপন্যাসসহ মোট ৭০টি নতুন বই। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মেলা শুরু হয় বেলা ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘শিশুসাহিত্যের মহীরুহ রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জুলফিকার শাহাদাৎ। আলোচনায় অংশ নেন শাহাবুদ্দীন নাগরী। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা শিশুসাহিত্যে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই এক মহীরুহ। শিশুদের চিত্তবৃত্তির উন্মেষ ও প্রতিভার বিকাশ সাধনে তার ছিল নিরলস প্রয়াস। তিনি নিজে যেমন শিশুদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। তেমনি শিশুদের মধ্যেও স্বপ্নের বীজ বুনতেন। তার লক্ষ্য ছিল শিশুদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি ‘কচি-কাঁচার মেলা’র মাধ্যমে সারাদেশে শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি নিজে শিশুদের জন্য ছড়া লিখতেন এবং বিখ্যাত লেখকদেরও উৎসাহ দিতেন শিশুদের উপযোগী সাহিত্য রচনার জন্য। দাদাভাই তার লেখার মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে নীতিজ্ঞান, দেশপ্রেম ও চারিত্রিক গুণাবলি জাগ্রত করার চেষ্টা করতেন।
আলোচক বলেন, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের কাজের ব্যাপকতা ছিল অনেক। লেখক, ছড়াকার ও সংগঠক ছাড়াও তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় হলো তিনি বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তিতুল্য সম্পাদক। শিশু-কিশোরদের সংগঠনের আওতায় এনে তাদের মানসিক উৎকর্ষ সাধনে দাদাভাই সারাজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি ছিলেন লেখক তৈরির কারিগর। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত লেখক সাহিত্য জগতে আবির্ভূত হয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের অতি প্রিয় মানুষ ছিলেন রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই। শিশুদের আদর্শবান করে গড়ে তোলার জন্য তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা অবিস্মরণীয়। তার কথা, কাজ ও আদর্শ আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবে। এছাড়া আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মাহমুদউল্লাহ, কাজল রশীদ শাহীন এবং তুহিন খান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মজিদ মাহমুদ, কবি কামরুজ্জামান এবং কবি শফিকুল ইসলাম। একই সঙ্গে ছিল সৈয়দা শামছি আরা সায়েকার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন নবরস এবং জহির আলীমের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন আবদুল আলীম ফাউন্ডেশনের পরিবেশনা।