ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

১৮ দিনের রিমান্ড শেষে মামুনুল হক কাশিমপুর কারাগারে

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়েরকৃত নাশকতা ও ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলায় ১৮ দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে হেফাজতের আলোচিত নেতা মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। পরে তাকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে গেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে মামুনুল হককে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচিতে সদর উপজেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে আসামি করা হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ শাখাকে। মনিরুল ইসলাম জানান, তদন্তের প্রয়োজনে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ শাখার হেফাজতে রেখে তাকে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরও বলেন, হেফাজতের হরতাল কর্মসূচিতে নাশকতার পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি আসামি মামুনুল হক আর কী কী ভূমিকা পালন করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, মামলা সংশ্লিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি কোনটা সঠিক বলছেন বা কোনটা মিথ্যা বলছেন সে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে নিশ্চিত হব। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মামুনুল হকের কাছ থেকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে তা নথিভুক্ত করে নির্ধারিত সময়ে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
গত ৩ এপ্রিল দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা এক নারীসহ সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিভিন্ন মামলায় তাকে আগেও কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এবার ছয় মামলায় টানা ১৮ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে ফিরলেন হেফাজতে ইসলামের আলোচিত এই নেতা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৮ দিনের রিমান্ড শেষে মামুনুল হক কাশিমপুর কারাগারে

আপডেট সময় : ০১:৫৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়েরকৃত নাশকতা ও ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলায় ১৮ দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে হেফাজতের আলোচিত নেতা মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। পরে তাকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে গেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে মামুনুল হককে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচিতে সদর উপজেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে আসামি করা হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ শাখাকে। মনিরুল ইসলাম জানান, তদন্তের প্রয়োজনে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ শাখার হেফাজতে রেখে তাকে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরও বলেন, হেফাজতের হরতাল কর্মসূচিতে নাশকতার পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি আসামি মামুনুল হক আর কী কী ভূমিকা পালন করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, মামলা সংশ্লিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি কোনটা সঠিক বলছেন বা কোনটা মিথ্যা বলছেন সে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে নিশ্চিত হব। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মামুনুল হকের কাছ থেকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে তা নথিভুক্ত করে নির্ধারিত সময়ে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
গত ৩ এপ্রিল দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা এক নারীসহ সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিভিন্ন মামলায় তাকে আগেও কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এবার ছয় মামলায় টানা ১৮ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে ফিরলেন হেফাজতে ইসলামের আলোচিত এই নেতা।