ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

১৮৫ রানেই শেষ ইংল্যান্ড

  • আপডেট সময় : ০২:২৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ভেন্যু বদলালেও অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের চিত্র বদলাল না। দলে ফিরে দারুণ বোলিংয়ে সুর বেঁধে দিলেন প্যাট কামিন্স। সঙ্গত করলেন অন্য বোলাররাও। ইংলিশ ব্যাটসম্যানরাও যেন মেলে ধরলেন বাজে শটের প্রদর্শনী। তাদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল দুইশর আগেই। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন ১৮৫ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। রোববার শেষ বেলায় ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ৬১। পিছিয়ে আছে তারা কেবল ১২৪ রানে। প্রথম দুই টেস্টে হেরে সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন অধিনায়ক জো রুট। তবে তিনিসহ বেন স্টোকস ও জস বাটলার আউট হন বাজে শট খেলে। সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। সফরকারীদের টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক কামিন্সের শিকার। এই পেসারের সমান ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার ন্যাথান লায়নও। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস জিতে বোলিং নেন কামিন্স। সাফল্য পেতেও বেশি সময় লাগেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারে দারুণ ডেলিভারিতে হাসিব হামিদকে কট বিহাইন্ড করে দেন কামিন্স। স্পর্শ করেন দেশের মাটিতে ১০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক।
১০ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি হামিদ। এতে ইংল্যান্ড স্পর্শ করে অনাকাক্সিক্ষত ফিফটি। এক পঞ্জিকাবর্ষে এক দলের ব্যাটসম্যানদের শূন্যের ‘হাফ সেঞ্চুরি’ করার দ্বিতীয় নজির এটি। রেকর্ডটিও ইংলিশদেরই, ১৯৯৮ সালে তাদের ২৮ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মোট ৫৪ বার। ররি বার্নসের বাজে ফর্মে সুযোগ যাওয়া জ্যাক ক্রলিও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। কামিন্সের বলে তিনি ক্যাচ দেন গালিতে (২৫ বলে ১২)। ১৩ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর প্রতিরোধের চেষ্টা করেন দাভিদ মালান ও রুট। লাঞ্চ বিরতির আগে মালানকে ফিরিয়ে ১১৫ বল স্থায়ী ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন কামিন্স। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মালান ক্যাচ দেন স্লিপে। রুট তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তার নবম টেস্ট ফিফটি। এরপরই তিনি মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে আলগা শটে ক্যাচ দেন কিপারের গ্লাভসে। অস্ট্রেলিয়ায় তার প্রথম সেঞ্চুরির অপেক্ষা বেড়ে গেল আরও। দাভিদ মালানকে আউট করার পর সতীর্থদের সঙ্গে প্যাট কামিন্সের উদযাপনদাভিদ মালানকে আউট করার পর সতীর্থদের সঙ্গে প্যাট কামিন্সের উদযাপন৮২ বলে ৫০ রানের ইনিংসের পথে রুট গড়েন একটি রেকর্ডও। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডে ছাড়িয়ে যান গ্রায়েম স্মিথকে। ২০০৮ সালে ১ হাজার ৬৫৬ রান করে রেকর্ড গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। এক পঞ্জিকাবর্ষে মোহাম্মদ ইউসুফের সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্ব রেকর্ডের (১ হাজার ৭৮৮) পথেও আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন রুট (১ হাজার ৬৮০)।
রুটের মতো উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন স্টোকস। দারুণ একটি ছক্কায় ওড়ান তিনি লায়নকে। কিন্তু উইকেট বিলিয়ে আসেন ক্যামেরন গ্রিনের শর্ট বলে ওয়ানডে ঘরানার শটে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে (৬০ বলে ২৫)। অ্যাডিলেইডে আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ বলে ২৬ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলা বাটলার এবার টেকেন কেবল ১১ বল। ইংলিশ কিপার-ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার ধরন ছিল খুবই বাজে। চা বিরতির আগে লায়নকে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারার চেষ্টায় ক্যাচ দেন ডিপ মিডউইকেটে! মার্ক উডকে এলবিডব্লিউ করে প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পান ‘লোকাল বয়’ স্কট বোল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সুদীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসে ছেলেদের ক্রিকেটে জেসন গিলেস্পির পর মাত্র দ্বিতীয় আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে এ দিন টেস্ট ক্যাপ পান তিনি। বেয়ারস্টোর প্রতিরোধ থামান স্টার্ক। শর্ট বল শেষ মুহূর্তে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। গ্লাভসে ছুঁয়ে যাওয়া বল গালিতে সামনে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেন গ্রিন। পরে নিজের টানা দুই ওভারে জ্যাক লিচ ও অলি রবিনসনকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দেন লায়ন। জবাবে ওয়ার্নারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস হ্যারিসের সঙ্গে প্রথম দিন পার করে দেওয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ওয়ার্নারের ৪২ বলে ৫ চারে ৩৮ রানের ইনিংস। দিন শেষে ৫১ বলে ২০ রানে অপরাজিত আছেন হ্যারিস। ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নামা লায়ন এখনও খুলতে পারেননি রানের খাতা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৬১.১ ওভারে ১৮৫ (হামিদ ০, ক্রলি ১২, মালান ১৪, রুট ৫০, স্টোকস ২৫, বেয়ারস্টো ৩৫, বাটলার ৩, উড ৬, রবিনসন ২২, লিচ ১৩, অ্যান্ডারসন ০; স্টার্ক ১৫-৩-৫৪-২, কামিন্স ১৫-২-৩৬-৩, বোল্যান্ড ১৩-২-৪৮-১, গ্রিন ৮-৪-৭-১, লায়ন ১৪.১-৩-৩৬-৩) অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৪.১ ওভারে ৬১/১ (হ্যারিস ২০, ওয়ার্নার ৩৮, লায়ন ০*; অ্যান্ডারসন ৫-১-১৪-১, রবিনসন ৫-০-২৩-০, উড ৪-০-১৫-০, স্টোকস ২-০-৮-০)

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৮৫ রানেই শেষ ইংল্যান্ড

আপডেট সময় : ০২:২৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ভেন্যু বদলালেও অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের চিত্র বদলাল না। দলে ফিরে দারুণ বোলিংয়ে সুর বেঁধে দিলেন প্যাট কামিন্স। সঙ্গত করলেন অন্য বোলাররাও। ইংলিশ ব্যাটসম্যানরাও যেন মেলে ধরলেন বাজে শটের প্রদর্শনী। তাদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল দুইশর আগেই। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন ১৮৫ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। রোববার শেষ বেলায় ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ৬১। পিছিয়ে আছে তারা কেবল ১২৪ রানে। প্রথম দুই টেস্টে হেরে সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন অধিনায়ক জো রুট। তবে তিনিসহ বেন স্টোকস ও জস বাটলার আউট হন বাজে শট খেলে। সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। সফরকারীদের টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক কামিন্সের শিকার। এই পেসারের সমান ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার ন্যাথান লায়নও। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস জিতে বোলিং নেন কামিন্স। সাফল্য পেতেও বেশি সময় লাগেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারে দারুণ ডেলিভারিতে হাসিব হামিদকে কট বিহাইন্ড করে দেন কামিন্স। স্পর্শ করেন দেশের মাটিতে ১০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক।
১০ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি হামিদ। এতে ইংল্যান্ড স্পর্শ করে অনাকাক্সিক্ষত ফিফটি। এক পঞ্জিকাবর্ষে এক দলের ব্যাটসম্যানদের শূন্যের ‘হাফ সেঞ্চুরি’ করার দ্বিতীয় নজির এটি। রেকর্ডটিও ইংলিশদেরই, ১৯৯৮ সালে তাদের ২৮ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মোট ৫৪ বার। ররি বার্নসের বাজে ফর্মে সুযোগ যাওয়া জ্যাক ক্রলিও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। কামিন্সের বলে তিনি ক্যাচ দেন গালিতে (২৫ বলে ১২)। ১৩ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর প্রতিরোধের চেষ্টা করেন দাভিদ মালান ও রুট। লাঞ্চ বিরতির আগে মালানকে ফিরিয়ে ১১৫ বল স্থায়ী ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন কামিন্স। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মালান ক্যাচ দেন স্লিপে। রুট তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তার নবম টেস্ট ফিফটি। এরপরই তিনি মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে আলগা শটে ক্যাচ দেন কিপারের গ্লাভসে। অস্ট্রেলিয়ায় তার প্রথম সেঞ্চুরির অপেক্ষা বেড়ে গেল আরও। দাভিদ মালানকে আউট করার পর সতীর্থদের সঙ্গে প্যাট কামিন্সের উদযাপনদাভিদ মালানকে আউট করার পর সতীর্থদের সঙ্গে প্যাট কামিন্সের উদযাপন৮২ বলে ৫০ রানের ইনিংসের পথে রুট গড়েন একটি রেকর্ডও। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডে ছাড়িয়ে যান গ্রায়েম স্মিথকে। ২০০৮ সালে ১ হাজার ৬৫৬ রান করে রেকর্ড গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। এক পঞ্জিকাবর্ষে মোহাম্মদ ইউসুফের সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্ব রেকর্ডের (১ হাজার ৭৮৮) পথেও আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন রুট (১ হাজার ৬৮০)।
রুটের মতো উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন স্টোকস। দারুণ একটি ছক্কায় ওড়ান তিনি লায়নকে। কিন্তু উইকেট বিলিয়ে আসেন ক্যামেরন গ্রিনের শর্ট বলে ওয়ানডে ঘরানার শটে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে (৬০ বলে ২৫)। অ্যাডিলেইডে আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ বলে ২৬ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলা বাটলার এবার টেকেন কেবল ১১ বল। ইংলিশ কিপার-ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার ধরন ছিল খুবই বাজে। চা বিরতির আগে লায়নকে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারার চেষ্টায় ক্যাচ দেন ডিপ মিডউইকেটে! মার্ক উডকে এলবিডব্লিউ করে প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পান ‘লোকাল বয়’ স্কট বোল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সুদীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসে ছেলেদের ক্রিকেটে জেসন গিলেস্পির পর মাত্র দ্বিতীয় আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে এ দিন টেস্ট ক্যাপ পান তিনি। বেয়ারস্টোর প্রতিরোধ থামান স্টার্ক। শর্ট বল শেষ মুহূর্তে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। গ্লাভসে ছুঁয়ে যাওয়া বল গালিতে সামনে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেন গ্রিন। পরে নিজের টানা দুই ওভারে জ্যাক লিচ ও অলি রবিনসনকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দেন লায়ন। জবাবে ওয়ার্নারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস হ্যারিসের সঙ্গে প্রথম দিন পার করে দেওয়ার পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ওয়ার্নারের ৪২ বলে ৫ চারে ৩৮ রানের ইনিংস। দিন শেষে ৫১ বলে ২০ রানে অপরাজিত আছেন হ্যারিস। ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নামা লায়ন এখনও খুলতে পারেননি রানের খাতা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৬১.১ ওভারে ১৮৫ (হামিদ ০, ক্রলি ১২, মালান ১৪, রুট ৫০, স্টোকস ২৫, বেয়ারস্টো ৩৫, বাটলার ৩, উড ৬, রবিনসন ২২, লিচ ১৩, অ্যান্ডারসন ০; স্টার্ক ১৫-৩-৫৪-২, কামিন্স ১৫-২-৩৬-৩, বোল্যান্ড ১৩-২-৪৮-১, গ্রিন ৮-৪-৭-১, লায়ন ১৪.১-৩-৩৬-৩) অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৪.১ ওভারে ৬১/১ (হ্যারিস ২০, ওয়ার্নার ৩৮, লায়ন ০*; অ্যান্ডারসন ৫-১-১৪-১, রবিনসন ৫-০-২৩-০, উড ৪-০-১৫-০, স্টোকস ২-০-৮-০)