ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে: প্রধান উপদেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস- ফাইল ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।

ওআ/আপ্র/১৩/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াই, আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক। কিন্তু আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, যা আমাদের প্রধান খাদ্যশস্যে। আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাকসবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকেরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন। আমরা ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়েছি। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাগড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে। কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে ‘ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালাচারাল অরগানাইজেশন (এফএও)’ কর্তৃক ২০১৬ সালে গঠিত ‘নোবেল পিস লরিয়েটস অ্যালায়েন্স ফর ফুড সিকিউরিরটি অ্যান্ড পিস’, যার একজন সদস্য আমি; সেটি এখন এফএও’র একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আশা করি এটি আরও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।

ওআ/আপ্র/১৩/১০/২০২৫