ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

১৬ হাজার কিশোর : গ্যাং নয় কাজ করবে জাতি গঠনে

  • আপডেট সময় : ০১:১২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :অনলাইনে সক্রিয় একটি কিশোর গ্যাং সম্পর্কে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে অবগত করেন একজন নাগরিক। গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের নাম-পরিচয়ও উল্লেখ করেন তিনি। এরপর উল্লিখিত ফেসবুক গ্রুপটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। সম্প্রতি ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় তারা সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে গ্রুপের শতাধিক সদস্য ছেলে-মেয়ে রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে তাদের গ্রুপের নামে শ্লোগান দিতে থাকে। কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে সরে পড়ে।
গতকাল রোববার বিকেলে পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান। তিনি জানান, তথ্যদাতার কাছ থেকে বার্তাটি গ্রহণ করে রমনা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়। এরপর তথ্যটি যাচাই শেষে ওসি জানান, গ্রুপটি তার এলাকায় সক্রিয় নয়। এরপর বিষয়টি খিলগাঁও থানার ওসি মো. ফারুকুল আলমকে প্রেরণ করলে তিনিও খোঁজ-খবর নিয়ে জানান, গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন এডমিন তার থানার সীমানার কাছাকাছি রাজধানীর রামপুরা এলাকায় থাকেন। এরপর তথ্যটি রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস ফকিরকে প্রেরণ করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। বার্তা পেয়ে, গত শুক্রবার রামপুরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রুপটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর। গ্রুপ মেম্বারদের একটি বড় অংশই সচ্ছল পরিবারের বখে যাওয়া ছেলে-মেয়ে বলে জানায় পুলিশ। তবে ফেসবুক গ্রুপটির বিপুল সংখ্যক সদস্য ও তার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের পরামর্শে এটি বিলুপ্ত না করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জনকল্যাণ ও দেশ গঠনমূলক কাজে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সন্তানদের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা পেজটির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। জাতিগঠনমূলক ইতিবাচক কাজে পেজটি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করবে। এ বিষয়ে কিশোর ও অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসে তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করেছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। এদিকে মুচলেকা নিয়ে আটক দুই কিশোরকে অভিভাবক ও এলাকার জনপ্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে সমন্বয় করেছেন রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। আর সহায়তা করছেন রামপুরা থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস ফকির।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

১৬ হাজার কিশোর : গ্যাং নয় কাজ করবে জাতি গঠনে

আপডেট সময় : ০১:১২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :অনলাইনে সক্রিয় একটি কিশোর গ্যাং সম্পর্কে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে অবগত করেন একজন নাগরিক। গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের নাম-পরিচয়ও উল্লেখ করেন তিনি। এরপর উল্লিখিত ফেসবুক গ্রুপটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। সম্প্রতি ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় তারা সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে গ্রুপের শতাধিক সদস্য ছেলে-মেয়ে রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে তাদের গ্রুপের নামে শ্লোগান দিতে থাকে। কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে সরে পড়ে।
গতকাল রোববার বিকেলে পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান। তিনি জানান, তথ্যদাতার কাছ থেকে বার্তাটি গ্রহণ করে রমনা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়। এরপর তথ্যটি যাচাই শেষে ওসি জানান, গ্রুপটি তার এলাকায় সক্রিয় নয়। এরপর বিষয়টি খিলগাঁও থানার ওসি মো. ফারুকুল আলমকে প্রেরণ করলে তিনিও খোঁজ-খবর নিয়ে জানান, গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন এডমিন তার থানার সীমানার কাছাকাছি রাজধানীর রামপুরা এলাকায় থাকেন। এরপর তথ্যটি রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস ফকিরকে প্রেরণ করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। বার্তা পেয়ে, গত শুক্রবার রামপুরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রুপটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর। গ্রুপ মেম্বারদের একটি বড় অংশই সচ্ছল পরিবারের বখে যাওয়া ছেলে-মেয়ে বলে জানায় পুলিশ। তবে ফেসবুক গ্রুপটির বিপুল সংখ্যক সদস্য ও তার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের পরামর্শে এটি বিলুপ্ত না করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জনকল্যাণ ও দেশ গঠনমূলক কাজে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সন্তানদের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকরা পেজটির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। জাতিগঠনমূলক ইতিবাচক কাজে পেজটি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করবে। এ বিষয়ে কিশোর ও অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসে তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করেছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। এদিকে মুচলেকা নিয়ে আটক দুই কিশোরকে অভিভাবক ও এলাকার জনপ্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে সমন্বয় করেছেন রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। আর সহায়তা করছেন রামপুরা থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস ফকির।