নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে দাবি করে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবিতে ৩৬ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। রাজধানীর পল্টনে এই সমাবেশে জোটের নেতারা বলেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে সভা-সমাবেশসহ সব ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের আশঙ্কা ভোটাররা ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে। এই ভয় কেন? অবিলম্বে ইসিকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সভা-সমাবেশ করতে না পারার সিদ্ধান্ত এবং সেনাবাহিনীকে নামানোর চেষ্টা থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছেন তারা। সংবিধানের ৩৭ ধারার সকল রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার রয়েছে। তবে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচারণা ব্যতিত কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন থেকে সকলকে বিরত রাখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি। এমন পরিস্থিতি উল্লেখ করে সমাবেশে ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ আন্দোলনের প্রধান অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সভা-সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর সাংবিধানিক অধিকার। এই সরকারের আমলে বিচারবিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান ধবংস করা হয়েছে। অসাংবিধানিক কায়দায় রাজনৈতিক দলগুলোর কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। যা আন্দোনের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়া, ভোট দেওয়া বা না দেওয়া সবই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। যে নির্বাচনে জনমতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না, সেই নির্বাচনে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ যাবেন না। আগামী নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রমাণ করার লক্ষ্যে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) আলোচনায় রাখার জন্য নানা নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ‘নাগরিক ঐক্যে’র সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এ প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য দেখাতে বয়োবৃদ্ধ রওশন এরশাদকে ডেকে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেখলাম শেখ হাসিনা যখন রওশন এরশাদের কাছে এলেন তিনি উঠে দাঁড়াতে পারেন না। এসব করে লাভ নেই। সাধারণ মানুষ সব বোঝে। একতরফা ও অবৈধ নির্বাচন কেউই মেনে নেবে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী নেতাদের আশাবাদ, নির্বাচন ঠেকাতে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পর লাখো মানুষের জমায়েত হবে।