ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

১৫ স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত

  • আপডেট সময় : ০১:৫১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরের ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষক দল। চট্টগ্রামের ৯৯টি এলাকার ৫৭টি স্পট থেকে নমুনা সংগ্রহের পর গবেষণায় ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার গবেষক দলের আহ্বায়ক চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৫ জুলাই থেকে গবেষকরা এ জরিপ চালান। চলতি মাসে এ গবেষণার রিপোর্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) জমা দেওয়া হবে। মশক নিধনে ব্যবহৃত ঔষধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চসিক। এরপর চসিকের অনুরোধে মশক নিধনে ব্যবহৃত ঔষধ পরীক্ষা করতে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার গত ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়াকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সদস্য অধ্যাপক ড. তাপসী ঘোষ রায়, ড. শহিদুল ইসলাম, ড. এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবং মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী। এছাড়াও বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি ও বোটানি ডিপার্টমেন্টের ২০ জন শিক্ষার্থী এ গবেষণায় কাজ করেন। সর্বশেষ ৫ জুলাই থেকে গবেষণার কাজ শুরু করে ছয় সদস্যের এই গবেষক দল। এরপর ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে নগরীর ৫১টি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষকরা। এতে ১৫টি স্পটে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস। বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি। এসব এলাকা থেকে সংগৃহীত লার্ভার শতভাগই ছিল এডিসের। গবেষক দলের আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, ‘নগরে মশার আতঙ্ক বাড়ায় সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ঔষধ নিশ্চিতকরণে সহযোগিতার উদ্দেশে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। গত ৫ জুলাই থেকে জরিপ চালিয়ে গবেষক দল বিভিন্ন স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। লার্ভাগুলো লালন-পালনের পর জন্ম নেওয়া মশাগুলোর ওপর ঔষধ প্রয়োগ করে ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। গবেষণার চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি মাসে সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হবে। আশা করি এ গবেষণা থেকে কার্যকর মশা নিধক ঔষধ সম্পর্কে জানা যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৫ স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত

আপডেট সময় : ০১:৫১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরের ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষক দল। চট্টগ্রামের ৯৯টি এলাকার ৫৭টি স্পট থেকে নমুনা সংগ্রহের পর গবেষণায় ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার গবেষক দলের আহ্বায়ক চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৫ জুলাই থেকে গবেষকরা এ জরিপ চালান। চলতি মাসে এ গবেষণার রিপোর্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) জমা দেওয়া হবে। মশক নিধনে ব্যবহৃত ঔষধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চসিক। এরপর চসিকের অনুরোধে মশক নিধনে ব্যবহৃত ঔষধ পরীক্ষা করতে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার গত ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়াকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সদস্য অধ্যাপক ড. তাপসী ঘোষ রায়, ড. শহিদুল ইসলাম, ড. এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবং মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী। এছাড়াও বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি ও বোটানি ডিপার্টমেন্টের ২০ জন শিক্ষার্থী এ গবেষণায় কাজ করেন। সর্বশেষ ৫ জুলাই থেকে গবেষণার কাজ শুরু করে ছয় সদস্যের এই গবেষক দল। এরপর ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে নগরীর ৫১টি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষকরা। এতে ১৫টি স্পটে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস। বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি। এসব এলাকা থেকে সংগৃহীত লার্ভার শতভাগই ছিল এডিসের। গবেষক দলের আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, ‘নগরে মশার আতঙ্ক বাড়ায় সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ঔষধ নিশ্চিতকরণে সহযোগিতার উদ্দেশে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। গত ৫ জুলাই থেকে জরিপ চালিয়ে গবেষক দল বিভিন্ন স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। লার্ভাগুলো লালন-পালনের পর জন্ম নেওয়া মশাগুলোর ওপর ঔষধ প্রয়োগ করে ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। গবেষণার চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি মাসে সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হবে। আশা করি এ গবেষণা থেকে কার্যকর মশা নিধক ঔষধ সম্পর্কে জানা যাবে।