ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার

  • আপডেট সময় : ০৫:০০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন আর তিন রান। বোলিংয়ে আনা হলো দিমুথ কারুনারাত্নেকে। টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ প্রহরে ম্যাচে শেষবার একটু ছোঁয়া রাখার সুযোগ পেলেন তিনি। তার চার বলেই কাজ শেষ করে নিলেন মার্নাস লাবুশেন। সুখকর হলো না কারুনারাত্নের বিদায়। বড় জয়ে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো অস্ট্রেলিয়ার। গলে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া।

দুই ম্যাচের সিরিজ সফরকারীরা জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ছিলেন না এই সিরিজে। ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেইজেলউডরাও নেই চোটের কারণে। তারপরও স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে দারুণ এক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। শুধু নেতৃত্বেই নয়, সেই জয়ে স্মিথের ছাপ আছে আরও নানা জায়গায় দারুণভাবে। দুই টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি করে ম্যান অব দা সিরিজ তিনিই। রিকি পন্টিংকে (১৯৬) ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম ফিল্ডার হয়েছেন তিনি এই সিরিজেই। সিরিজের শেষ দিনে কুসাল মেন্ডিসের ক্যাচ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম (নন-কিপার) ফিল্ডার হিসেবে ২০০ ক্যাচের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি।

ম্যাচের ভাগ্য একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। চতুর্থ দিনে ৮ উইকেটে ২১১ রান দিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা টিকতে পারে আর মোটে ৬ ওভার। যোগ করতে পারে তারা আর ২০ রান। ৪৮ রানে অপরাজিত থাকা কুসাল মেন্ডিসকে ৫০ রানে থামান লায়ন। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ নেন স্মিথ। লায়ন ও কুনেমানের তখন চারটি করে উইকেট। তবে পাঁচ উইকেট হয়নি কারও। লাহিরু কুমারাকে বোল্ড করে লঙ্কান ইনিংস শেষ করেন বাউ ওয়েবস্টার। রান তাড়ায় ৭৫ রানের লক্ষ্য ছুঁতে একটুও বেগ পেতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। ট্রাভিস হেড আউট হন ২৩ বলে ২০ রান করে। উসমান খাওয়াজা ও মার্নাস লাবুশেন দ্রুতই শেষ করে দেন ম্যাচ। নিজের শততম এই টেস্ট দিয়েই কারুনারাত্নে বিদায় জানালেন টেস্ট ক্রিকেটকে। ব্যাট হাতে ৩৬ ও ২৪ রানের পর দলের এমন পরাজয়ে বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখা হলো না তার। চোটের কারণে যার মাঠে নামাই ছিল অনিশ্চিত, সেই বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু কুনেমান ১৬ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

ন্যাথান লায়নের শিকার ১৪ উইকেট। তবে দুই টেস্টে দুটি ইনিংসে ব্যাট করে ১৪১ ও ১৩১ রানের ইনিংস খেলে সিরিজের সেরা স্মিথ। এই সিরিজ দিয়েই শেষ হলো আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রে সব দলের পালা। বাকি এখন শুধু ফাইনাল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আগেই নিশ্চিত করেছিল ফাইনাল। যেখানে তাদের অপেক্ষায় প্রথমবার ফাইনালে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৫৭
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪১৪
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৬৮.১ ওভারে ২৩১(আগের দিন ২১১/৮) (মেন্ডিস ৫০, কুমারা ৯, পেইরিস ৪*; স্টার্ক ৪-০-২২-০, কুনেমান ২৩-৫-৬৩-৪, হেড ৯-০-৩৪-০, লায়ন ২৮-৩-৮৪-৪, কনোলি ২-০-৯-০, ওয়েবস্টার ২.১-০৬-২)
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৭৫) ১৭.৪ ওভারে ৭৫/১ (খাওয়াজা ২৭*, হেড ২০, লাবুশেন ২৬*; রামেশ ৩-১-১৬-০, পেইরিস ৮-০-৩৪-০, জায়াসুরিয়া ৬-১-২০-১, কারুনারাত্নে ০.৪-০-৩-০)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: অ্যালেক্স কেয়ারি
ম্যান অব দা সিরিজ: স্টিভেন স্মিথ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব বন্ধ না করলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো: উপদেষ্টা মাহফুজ

১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার

আপডেট সময় : ০৫:০০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন আর তিন রান। বোলিংয়ে আনা হলো দিমুথ কারুনারাত্নেকে। টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ প্রহরে ম্যাচে শেষবার একটু ছোঁয়া রাখার সুযোগ পেলেন তিনি। তার চার বলেই কাজ শেষ করে নিলেন মার্নাস লাবুশেন। সুখকর হলো না কারুনারাত্নের বিদায়। বড় জয়ে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো অস্ট্রেলিয়ার। গলে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া।

দুই ম্যাচের সিরিজ সফরকারীরা জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ছিলেন না এই সিরিজে। ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেইজেলউডরাও নেই চোটের কারণে। তারপরও স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে দারুণ এক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। শুধু নেতৃত্বেই নয়, সেই জয়ে স্মিথের ছাপ আছে আরও নানা জায়গায় দারুণভাবে। দুই টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি করে ম্যান অব দা সিরিজ তিনিই। রিকি পন্টিংকে (১৯৬) ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম ফিল্ডার হয়েছেন তিনি এই সিরিজেই। সিরিজের শেষ দিনে কুসাল মেন্ডিসের ক্যাচ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম (নন-কিপার) ফিল্ডার হিসেবে ২০০ ক্যাচের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি।

ম্যাচের ভাগ্য একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। চতুর্থ দিনে ৮ উইকেটে ২১১ রান দিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা টিকতে পারে আর মোটে ৬ ওভার। যোগ করতে পারে তারা আর ২০ রান। ৪৮ রানে অপরাজিত থাকা কুসাল মেন্ডিসকে ৫০ রানে থামান লায়ন। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ নেন স্মিথ। লায়ন ও কুনেমানের তখন চারটি করে উইকেট। তবে পাঁচ উইকেট হয়নি কারও। লাহিরু কুমারাকে বোল্ড করে লঙ্কান ইনিংস শেষ করেন বাউ ওয়েবস্টার। রান তাড়ায় ৭৫ রানের লক্ষ্য ছুঁতে একটুও বেগ পেতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। ট্রাভিস হেড আউট হন ২৩ বলে ২০ রান করে। উসমান খাওয়াজা ও মার্নাস লাবুশেন দ্রুতই শেষ করে দেন ম্যাচ। নিজের শততম এই টেস্ট দিয়েই কারুনারাত্নে বিদায় জানালেন টেস্ট ক্রিকেটকে। ব্যাট হাতে ৩৬ ও ২৪ রানের পর দলের এমন পরাজয়ে বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখা হলো না তার। চোটের কারণে যার মাঠে নামাই ছিল অনিশ্চিত, সেই বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু কুনেমান ১৬ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

ন্যাথান লায়নের শিকার ১৪ উইকেট। তবে দুই টেস্টে দুটি ইনিংসে ব্যাট করে ১৪১ ও ১৩১ রানের ইনিংস খেলে সিরিজের সেরা স্মিথ। এই সিরিজ দিয়েই শেষ হলো আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রে সব দলের পালা। বাকি এখন শুধু ফাইনাল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আগেই নিশ্চিত করেছিল ফাইনাল। যেখানে তাদের অপেক্ষায় প্রথমবার ফাইনালে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৫৭
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪১৪
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৬৮.১ ওভারে ২৩১(আগের দিন ২১১/৮) (মেন্ডিস ৫০, কুমারা ৯, পেইরিস ৪*; স্টার্ক ৪-০-২২-০, কুনেমান ২৩-৫-৬৩-৪, হেড ৯-০-৩৪-০, লায়ন ২৮-৩-৮৪-৪, কনোলি ২-০-৯-০, ওয়েবস্টার ২.১-০৬-২)
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৭৫) ১৭.৪ ওভারে ৭৫/১ (খাওয়াজা ২৭*, হেড ২০, লাবুশেন ২৬*; রামেশ ৩-১-১৬-০, পেইরিস ৮-০-৩৪-০, জায়াসুরিয়া ৬-১-২০-১, কারুনারাত্নে ০.৪-০-৩-০)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: অ্যালেক্স কেয়ারি
ম্যান অব দা সিরিজ: স্টিভেন স্মিথ