প্রত্যাশা ডেস্ক: পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে ভারতের বলিউড তারকা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, এভাবে কথা বলতে থাকলে আর যদি আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়, তাহলে একের পর এক ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যাবে। তাতেও যদি না হয়, তাহলে আমরা এমন একটি বাঁধ বানাবো, যেখানে ১৪০ কোটি মানুষ প্রস্রাব করবে। তারপর বাঁধের দরজা খুলে দিলে সুনামি হয়ে যাবে।
মূলত পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন মিঠুন। পরে অবশ্য তিনি বলেন, আমার পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমার এসব সব কথা শুধু তার (বিলাওয়াল ভুট্টো) জন্য।
গত সোমবার (১১ আগস্ট) সিন্ধু প্রাদেশিক সরকারের একটি অনুষ্ঠানে বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, ভারত যদি সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখে, তবে পাকিস্তানের হাতে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা যুদ্ধ করে ৬টি নদীর অধিকার ফেরত নেওয়ার মতো শক্তিশালী। ভারত যদি এই পথে আগাতে থাকে, তাহলে আমাদের কাছে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যুদ্ধসহ সব ধরনের বিকল্প খোলা থাকবে।
তিনি বলেন, সিন্ধু নদের পানি প্রবাহে পরিবর্তন পাকিস্তানের ‘ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ওপর’ আঘাত। বিশেষ করে, সিন্ধু প্রদেশের জন্য হুমকি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সিন্ধু নদীতে বাঁধ প্রকল্প পাকিস্তানের পানি নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। বিলওয়ালের দাবি, এর পেছনে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে পরাজয় মেনে নিতে না পেরেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
এদিকে, চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সময়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরও ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে পারমাণবিক হামলার হুমকি দেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, অস্তিত্ব সংকট দেখা দিলে পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ব্যবহার করবে ও ভারত যদি পাকিস্তানে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়, তবে তারা ভারতীয় অবকাঠামো ধ্বংস করে দেবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অসিম মুনিরের এই মন্তব্যের জবাবে জানায়, পাকিস্তানের নতুন পারমাণবিক হুমকি দেশটির পারমাণবিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আরো জোরদার করেছে। মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ভারত কোনো ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের’ কাছে নতি স্বীকার করবে না ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ় থাকবে। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা দাবি করে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে নয়াদিলি। ভরতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তখন জানিয়েছিলেন, এই চুক্তি আর কখনো পুনর্বহাল হবে না। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস