ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

১৩ রোহিঙ্গা নারী পাচারের মামলায় হাইকোর্টেও জামিন মেলেনি

  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৩ রোহিঙ্গা নারীর পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি কবির আহমেদ ও ইমরানের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে তারা কারামুক্ত হতে পারছেন না।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবির নন্দী দাস। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে কক্সবাজারের কুতুবপালং থেকে ১৩ রোহিঙ্গা নারীকে ঢাকা আনেন। মালয়েশিয়া পাঠাতে উন্নত জীবনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের আনা হয়। এসব নারীর ভুয়া নাম, পরিচয় ও ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি ও অবৈধ উপায়ে ভিসা প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলেন। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি নাগরিক না, তারা কোনোভাবেই এদেশ থেকে মালয়েশিয়ার কোনো ভিসা তৈরি করতে পারেন না। এই আসামিরা গুরুতর অপরাধ করেছেন। এদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। তাদেরকে ঢাকার বাড্ডার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি র‌্যাবের ডিএডি (নায়েব সুবেদার) মো. রমজান আলী বাড্ডা থানায় মামলা করেন। আসামি কবির আহমেদ ও মো. ইমরানের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিরা বিচারিক আদালত জামিন পাননি। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

১৩ রোহিঙ্গা নারী পাচারের মামলায় হাইকোর্টেও জামিন মেলেনি

আপডেট সময় : ১২:৪৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৩ রোহিঙ্গা নারীর পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি কবির আহমেদ ও ইমরানের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে তারা কারামুক্ত হতে পারছেন না।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবির নন্দী দাস। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে কক্সবাজারের কুতুবপালং থেকে ১৩ রোহিঙ্গা নারীকে ঢাকা আনেন। মালয়েশিয়া পাঠাতে উন্নত জীবনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের আনা হয়। এসব নারীর ভুয়া নাম, পরিচয় ও ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি ও অবৈধ উপায়ে ভিসা প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলেন। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি নাগরিক না, তারা কোনোভাবেই এদেশ থেকে মালয়েশিয়ার কোনো ভিসা তৈরি করতে পারেন না। এই আসামিরা গুরুতর অপরাধ করেছেন। এদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। তাদেরকে ঢাকার বাড্ডার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি র‌্যাবের ডিএডি (নায়েব সুবেদার) মো. রমজান আলী বাড্ডা থানায় মামলা করেন। আসামি কবির আহমেদ ও মো. ইমরানের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিরা বিচারিক আদালত জামিন পাননি। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।