ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

১৩৬টি দাবানলে পুড়ছে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অঞ্চলে এমনিতে প্রচ- গরমে অতিষ্ট জনজীবন। তার উপর শুরু হয়েছে দাবানল। গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ওয়াইল্ডফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রদেশে ১৩৬টিরও বেশি দাবাদল এখন সক্রিয় রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ১২ হাজার বজ্রপাত আঘাত হানে বলেও জানিয়েছে তারা। সূত্র: বিবিসি।
কানাডার ফেডারেল সরকার জানিয়েছে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় যারা দাবানল নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে তাদের সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনীর বিমান পাঠানো হবে।
কয়েকদিন আগে ওই প্রদেশের লাইটন গ্রাম থেকে মানুষজন পালিয়ে যান। গত মঙ্গলবার লাইটনে ৪৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই গ্রামটি আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ভ্যাঙ্কুভার থেকে ২৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত গ্রাম লাইটন। অগ্নিশিখা দেখে এই গ্রামের প্রায় ২৫০ মানুষ তাদের বাড়িতে থাকা মালামাল না নিয়েই গত বুধবার সন্ধ্যায় গ্রাম ত্যাগ করেন।
মেয়র জ্যান পোলডারম্যান বলেছেন, ‘মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে পুরো শহরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তন আবহাওয়ার এই কঠিন পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করবে। বিশ্ব উষ্ণতার কারণে আরো অনেক কঠিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হবে মানুষ।
কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিত সাজ্জান বলেছেন, ‘দাবানল নিয়ন্ত্রণে সরকার সবধরনের সহায়তা করবে। সামরিক বিমান এবং কর্মকর্তাদের পাঠানো হবে।’
দাবানলের কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপদাহের কারণে গত সপ্তাহের প্রায় ৭১৯ জন মারা গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

১৩৬টি দাবানলে পুড়ছে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া

আপডেট সময় : ০১:৩২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অঞ্চলে এমনিতে প্রচ- গরমে অতিষ্ট জনজীবন। তার উপর শুরু হয়েছে দাবানল। গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ওয়াইল্ডফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রদেশে ১৩৬টিরও বেশি দাবাদল এখন সক্রিয় রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ১২ হাজার বজ্রপাত আঘাত হানে বলেও জানিয়েছে তারা। সূত্র: বিবিসি।
কানাডার ফেডারেল সরকার জানিয়েছে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় যারা দাবানল নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে তাদের সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনীর বিমান পাঠানো হবে।
কয়েকদিন আগে ওই প্রদেশের লাইটন গ্রাম থেকে মানুষজন পালিয়ে যান। গত মঙ্গলবার লাইটনে ৪৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই গ্রামটি আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ভ্যাঙ্কুভার থেকে ২৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত গ্রাম লাইটন। অগ্নিশিখা দেখে এই গ্রামের প্রায় ২৫০ মানুষ তাদের বাড়িতে থাকা মালামাল না নিয়েই গত বুধবার সন্ধ্যায় গ্রাম ত্যাগ করেন।
মেয়র জ্যান পোলডারম্যান বলেছেন, ‘মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে পুরো শহরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তন আবহাওয়ার এই কঠিন পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করবে। বিশ্ব উষ্ণতার কারণে আরো অনেক কঠিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হবে মানুষ।
কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিত সাজ্জান বলেছেন, ‘দাবানল নিয়ন্ত্রণে সরকার সবধরনের সহায়তা করবে। সামরিক বিমান এবং কর্মকর্তাদের পাঠানো হবে।’
দাবানলের কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপদাহের কারণে গত সপ্তাহের প্রায় ৭১৯ জন মারা গেছে।