ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

১৩৩ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করলো গণফোরাম

  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

গণফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩৩ জন প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে গণফোরাম।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, তিনি নিজে ঢাকা-৬ আসন থেকে প্রার্থীতা করবেন। এছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান প্রার্থীতা করবেন মাগুরা-১ আসন থেকে। এছাড়া দলের সভাপতি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন লড়বেন ঢাকা-৫ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক নরসিংদী-৩, মোশতাক আহমেদ কুমিল্লা-৩, অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর চাঁদপুর-৩, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম বরগুনা-২, অ্যাডভোকেট আনসার খান সিলেট-১, আব্দুল হাসিব চৌধুরী হবিগঞ্জ-৩, শ্রী রতন ব্যানার্জী চট্টগ্রাম-৫, অ্যাডভোকেট আবদুল হাফিজ ঝিনাইদহ-২, অ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস বরিশাল-৬ এবং গোলাম হোসেন আবাব সুনামগঞ্জ-৩।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান লড়বেন ময়মনসিংহ-৮, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে।
এসময় এসব আসন ছাড়াও সারা দেশের ১৩৩ আসনের প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন সুব্রত চৌধুরী। ঘোষণা শেষে তিনি বলেন, আমাদের ১৩৩ জনের নাম আজকে আমরা প্রকাশ করলাম। বাকিগুলো আমরা পরবর্তী পর্যায়ে দেবো। আজকে যাদের নাম নেই তারা আগামী পর্যায়ে সুযোগ পাবেন। এটা একটা আংশিক তালিকা, প্রাথমিক তালিকা। এখান থেকে অনেকে বাদও যেতে পারেন আবার অনেক নতুন করে যুক্তও হতে পারেন। প্রার্থী ঘোষণার আগে বক্তব্যে সুব্রত চৌধুরী বলেন, গত ১৭ তারিখ যে জুলাই সনদ বের হয়েছিল। সেখানে অনেক দল সই করেছে, দুই-একটি দল করে নাই। তার মধ্যে আবার নতুন দলও আছে যারা জুলাই সনদের অগ্রবাহিনী হিসেবে নিজেদের দাবি করে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে ঐক্যটা জুলাই আন্দোলন এবং তার আগে থেকে আমাদের কাছে সৃষ্টি হয়েছিল সে সময়ে এসে কয়েকটি দল আবার নতুন করে কিন্তু দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে উপস্থাপন করছে। এমনকি তারা বলেছে, প্রথমত পিআর পদ্ধতি না হলে বাংলাদেশে কোনও নির্বাচন হবে না। দ্বিতীয়ত তারা বলছে, গণভোট যদি নির্বাচনের আগে না হয় তাইলে ফেব্রুয়ারিতে কোনও নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নাই। ২০২৯ এ নাকি নির্বাচন হবে। প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পরেও আগামী সোমবারেও নাকি আবার যমুনা বাসভবন ঘেরাও করা হবে।

গণভোট নিয়ে তিনি বলেন, গণভোট প্রশ্নে যে চার দফা দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। আমাদেরও আছে। যে এটা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই। এটার ভাষাগত ব্যাপার আছে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মার্কা দেখে নির্বাচন করতে ঐক্য হয়ে গেছে। আর এই চারটা দাগের ওপর ‘হা’—‘না’ ভোট তো খুব কঠিন। আপনি তিনটাতে ‘হা’ হতে পারেন, দুটিতে ‘না’ হতে পারে। এই হিসাব নিকাশ কীভাবে হবে? তার মানে এখানেও একটা শুভংকরের ফাঁকি আছে। তিনি আরো বলেন, প্যাকেজ করে দিয়েছে চারটা সংবিধান বিষয়ে আপনাকে আগে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে। আপনার আপনার যেটাতে ‘না’ দেওয়ার কথা সেটার সুযোগ রাখছে না। আর ‘না’ বললে পুরাটাই না বলতে হবে। তাইলে এই বিতর্কটা থেকেই গেল এবং এটা চলতে থাকবে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের যে অবস্থা তারা প্রতিটা বিষয়, প্রতিটা শব্দ বোঝার ব্যাপারে একটু কষ্ট হবে।

সানা/আপ্র/১৫/১১/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

১৩৩ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করলো গণফোরাম

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩৩ জন প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে গণফোরাম।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, তিনি নিজে ঢাকা-৬ আসন থেকে প্রার্থীতা করবেন। এছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান প্রার্থীতা করবেন মাগুরা-১ আসন থেকে। এছাড়া দলের সভাপতি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন লড়বেন ঢাকা-৫ আসন থেকে, অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক নরসিংদী-৩, মোশতাক আহমেদ কুমিল্লা-৩, অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর চাঁদপুর-৩, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম বরগুনা-২, অ্যাডভোকেট আনসার খান সিলেট-১, আব্দুল হাসিব চৌধুরী হবিগঞ্জ-৩, শ্রী রতন ব্যানার্জী চট্টগ্রাম-৫, অ্যাডভোকেট আবদুল হাফিজ ঝিনাইদহ-২, অ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস বরিশাল-৬ এবং গোলাম হোসেন আবাব সুনামগঞ্জ-৩।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান লড়বেন ময়মনসিংহ-৮, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে।
এসময় এসব আসন ছাড়াও সারা দেশের ১৩৩ আসনের প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন সুব্রত চৌধুরী। ঘোষণা শেষে তিনি বলেন, আমাদের ১৩৩ জনের নাম আজকে আমরা প্রকাশ করলাম। বাকিগুলো আমরা পরবর্তী পর্যায়ে দেবো। আজকে যাদের নাম নেই তারা আগামী পর্যায়ে সুযোগ পাবেন। এটা একটা আংশিক তালিকা, প্রাথমিক তালিকা। এখান থেকে অনেকে বাদও যেতে পারেন আবার অনেক নতুন করে যুক্তও হতে পারেন। প্রার্থী ঘোষণার আগে বক্তব্যে সুব্রত চৌধুরী বলেন, গত ১৭ তারিখ যে জুলাই সনদ বের হয়েছিল। সেখানে অনেক দল সই করেছে, দুই-একটি দল করে নাই। তার মধ্যে আবার নতুন দলও আছে যারা জুলাই সনদের অগ্রবাহিনী হিসেবে নিজেদের দাবি করে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে ঐক্যটা জুলাই আন্দোলন এবং তার আগে থেকে আমাদের কাছে সৃষ্টি হয়েছিল সে সময়ে এসে কয়েকটি দল আবার নতুন করে কিন্তু দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে উপস্থাপন করছে। এমনকি তারা বলেছে, প্রথমত পিআর পদ্ধতি না হলে বাংলাদেশে কোনও নির্বাচন হবে না। দ্বিতীয়ত তারা বলছে, গণভোট যদি নির্বাচনের আগে না হয় তাইলে ফেব্রুয়ারিতে কোনও নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নাই। ২০২৯ এ নাকি নির্বাচন হবে। প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পরেও আগামী সোমবারেও নাকি আবার যমুনা বাসভবন ঘেরাও করা হবে।

গণভোট নিয়ে তিনি বলেন, গণভোট প্রশ্নে যে চার দফা দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। আমাদেরও আছে। যে এটা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই। এটার ভাষাগত ব্যাপার আছে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মার্কা দেখে নির্বাচন করতে ঐক্য হয়ে গেছে। আর এই চারটা দাগের ওপর ‘হা’—‘না’ ভোট তো খুব কঠিন। আপনি তিনটাতে ‘হা’ হতে পারেন, দুটিতে ‘না’ হতে পারে। এই হিসাব নিকাশ কীভাবে হবে? তার মানে এখানেও একটা শুভংকরের ফাঁকি আছে। তিনি আরো বলেন, প্যাকেজ করে দিয়েছে চারটা সংবিধান বিষয়ে আপনাকে আগে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে। আপনার আপনার যেটাতে ‘না’ দেওয়ার কথা সেটার সুযোগ রাখছে না। আর ‘না’ বললে পুরাটাই না বলতে হবে। তাইলে এই বিতর্কটা থেকেই গেল এবং এটা চলতে থাকবে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের যে অবস্থা তারা প্রতিটা বিষয়, প্রতিটা শব্দ বোঝার ব্যাপারে একটু কষ্ট হবে।

সানা/আপ্র/১৫/১১/২০২৫