ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

১৩৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ,এবি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তা

  • আপডেট সময় : ০২:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এলসির বিপরীতে ব্যাংক থেকে ১৩৩ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নিয়ে তা পরিশোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেডের (এবি) সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যজন ব্যাংকটির গ্রাহক। তার নাম মোজাহের হোসেন। তিনি মেসার্স ইয়াসির এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর।
গতকাল বুধবার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি অনুমোদন করে। বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
যে দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন এবি ব্যাংকের হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) মো. নাজির হোসেন এবং একই শাখার সাবেক সিনিয়র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএভিপি) আজাদ হোসেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, মেসার্স ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর মোজাহের হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবি ব্যাংকটির চট্টগ্রাম হালিশহর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিনের সুপারিশে ২০১২ সালে এ বি ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয় শর্তসাপেক্ষে সর্বমোট ৮৪ কোটি টাকার কম্পোজিট ঋণ সুবিধা অনুমোদন করে। যার মধ্যে রিভলভিং এল.সি. ৮০ কোটি কোটি ও বিভি টাইম লোন চার কোটি টাকা। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, এবি ব্যাংকের পোর্ট কানেকটিং রোড শাখার ইভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজির হোসেন মাত্র ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার জমি সহায়ক জামানত নিয়ে মেসার্স ইয়াসির এন্টারপ্রাইজকে ঋণ সুবিধার প্রস্তাব দিয়েছেন। মালামাল সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত না হয়েই তিনি বৈদেশিক ব্যাংকের দায় পরিশোধ করেছেন। একইভাবে একই মঞ্জুরিপত্রের অনুমোদনের আলোকে গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ২৯০ টাকা মূল্যের অপর একটি ইনল্যান্ড এলসি খোলা হয়। যার মধ্যে ৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬১ টাকার একটিঅর করে এলসি দায় পরিশোধ করা হয়। ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী ৩১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহক কোনো অর্থ পরিশোধ না করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঋণ সুবিধা নেওয়ার শর্তানুযায়ী ২০১৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহক মালামালের বিক্রয়লব্ধ অর্থ হিসাব সমন্বয়ে ব্যবহার না করে ব্যাংকের টাকা অপব্যবহারপূর্বক অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে এই টাকা আত্মসাৎ করেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৩৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ,এবি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০২:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : এলসির বিপরীতে ব্যাংক থেকে ১৩৩ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নিয়ে তা পরিশোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেডের (এবি) সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যজন ব্যাংকটির গ্রাহক। তার নাম মোজাহের হোসেন। তিনি মেসার্স ইয়াসির এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর।
গতকাল বুধবার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি অনুমোদন করে। বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
যে দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন এবি ব্যাংকের হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) মো. নাজির হোসেন এবং একই শাখার সাবেক সিনিয়র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএভিপি) আজাদ হোসেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, মেসার্স ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর মোজাহের হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবি ব্যাংকটির চট্টগ্রাম হালিশহর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিনের সুপারিশে ২০১২ সালে এ বি ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয় শর্তসাপেক্ষে সর্বমোট ৮৪ কোটি টাকার কম্পোজিট ঋণ সুবিধা অনুমোদন করে। যার মধ্যে রিভলভিং এল.সি. ৮০ কোটি কোটি ও বিভি টাইম লোন চার কোটি টাকা। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, এবি ব্যাংকের পোর্ট কানেকটিং রোড শাখার ইভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজির হোসেন মাত্র ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার জমি সহায়ক জামানত নিয়ে মেসার্স ইয়াসির এন্টারপ্রাইজকে ঋণ সুবিধার প্রস্তাব দিয়েছেন। মালামাল সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত না হয়েই তিনি বৈদেশিক ব্যাংকের দায় পরিশোধ করেছেন। একইভাবে একই মঞ্জুরিপত্রের অনুমোদনের আলোকে গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ২৯০ টাকা মূল্যের অপর একটি ইনল্যান্ড এলসি খোলা হয়। যার মধ্যে ৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬১ টাকার একটিঅর করে এলসি দায় পরিশোধ করা হয়। ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী ৩১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহক কোনো অর্থ পরিশোধ না করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঋণ সুবিধা নেওয়ার শর্তানুযায়ী ২০১৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহক মালামালের বিক্রয়লব্ধ অর্থ হিসাব সমন্বয়ে ব্যবহার না করে ব্যাংকের টাকা অপব্যবহারপূর্বক অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে এই টাকা আত্মসাৎ করেন।