ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

১২ দিনের অবস্থানেও পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিকদের দাবি অধরা

  • আপডেট সময় : ০৮:১০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

রোববার ১২তম দিনের মতো রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পবিস শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যে বিদ্যমান সংকট নিরসনের জন্য গত ২১ মে থেকে ৭ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পবিস শ্রমিকরা। টানা ১২ দিন অবস্থানের পরেও এখনও দাবি পূরণ হয়নি তাদের।

রোববার (১ জুন) ১২তম দিনের মতো রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করেন পবিস শ্রমিকরা। বিদ্যুৎ সেবা নিরবচ্ছিন্ন রেখে কর্মসূচি পালিত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সংকট সমাধানে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রোববার তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।

গত ২১ মে থেকে ৭ দফা দাবিতে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি এবং মাঠ পর্যায়ে সব সমিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো রোববারও বৃষ্টিতে ভিজে শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন পবিস শ্রমিকরা। আগের থেকে জনবল আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা ১২ দিনের আন্দোলনে মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়লেও দাবি পূরণ না করে শহীদ মিনার ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না তাদের মধ্যে। অবস্থানরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিন আগে যে কমিশন গঠন হয়েছিল, তার ওপর তারা ভরসা রাখতে পারছে না। তাই সরাসরি দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলমান থাকবে। তবে রোববার (১ জুন) মন্ত্রণালয় থেকে লোক এসে তাদের সঙ্গে কথা বলার কথা রয়েছে।

তাদের দাবিগুলো-

১। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ।

২। এক ও অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন।

৩। মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।

৪। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল।

৫। গ্রাহকসেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে।

৬। জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা বা শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

৭। পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১২ দিনের অবস্থানেও পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিকদের দাবি অধরা

আপডেট সময় : ০৮:১০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যে বিদ্যমান সংকট নিরসনের জন্য গত ২১ মে থেকে ৭ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পবিস শ্রমিকরা। টানা ১২ দিন অবস্থানের পরেও এখনও দাবি পূরণ হয়নি তাদের।

রোববার (১ জুন) ১২তম দিনের মতো রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করেন পবিস শ্রমিকরা। বিদ্যুৎ সেবা নিরবচ্ছিন্ন রেখে কর্মসূচি পালিত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সংকট সমাধানে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রোববার তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।

গত ২১ মে থেকে ৭ দফা দাবিতে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি এবং মাঠ পর্যায়ে সব সমিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো রোববারও বৃষ্টিতে ভিজে শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন পবিস শ্রমিকরা। আগের থেকে জনবল আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা ১২ দিনের আন্দোলনে মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়লেও দাবি পূরণ না করে শহীদ মিনার ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না তাদের মধ্যে। অবস্থানরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিন আগে যে কমিশন গঠন হয়েছিল, তার ওপর তারা ভরসা রাখতে পারছে না। তাই সরাসরি দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলমান থাকবে। তবে রোববার (১ জুন) মন্ত্রণালয় থেকে লোক এসে তাদের সঙ্গে কথা বলার কথা রয়েছে।

তাদের দাবিগুলো-

১। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ।

২। এক ও অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন।

৩। মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।

৪। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল।

৫। গ্রাহকসেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে।

৬। জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা বা শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

৭। পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।