নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২২ সালের শেষের দিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ১২টি দল মিলে গঠিত হয় ১২ দলীয় জোট। তারা সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন অংশ নেয়। কিন্তু ২০২৩ সালে এ জোট থেকে বেরিয়ে যায় মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে লেবার পার্টি। তবে, ফারুক রহমানের নেতৃত্বে লেবার পার্টির একটি অংশ জোটে থেকে যায়।
সর্বশেষ শনিবার (১ মার্চ) ১২ দলীয় জোটে দ্বিতীয় দফায় ভাঙন ধরেছে। এ জোট থেকে মোস্তাফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফা জামাল হায়দার একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ (শনিবার) আমাদের দলের বৈঠক ছিল। সেখানে ১২ দলীয় জোটের নামসর্বস্ব দলগুলো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা জোট থেকে বেরিয়ে যাব কেন? এ জোট গঠন করেছি আমরা। যারা জোটে নিষ্ক্রয় তাদের বের করে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জোটের শরিক দল বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) শাহাদাত হোসেন সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে মোস্তাফা জামালের হায়দারের একক উপস্থিতি ছাড়া তার দলের অন্য কেউ জোটে তেমন সক্রিয় ছিল না। তারই ধারাবাহিকতায় আজ জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি আমরা। তবে তাদের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ১২ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ আছে উল্লেখ করে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমরা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলাম, আগামীতেও থাকব।
১২ দলীয় জোট থেকে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) বেরিয়ে গেলেও জোটে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেলিম বলেন, আমাদের জোটের অন্য দলগুলোর সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে।
১২ দলীয় জোট থেকে অন্যদের বের করে দেওয়া হবে– মোস্তাফা জামাল হায়দারের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ কথা বলার উনি কে। তারা বেরিয়ে গেলেও ১২ দলীয় জোট অটুট থাকবে।