আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর ইথিওপিয়ায় প্রায় ১২ হাজার বছর ধরে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি হাইলি গুব্বিতে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে। রোববার সকালে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই অগ্ন্যুৎপাত থেকে ছড়িয়ে পড়া ছাইয়ের মেঘ লাল সাগর পেরিয়ে ইয়েমেন ও ওমানের দিকে ধেয়ে যায়।
আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলে এই আগ্নেয়গিরির অবস্থান। অগ্ন্যুৎপাতের পর কাছাকাছি অবস্থিত আফদেরা গ্রামের ঘরবাড়ি ঘন ছাইয়ে ঢেকে গেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আফার কর্তৃপক্ষ কোনো হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেনি।
ফ্রান্সের টুলুজ ভলকানিক অ্যাশ অ্যাডভাইজরি সেন্টারের (ভিএএসি) তথ্য অনুযায়ী, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে প্রায় ১৪ কিলোমিটার (নয় মাইল) উচ্চতায় ছাই ও ধোঁয়া উঠে যায়। এর প্রভাবে ইয়েমেন, ওমান, ভারত ও উত্তর পাকিস্তান পর্যন্ত ছাইয়ের মেঘ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ আবদেলা বলেন, ‘হঠাৎ মনে হলো যেন একটা বড় বোমা বিস্ফোরিত হলো।
এদিকে এই আগ্নেয়গিরির ভাসমান ছাইয়ের কারণে সোমবার ভারতের একাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিমান বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দরগুলোকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন।
আকাসা এয়ার, ইন্ডিগো এবং কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের মতো বেশ কিছু সংস্থা তাদের কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে। এ ছাড়া ডানাকিল মরুভূমির দিকে যাওয়া বহু পর্যটক সোমবার আফদেরায় ছাইয়ের কারণে আটকে পড়েন।
স্থানীয় প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদ জানান, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃত্যুর খবর নেই, তবে এর অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে। তার ভাষায়, ‘মানুষ মারা যায়নি, পশুও নয়। কিন্তু বহু গ্রাম ছাইয়ে ঢেকে গেছে। ফলে গবাদিপশুর খাবারের সংকট তৈরি হয়েছে।’
আগ্নেয়গিরিটি রিফট ভ্যালির ভূ-তাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত, যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে।
স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউশনের গ্লোবাল ভলকানিজম প্রোগ্রাম জানায়, হাইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরির বর্তমান ভূতাত্ত্বিক যুগ হলোকিনে (প্রায় ১২,০০০ বছর আগে শুরু) কোনো অগ্ন্যুৎপাতের রেকর্ড নেই।
এসি/আপ্র/২৫/১১/২০২৫



















