আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে করোনার ভয়াবহতার মধ্যেই নতুন শঙ্কা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’। এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, গত একদিনেই করোনায় মারা গেছে প্রায় চার হাজার জন। টিকা সংকটের মধ্যেই ভারতের উত্তরাঞ্চলে অন্তত ২০ জন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের একটি করে ডোজ নিলেও তাদের কোনো রকম স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হয়নি। অন্যদিকে, ফাইজারের টিকা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের জন্য সর্বোচ্চ কার্যকর বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
একদিকে মহামারি করোনা, অন্যদিকে নতুন দুঃস্বপ্ন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। কালো ছত্রাকের সংক্রমণ ইতোমধ্যেই ছড়িয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত ১১ টি রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, গেল একদিনে দেশটিতে করোনায় মারা গেছে প্রায় চার হাজার মানুষ। দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের এক চতুর্থাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর বলে সম্প্রতি দেশটির এক সরকারি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। অবস্থা ভয়াবহ হাসপাতালগুলোতেও। গুজরাটে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্কুল ও হোস্টেলগুলোকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে কোনো জায়গা নেই। অক্সিজেন সংকট চরমে। ভয়াবহ দিন পার করছি আমরা। টিকাকেন্দ্রে টিকা সংকট থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। কবে পাব তাও জানি না।
টিকা সংকটে রয়েছে দেশটি। এ জটিলতার মধ্যেই ভারতের উত্তরাঞ্চলে অন্তত ২০ জন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি কোভিশিল্ড ও নিজ দেশে তৈরি কোভ্যাক্সিনের একটি করে ডোজ নিয়েছেন। পরপর দুটি ভিন্ন ডোজ হলেও তাদের এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়েনি।
এদিকে, বিশ্বের ৫৩ টি অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। আর এ ভ্যারিয়েন্টে ফাইজারের টিকা সর্বোচ্চ কার্যকর বলে দাবি তাদের। ফাইজার কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, তাদের টিকা শিশুদের জন্যেও কার্যকর।
১১ হাজার মানুষের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ