ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে ১০ লাখ লোক জমায়েতের টার্গেট যুবলীগের

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি। সুবর্ণজয়ন্তী পালনে ওই দিন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দানে যুব মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটি। ১০ লাখ লোকের জমায়েত করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুবলীগের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, এই যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি দিকনির্দেশনামূলক ‘নতুন বার্তা’ দেবেন বলেও আশা করছেন নেতাকর্মীরা।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে তারা ১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছেন। এতে ১০ লাখ লোক জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছেন এবং সে অনুযায়ী ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে, সেখানে দিকনির্দেশনামূলক রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
জানা গেছে, বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশের পর আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এর বিপরীতে ১১ নভেম্বর যুব মহাসমাবেশ করে শক্তির আগাম জানান দিতে চায় যুবলীগ। সমাবেশে আওয়ামী লীগ প্রধানের বার্তা নিয়ে কেন্দ্র থেকে ইউনিট পর্যন্ত নতুন করে সংগঠিত হয়ে সতর্ক অবস্থান নেবে সরকারি দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বড় জমায়েত করার নির্দেশ : মহাসমাবেশে রাজধানীর প্রতিটি থানা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ইউনিট পর্যন্ত কমিটিভিত্তিক বড় জমায়েত করতে বলা হয়েছে। গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রস্তুতি সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা কে কত লোক নিয়ে সমাবেশে আসবেন, সেই হিসাবও জানান। তাতে ৩ থেকে ৫ হাজার লোকজন নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি আশপাশের জেলার নেতাকর্মীদেরও সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শনিবার (২৯ অক্টোবর) যুবলীগের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার নেতাদের সঙ্গে সভা করে সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, তার জেলা থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে আসতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। একইভাবে ঢাকার আশপাশের অন্য জেলাগুলোর নেতাদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুরু হয়ে গেছে সাজসজ্জা : যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ জানান, ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশ শুরু হবে। দুপুর ২টায় সমাবেশস্থলে আসবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ ও বের হওয়ার চারটি গেট থাকবে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকেই সমাবেশ কেন্দ্রিক সাজসজ্জা শুরু হয়েছে। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ঝুলবে ঢাকাজুড়ে। সমাবেশে কোনও ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রত্যেকের মাথায় থাকবে লাল ক্যাপ, হাতে থাকবে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা। বিশাল জনসমুদ্র পরিণত হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। পুরো সমাবেশে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
নির্দেশের অপেক্ষা : অতীতের প্রতিটি আন্দোলনে শেখ হাসিনার পক্ষে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে যুবলীগ, এই কথা উল্লেখ করে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিএনপির মোকাবিলায় এবার প্রয়োজন হলে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবো আমরা। যেখানে তাদের দেখা যাবে, সেখানেই মোকাবিলা করবে যুবলীগ। ১০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে তারা। আমরাও তো ঘরে বসে থাকবো না। ১১ নভেম্বর থেকে রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবো। অতীতের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বাক্ষর রাখবে যুবলীগ। নেত্রী যে নির্দেশনা সমাবেশে দেবেন, তা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো আমরা।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, দীর্ঘদিন পর প্রথমবারের মতো খোলা ময়দানে যুবলীগের মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন আমাদের নেত্রী। তার নির্দেশনা শুনতে আমাদের নেতাকর্মীসহ ঢাকাবাসী ঘর ছেড়ে এই সমাবেশে উপস্থিত হবেন। জনসমুদ্রে পরিণত হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সমাবেশে ১০ লাখ লোক জমায়েতের টার্গেট করেছি আমরা। দেশের বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন সমাবেশে। সে অনুযায়ী ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
১১ নভেম্বরের সমাবেশকে ‘বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবিলার কর্মসূচি’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আগামীতে স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সেদিন বিশাল জনসমুদ্রে নির্দেশনা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী আমাদের নেতাকর্মীরা ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থান নেবেন। ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত রাজপথে নামলে যেখানেই দেখা যাবে, সেখানেই তাদের মোকাবিলা করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে ১০ লাখ লোক জমায়েতের টার্গেট যুবলীগের

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি। সুবর্ণজয়ন্তী পালনে ওই দিন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দানে যুব মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটি। ১০ লাখ লোকের জমায়েত করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুবলীগের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, এই যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি দিকনির্দেশনামূলক ‘নতুন বার্তা’ দেবেন বলেও আশা করছেন নেতাকর্মীরা।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে তারা ১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছেন। এতে ১০ লাখ লোক জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছেন এবং সে অনুযায়ী ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে, সেখানে দিকনির্দেশনামূলক রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
জানা গেছে, বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশের পর আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এর বিপরীতে ১১ নভেম্বর যুব মহাসমাবেশ করে শক্তির আগাম জানান দিতে চায় যুবলীগ। সমাবেশে আওয়ামী লীগ প্রধানের বার্তা নিয়ে কেন্দ্র থেকে ইউনিট পর্যন্ত নতুন করে সংগঠিত হয়ে সতর্ক অবস্থান নেবে সরকারি দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বড় জমায়েত করার নির্দেশ : মহাসমাবেশে রাজধানীর প্রতিটি থানা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ইউনিট পর্যন্ত কমিটিভিত্তিক বড় জমায়েত করতে বলা হয়েছে। গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রস্তুতি সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা কে কত লোক নিয়ে সমাবেশে আসবেন, সেই হিসাবও জানান। তাতে ৩ থেকে ৫ হাজার লোকজন নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি আশপাশের জেলার নেতাকর্মীদেরও সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শনিবার (২৯ অক্টোবর) যুবলীগের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার নেতাদের সঙ্গে সভা করে সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, তার জেলা থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে আসতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। একইভাবে ঢাকার আশপাশের অন্য জেলাগুলোর নেতাদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুরু হয়ে গেছে সাজসজ্জা : যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ জানান, ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশ শুরু হবে। দুপুর ২টায় সমাবেশস্থলে আসবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ ও বের হওয়ার চারটি গেট থাকবে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকেই সমাবেশ কেন্দ্রিক সাজসজ্জা শুরু হয়েছে। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ঝুলবে ঢাকাজুড়ে। সমাবেশে কোনও ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রত্যেকের মাথায় থাকবে লাল ক্যাপ, হাতে থাকবে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা। বিশাল জনসমুদ্র পরিণত হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। পুরো সমাবেশে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
নির্দেশের অপেক্ষা : অতীতের প্রতিটি আন্দোলনে শেখ হাসিনার পক্ষে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে যুবলীগ, এই কথা উল্লেখ করে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিএনপির মোকাবিলায় এবার প্রয়োজন হলে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবো আমরা। যেখানে তাদের দেখা যাবে, সেখানেই মোকাবিলা করবে যুবলীগ। ১০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে তারা। আমরাও তো ঘরে বসে থাকবো না। ১১ নভেম্বর থেকে রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবো। অতীতের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বাক্ষর রাখবে যুবলীগ। নেত্রী যে নির্দেশনা সমাবেশে দেবেন, তা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো আমরা।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, দীর্ঘদিন পর প্রথমবারের মতো খোলা ময়দানে যুবলীগের মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন আমাদের নেত্রী। তার নির্দেশনা শুনতে আমাদের নেতাকর্মীসহ ঢাকাবাসী ঘর ছেড়ে এই সমাবেশে উপস্থিত হবেন। জনসমুদ্রে পরিণত হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সমাবেশে ১০ লাখ লোক জমায়েতের টার্গেট করেছি আমরা। দেশের বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন সমাবেশে। সে অনুযায়ী ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
১১ নভেম্বরের সমাবেশকে ‘বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবিলার কর্মসূচি’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আগামীতে স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সেদিন বিশাল জনসমুদ্রে নির্দেশনা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী আমাদের নেতাকর্মীরা ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থান নেবেন। ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত রাজপথে নামলে যেখানেই দেখা যাবে, সেখানেই তাদের মোকাবিলা করতে হবে।