ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

১১৫ বছর বয়সী মারিয়ার গিনেস রেকর্ড

  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। বয়স বাধা হতে পারে না কোনো কিছুতেই। ১১৫ বছর বয়সী মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা সরব সোশ্যাল মিডিয়ায়। আনন্দ করছেন পরিবারের সঙ্গে। খোঁজ খবর নিচ্ছেন বন্ধুদের এবং মোটিভেশন করছেন তার অনুসারীদের। সম্প্রতি গিনেস বুক অব রেকর্ডসেও নাম উঠেছে তার।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী তিনি। কিছুদিন আগেই ফ্রান্সের ১১৮ বছর বয়সী লুসিল র্যান্ডনের মৃত্যুর পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তালিকায় মোরেরার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত নারী এবং সবচেয়ে বেশি বয়সের মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তার সম্পর্কে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে। এমনকি নিজের রেকর্ডের কথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন মারিয়া তার অনুসারীদের।
এই খবরে মারিয়ার পরিবার, বন্ধু এবং অনুসারীরাও খুশি। মেয়ের সাহায্যে টুইটারে সরব থাকেন মারিয়া। মাঝে মধ্যেই মারিয়া তার অনুসারীদের কীভাবে আনন্দ নিয়ে বাঁচা যায় সে ব্যাপারে পয়ামর্শ দিয়ে থাকেন। তার মতে, দীর্ঘায়ু প্রথমত সৌভাগ্যের এবং জেনেটিক্সের ব্যাপার। তবে শৃঙ্খলা, শান্তি, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সংযোগ, প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ, মানসিক স্থিতিশীলতা, উদ্বেগ এবং অনুশোচনা না করা, প্রচুর পজিটিভিটি এবং বিষাক্ত মানুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখা এইসব তার দীর্ঘায়ুর রহস্য।
১৯০৭ সালে ৪ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে মারিয়া মোরেরার জন্ম। ১৯৩১ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন এবং তার তিনটি সন্তান, ১১ জন নাতি-নাতনি এবং ১৩ জন পরনাতি-পরনাতনি রয়েছে। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি চলে আসেন স্পেনে এবং কাতালোনিয়াতে বসতি স্থাপন করেন। এটি একটি নার্সিং হোম। সেখানে তিনি গত ২২ বছর ধরে আছেন।
মারিয়া প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয় বিশ্বযুদ্ধ, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ এবং স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সাক্ষী। সেখান থেকে বেঁচে গিয়েছেন ভাগ্যের জোরে। এমনকি তার ১১৩ তম জন্মদিন উদযাপনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে ২০২০ সালে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তবে এবারও তিনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১১৫ বছর বয়সী মারিয়ার গিনেস রেকর্ড

আপডেট সময় : ১০:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নারী ও শিশু ডেস্ক : বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। বয়স বাধা হতে পারে না কোনো কিছুতেই। ১১৫ বছর বয়সী মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা সরব সোশ্যাল মিডিয়ায়। আনন্দ করছেন পরিবারের সঙ্গে। খোঁজ খবর নিচ্ছেন বন্ধুদের এবং মোটিভেশন করছেন তার অনুসারীদের। সম্প্রতি গিনেস বুক অব রেকর্ডসেও নাম উঠেছে তার।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী তিনি। কিছুদিন আগেই ফ্রান্সের ১১৮ বছর বয়সী লুসিল র্যান্ডনের মৃত্যুর পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তালিকায় মোরেরার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত নারী এবং সবচেয়ে বেশি বয়সের মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তার সম্পর্কে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে। এমনকি নিজের রেকর্ডের কথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন মারিয়া তার অনুসারীদের।
এই খবরে মারিয়ার পরিবার, বন্ধু এবং অনুসারীরাও খুশি। মেয়ের সাহায্যে টুইটারে সরব থাকেন মারিয়া। মাঝে মধ্যেই মারিয়া তার অনুসারীদের কীভাবে আনন্দ নিয়ে বাঁচা যায় সে ব্যাপারে পয়ামর্শ দিয়ে থাকেন। তার মতে, দীর্ঘায়ু প্রথমত সৌভাগ্যের এবং জেনেটিক্সের ব্যাপার। তবে শৃঙ্খলা, শান্তি, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সংযোগ, প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ, মানসিক স্থিতিশীলতা, উদ্বেগ এবং অনুশোচনা না করা, প্রচুর পজিটিভিটি এবং বিষাক্ত মানুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখা এইসব তার দীর্ঘায়ুর রহস্য।
১৯০৭ সালে ৪ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে মারিয়া মোরেরার জন্ম। ১৯৩১ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন এবং তার তিনটি সন্তান, ১১ জন নাতি-নাতনি এবং ১৩ জন পরনাতি-পরনাতনি রয়েছে। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি চলে আসেন স্পেনে এবং কাতালোনিয়াতে বসতি স্থাপন করেন। এটি একটি নার্সিং হোম। সেখানে তিনি গত ২২ বছর ধরে আছেন।
মারিয়া প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয় বিশ্বযুদ্ধ, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ এবং স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সাক্ষী। সেখান থেকে বেঁচে গিয়েছেন ভাগ্যের জোরে। এমনকি তার ১১৩ তম জন্মদিন উদযাপনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে ২০২০ সালে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তবে এবারও তিনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস