ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

১১৪ বছর বয়সেও সচল, দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য প্রকাশ

  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: জাপানের মানুষেরা সাধারণত দীর্ঘায়ু হন। সেই সমস্ত দীর্ঘায়ু মানুষের এক অনন্য প্রতিনিধি শিগেকো। জাপানে সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচার রেকর্ড ছিল মিয়োকো হিরোয়াসুর। তার প্রয়াণের পর থেকেই শিগোকোই হয়ে যান সেদেশের সবচেয়ে বেশি আয়ুসম্পন্ন মানুষ।

জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ শিগেকো কাগাওয়ার বয়স ১১৪ বছর। এই বয়সেও চলছে তার সক্রিয় জীবনধারা। তার প্রজ্ঞা ও দৈনন্দিন অভ্যাস অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। শতবর্ষী এই নারী শুধু বয়সে প্রবীণ নন, তার শারীরিক ও মানসিক সচলতাও প্রশ্ন জাগায়। ২০২১ সালে তিনি অলিম্পিক মশাল দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন। কী সেই গোপন সূত্র, যা তাকে এত দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন দিয়েছে? দীর্ঘায়ুর রহস্য জানতে চাইলে সাবেক এই প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জানালেন—সক্রিয় ও স্বাধীন জীবনযাপনই তার শক্তি।

৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শিগেকো। তখন পরিবহন সুবিধা সীমিত ছিল, তাই পায়ে হেঁটেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেন। তিনি বলেন, আমি যখন চিকিৎসক ছিলাম, তখন তো এত গাড়ি-টাড়ি ছিল না, হেঁটেই এখান থেকে ওখান যেতে হত। আর এই কারণেই হয়ত এত শক্তিশালী ও সুস্থ থাকতে পেরেছি। আমার এনার্জি আমার সবচেয়ে বড় অ্যাসেট। আমি যেখানে খুশি যেতাম, যা খুশি খেয়েছি, যা খুশি করেছি, স্বাধীন থেকেছি আগাগোড়া। তবে এলোমেলোভাবে নয়, বরং নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবন কাটিয়েছেন তিনি। তার জীবনযাপনের একটা রুটিন ছিল। দিনে তিনবার নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাবার খেয়েছেন। ঠিক সময়ে শুতে গিয়েছেন, উঠেও পড়েছেন ঘড়ি ধরে। ফলে যা খুশি করে বেড়ালেও এক ছন্দবদ্ধ জীবন ছিল তার। আর সেই কারণেই হয়ত তিনি দীর্ঘায়ু হতে পেরেছেন- এমনটাই ভাবা যেতে পারে। শিগোকো কাগাওয়ার আগে জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন হিরোয়াসু। তিনিও জানিয়েছিলেন, স্বতঃস্ফূর্ত জীবনযাপন করে যাওয়াটাই তাকে দীর্ঘ জীবন দিয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত তিনিও কাগজ পড়েছেন, ছবি এঁকেছেন, তাস খেলেছেন। অর্থাৎ জীবনকে বেছে নিয়েছেন প্রাণভরে। আর এইভাবে বেঁচে থাকাটাই হয়ত দীর্ঘ জীবন দিয়েছে তাকে। যেমন দিয়েছে শিগোকোকেও।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১১৪ বছর বয়সেও সচল, দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য প্রকাশ

আপডেট সময় : ০৭:১৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: জাপানের মানুষেরা সাধারণত দীর্ঘায়ু হন। সেই সমস্ত দীর্ঘায়ু মানুষের এক অনন্য প্রতিনিধি শিগেকো। জাপানে সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচার রেকর্ড ছিল মিয়োকো হিরোয়াসুর। তার প্রয়াণের পর থেকেই শিগোকোই হয়ে যান সেদেশের সবচেয়ে বেশি আয়ুসম্পন্ন মানুষ।

জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ শিগেকো কাগাওয়ার বয়স ১১৪ বছর। এই বয়সেও চলছে তার সক্রিয় জীবনধারা। তার প্রজ্ঞা ও দৈনন্দিন অভ্যাস অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। শতবর্ষী এই নারী শুধু বয়সে প্রবীণ নন, তার শারীরিক ও মানসিক সচলতাও প্রশ্ন জাগায়। ২০২১ সালে তিনি অলিম্পিক মশাল দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন। কী সেই গোপন সূত্র, যা তাকে এত দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন দিয়েছে? দীর্ঘায়ুর রহস্য জানতে চাইলে সাবেক এই প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জানালেন—সক্রিয় ও স্বাধীন জীবনযাপনই তার শক্তি।

৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শিগেকো। তখন পরিবহন সুবিধা সীমিত ছিল, তাই পায়ে হেঁটেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেন। তিনি বলেন, আমি যখন চিকিৎসক ছিলাম, তখন তো এত গাড়ি-টাড়ি ছিল না, হেঁটেই এখান থেকে ওখান যেতে হত। আর এই কারণেই হয়ত এত শক্তিশালী ও সুস্থ থাকতে পেরেছি। আমার এনার্জি আমার সবচেয়ে বড় অ্যাসেট। আমি যেখানে খুশি যেতাম, যা খুশি খেয়েছি, যা খুশি করেছি, স্বাধীন থেকেছি আগাগোড়া। তবে এলোমেলোভাবে নয়, বরং নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবন কাটিয়েছেন তিনি। তার জীবনযাপনের একটা রুটিন ছিল। দিনে তিনবার নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাবার খেয়েছেন। ঠিক সময়ে শুতে গিয়েছেন, উঠেও পড়েছেন ঘড়ি ধরে। ফলে যা খুশি করে বেড়ালেও এক ছন্দবদ্ধ জীবন ছিল তার। আর সেই কারণেই হয়ত তিনি দীর্ঘায়ু হতে পেরেছেন- এমনটাই ভাবা যেতে পারে। শিগোকো কাগাওয়ার আগে জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন হিরোয়াসু। তিনিও জানিয়েছিলেন, স্বতঃস্ফূর্ত জীবনযাপন করে যাওয়াটাই তাকে দীর্ঘ জীবন দিয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত তিনিও কাগজ পড়েছেন, ছবি এঁকেছেন, তাস খেলেছেন। অর্থাৎ জীবনকে বেছে নিয়েছেন প্রাণভরে। আর এইভাবে বেঁচে থাকাটাই হয়ত দীর্ঘ জীবন দিয়েছে তাকে। যেমন দিয়েছে শিগোকোকেও।