নিজস্ব প্রতিবেদক :সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১১১ বারেও দেওয়া হয়নি। আদালত ১৮ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাকা-ের পর গত সাড়ে ১২ বছরে সিএমএম আদালত ১১১ বার তারিখ ধার্য করেন। এ মামলায় প্রথমে তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলানগর থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। ওই বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তদন্তভার পান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর রবিউল আলম।
দুই মাসের মতো ডিবি তদন্তের পর হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ২০ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার পায় র্যাব। মামলায় র্যাবের প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন র্যাব হেডকোয়ার্টারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাফর উল্লাহ। তিনি প্রায় দুই বছর এ মামলার তদন্ত করেন। এরপর র্যাবের আরও ৫ জন তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলা তদন্ত করেন। সর্বশেষ র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ভুইয়া ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। কিন্তু গত এক যুগে র্যাব এ মামলার কোনো সুরাহা করতে না পারায় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর র্যাব থেকে সরিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে তার মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন ঘটনাস্থলে এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করার কথা বলেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।
উল্লেখ্য, মামলাটিতে নিহত রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ গ্রেপ্তার হন। যাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র পাল জামিনে রয়েছেন।
১১১ বারেও দেওয়া হলো না সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
জনপ্রিয় সংবাদ