নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালায় একটি বাসায় জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান জোন। অভিযানে মূলহোতাসহ চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা ১০ বছর ধরে জাল টাকা তৈরি করে আসছিল।
গতকাল সোমবার দুপুরে ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান। অভিযানের বিষয়ে ডিসি মশিউর রহমান বলেন, নুরেরচালার এই বাসায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরি চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রটি ১০ বছর ধরে জাল টাকা তৈরি করে আসছিল। চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার একই কাজে জড়াতো। চক্রটির মূলহোতা আব্দুর রহিম ও তার স্ত্রী। তারা দীর্ঘদিন ধরে জালটাকা তৈরি করে আসছিল। এছাড়া অভিযানে চক্রটির আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জাল টাকার ডিলার। দুজনে জালটাকা তৈরির কারিগর আব্দুর রহিমের কাছ থেকে কিনে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করে। মশিউর রহমান আরও বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে ছাড়ার জন্য চক্রটি বিপুল জাল টাকা তৈরি করেছিল। অভিযানে প্রায় ৪৩ লাখ জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া কয়েক কোটি জাল টাকা তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, চক্রটি প্রতি এক লাখ টাকা তৈরিতে খরচ করতো ৪-৫ হাজার টাকা। প্রথম ধাপে ডিলারদের কাছে ১৫ হাজার টাকায় প্রতি এক লাখ জাল টাকা বিক্রি করতো। চক্রটি ৪-৫ ধাপে কাজ করতো। এই ধাপ পার হওয়ার পরেই সাধারণ মানুষের কাছে চলে যেতো এই সকল নকল টাকা।
১০ বছর ধরে জাল টাকা তৈরি করতো চত্রুটি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ