প্রযুক্তি ডেস্ক: ১০ বছরে প্রথমবারের মতো বহুরঙা আইকনিক ‘জি’ লোগোটি আপডেট করেছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল। এমন পদক্ষেপকে কোম্পানিটির বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন অনেকে।
আগামী কয়েক দিনে কোটি কোটি মানুষ গুগলের আইকনে বদল দেখতে শুরু করবেন। কারণ, এ আপডেটটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও অন্যান্য ডিভাইস জুড়ে গুগল ধীরে ধীরে চালু করছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
নতুন ডিজাইনে গুগলের চার রঙের ‘জি’ লোগোটির লাল, হলুদ, সবুজ ও নীল রঙের সলিড বিভিন্ন ব্লককে বাদ দিয়ে সেগুলোর মধ্যে রংধনুর মতো মসৃণ গ্রেডিয়েন্ট যোগ করেছে কোম্পানিটি, যেখানে এক রং থেকে অন্য রঙে লিনিয়ার ট্রানজিশন হবে।
রোববার (১১ মে) নতুন লোগোটা প্রথম দেখা গিয়েছে আইফোনের গুগল সার্চ অ্যাপে। তারপর সোমবার গুগল অ্যাপের নতুন বেটা ভার্সনের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও এসেছে আপডেটটি। শেষ পর্যন্ত এ নতুন লোগোটি সব ডিভাইসেই আনবে গুগল। ইন্টারনেট ব্রাউজারের ট্যাবেও এটি নতুন ফেভিকন বা ছোট আইকন হিসেবে দেখা যাবে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচশ কোটি মানুষ গুগল ব্যবহার করেন। তাই এ লোগোটি বিশ্বের অন্যতম পরিচিত চিহ্ন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
গুগলের লোগোতে শেষ বড় পরিবর্তন এসেছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ওই সময় আগের সেরিফ ফন্ট বাদ দিয়ে আধুনিক ‘প্রডাক্ট সঁ’ ফন্টের ব্যবহার শুরু করে কোম্পানিটি। সেই আপডেটেই প্রথমবারের মতো বর্তমান গোল আকৃতির বড় হাতের ‘জি’ আইকনটি নিয়ে আসে গুগল, যা আগে ছিল ছোট হাতের ‘জি’ সঙ্গে একটি নীল ব্যাকগ্রাউন্ড। ওই সময় গুগল বলেছিল, লোগো পুনরায় ডিজাইন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটি বিশ্ব তৈরি করা, যেখানে অসংখ্য ডিভাইস ও বিভিন্ন ধরনের ইনপুট যেমন ট্যাপ, টাইপ ও কথা বলার মাধ্যমে নির্বিঘ্নে কম্পিউটিং সম্ভব।
সর্বশেষ ডিজাইনটি গুগলের পরিচিত লোগোটিকে তাদের নিজস্ব এআই চ্যাটবট জেমিনাইয়ের গ্রেডিয়েন্ট রঙের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে। গুগল তার সবচেয়ে পরিচিত লোগোটিকে সামঞ্জস্য করেছে নিজেদের এআই চ্যাটবট জেমিনাইয়ের জন্য ব্যবহৃত গ্রেডিয়েন্ট রংটি যোগ করে।
গত কয়েক বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছে সার্চ জায়ান্ট গুগল এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে যেন পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য নিজেদের সব বড় প্ল্যাটফর্মেও এই প্রযুক্তি যোগ করেছে কোম্পানিটি। এ বছরের শুরুর দিকে এআইভিত্তিক সার্চ টুল পরীক্ষা শুরু করেছে গুগল, যা সার্চ বিভিন্ন ফলাফলকে জেমিনাইয়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাটজিপিটির মতো কথোপকথনের মাধ্যমে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করে।