ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

১০০ দূষিত শহরের ৪৬টি ভারতের, বাংলাদেশের ৪টি

  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি প্রতি বছরই ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। গত সপ্তাহে দিল্লির দুই কোটি মানুষের ওপর বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। ফলে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর একটি তালিকা সামনে এসেছে। ওই তালিকায় বিশ্বের ১০০ দূষিত শহরের মধ্যে তিন দেশেই রয়েছে ৯৪টি। এরমধ্যে আবার ৪৬টিই ভারতের। তাছাড়া চীনে রয়েছে ৪২টি, পাকিস্তানে ৬টি, বাংলাদেশে ৪টি, ইন্দোনেশিয়ায় ও থাইল্যান্ডে একটি করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে যে, এই শহরগুলোতে বাতাসে ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫-এর মাত্রা ৫০-এর বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ৯টিই ভারতের। পশ্চিম চীনের জিনজিয়াংয়ের হোতান এলাকায় বাতাসের গুণগত মান সবচেয়ে খারাপ ছিল ২০২০ সালে। বাতাস কতটা দূষিত তা মূলত পরিমাপ করা হয় পিএম২.৫, পিএম১০, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা দ্বারা। এসব ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ বাতাসে যত বেশি হবে দূষণের মাত্রা তত বাড়বে। পিএম গঠিত হয় ক্ষুদ্র কণার দ্বারা যা স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাতাসের ক্ষতিকর কণা বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর আকার হলো পিএম২.৫ ও পিএম১০। পিএম২.৫-এর মাত্রা ১২ এর নিচে হলে মানুষের জন্য ভালো। তবে এর মাত্রা বা পরিমাণ ৫৫ থেকে ১৫০ হলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই মাত্রা যদি ২৫০ অথবা তার বেশি হয় তবে তা মানুষের জন্য বিপজ্জনক। দিল্লির বাতাসে ২.৫-এর যে মাত্রা তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রার থেকে ৩৪ গুণ বেশি। যা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। দিল্লিতে শীতকালে বিষাক্ত ধোঁয়া সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছায় যখন কৃষকরা শস্য কাটার পর তার অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দেয়।
ল্যানসেটের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে বায়ুদূষণের কারণে প্রায় ১৭ লাখের মতো মানুষ মারা গেছেন। বিশ্বের ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ১৫টি ভারতে অবস্থিত। আর এগুলো ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় শহর। খড় পোড়ানোর ফলে এ অঞ্চলে শরৎ ও শীতকালে দূষণ বাড়ে। তাছাড়া যানবাহনের নির্গমন, শিল্প ও আবর্জনা পোড়ানোর ফলে বাতাসের ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫ মাত্রা বাড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর বায়ুদূষণের ফলে ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। যেসব এলাকায় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেশি সেখানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ বসবাস করে। বায়ুদূষণ হাঁপানি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ বেশ কয়েকটি অসুস্থতার জন্য দায়ী।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

১০০ দূষিত শহরের ৪৬টি ভারতের, বাংলাদেশের ৪টি

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি প্রতি বছরই ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। গত সপ্তাহে দিল্লির দুই কোটি মানুষের ওপর বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। ফলে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর একটি তালিকা সামনে এসেছে। ওই তালিকায় বিশ্বের ১০০ দূষিত শহরের মধ্যে তিন দেশেই রয়েছে ৯৪টি। এরমধ্যে আবার ৪৬টিই ভারতের। তাছাড়া চীনে রয়েছে ৪২টি, পাকিস্তানে ৬টি, বাংলাদেশে ৪টি, ইন্দোনেশিয়ায় ও থাইল্যান্ডে একটি করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে যে, এই শহরগুলোতে বাতাসে ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫-এর মাত্রা ৫০-এর বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ৯টিই ভারতের। পশ্চিম চীনের জিনজিয়াংয়ের হোতান এলাকায় বাতাসের গুণগত মান সবচেয়ে খারাপ ছিল ২০২০ সালে। বাতাস কতটা দূষিত তা মূলত পরিমাপ করা হয় পিএম২.৫, পিএম১০, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা দ্বারা। এসব ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ বাতাসে যত বেশি হবে দূষণের মাত্রা তত বাড়বে। পিএম গঠিত হয় ক্ষুদ্র কণার দ্বারা যা স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাতাসের ক্ষতিকর কণা বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর আকার হলো পিএম২.৫ ও পিএম১০। পিএম২.৫-এর মাত্রা ১২ এর নিচে হলে মানুষের জন্য ভালো। তবে এর মাত্রা বা পরিমাণ ৫৫ থেকে ১৫০ হলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই মাত্রা যদি ২৫০ অথবা তার বেশি হয় তবে তা মানুষের জন্য বিপজ্জনক। দিল্লির বাতাসে ২.৫-এর যে মাত্রা তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্য মাত্রার থেকে ৩৪ গুণ বেশি। যা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। দিল্লিতে শীতকালে বিষাক্ত ধোঁয়া সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছায় যখন কৃষকরা শস্য কাটার পর তার অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দেয়।
ল্যানসেটের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে বায়ুদূষণের কারণে প্রায় ১৭ লাখের মতো মানুষ মারা গেছেন। বিশ্বের ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ১৫টি ভারতে অবস্থিত। আর এগুলো ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় শহর। খড় পোড়ানোর ফলে এ অঞ্চলে শরৎ ও শীতকালে দূষণ বাড়ে। তাছাড়া যানবাহনের নির্গমন, শিল্প ও আবর্জনা পোড়ানোর ফলে বাতাসের ক্ষতিকর কণা পিএম২.৫ মাত্রা বাড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর বায়ুদূষণের ফলে ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। যেসব এলাকায় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেশি সেখানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ বসবাস করে। বায়ুদূষণ হাঁপানি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ বেশ কয়েকটি অসুস্থতার জন্য দায়ী।