ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

হ্যাটট্রিকসহ নোমানের ৬ উইকেট, মুলতানে প্রথম দিনে পড়ল ২০ উইকেট

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: প্রথম টেস্টের মতো এবারও উইকেট স্পিন সহায়ক হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গিয়েছিল আগেই। কিন্তু এতটা ব্যাটিং দুরূহ! স্পিনারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল দুই দলের ব্যাটিং লাইন আপ। তাতে শুরুর দিনেই শেষ হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৩ রান গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি তারাও। স্বাগতিকদের ১৫৪ রানে গুঁড়িয়ে ৯ রানের লিড নেয় সফরকারীরা।

প্রথমে ব্যাটিং করে দুইশর আগে অলআউট হওয়ার পরও নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এনিয়ে চতুর্থবার প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবশেষটি ২৭ বছর আগে, ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন পড়া ২০ উইকেটও একটি রেকর্ড। এশিয়ার কোনো দেশে এর আগে কখনও টেস্টের প্রথম দিনে এত উইকেট পড়েনি। ১৯৮৭ সালে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিল্লি টেস্টের প্রথম দিনে ১৮ উইকেট এতদিন ছিল সর্বোচ্চ।

ম্যাচের প্রথমভাগে আলো ছড়ান নোমান। পাকিস্তানের প্রথম স্পিনার হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড গড়েন ৩৮ বছর বয়সী বাঁহাতি এই স্পিনার। সবমিলিয়ে, টেস্টে তিন বলে তিন উইকেট নেওয়া পাকিস্তানের পঞ্চম বোলার তিনি। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং ধসিয়ে দেওয়ার পথে এদিন ৪১ রানে ৬ উইকেট নেন নোমান। টেস্টে এনিয়ে অষ্টমবার ইনিংসে পাঁচ শিকার ধরলেন তিনি। টানা ৫ টেস্টে দেখালেন ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব। পরে ক্যারিবিয়ান তিন বোলার মিলে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের সেরা বোলার বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যান। আরেক বাঁহাতি স্পিনার গুডাকেশ মোটি ধরেন ৩ শিকার।

আর পেসার কেমার রোচের প্রাপ্তি দুটি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরু থেকেই চাপে রাখে পাকিস্তান। ম্যাচের দ্বিতীয় আর টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান কাশিফ আলি। অভিষিক্ত পেসার ফিরিয়ে দেন মিকাইল লুইকে। পরের ওভারে অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ করেন সাজিদ। ম্যাচের অষ্টম ওভারে আক্রমণে আসা নোমান শিকার ধরতে বেশি সময় নেননি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে বিদায় করেন তিনি। পরের ওভারে আলিক আথানেজকে শূন্যতে ফেরান সাজিদ। নোমানের হ্যাটট্রিক আসে তার তৃতীয় ওভারের প্রথম দিন বলেই। বাড়তি বাউন্স ও টার্নে গালিতে ক্যাচ দেন এক রান করা জাস্টিন গ্রেভস। পরের ডেলিভারিতে ঝুলিয়ে দেওয়া বলে সুইপের চেষ্টায় ব্যাটে-বলে করতে পারেননি টেভিন ইমলাখ। নোমানের জোরাল আবেদনে বেশ খানিকটা সময়ের পর আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার পল রাইফেল।

এরপর হ্যাটট্রিকের উচ্ছ্বাস। তার জোরের ওপর করা ডেলিভারিতে গালিতে ধরা পড়েন কেভিন সিনক্লেয়ার। ৩৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তখন কাঁপছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিছুক্ষণ পর ২১ রান করা ক্যাভাম হজ বিদায় নেন আবরার আহমেদকে সুইপ করে। ৫৪ রানে ৮ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানদের তখন একশ হওয়া নিয়েই শঙ্কা। সেখানে থেকে দলকে টানেন মোটি, রোচ ও ওয়ারিক্যান। এই তিনজনের সৌজন্যে দেড়শ পার করে তারা। ২৫ রান করা রোচকে বিদায় করে ৪১ রানের জুটি ভাঙার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নোমান। ইনিংসের সবচেয়ে বড় ৬৮ রানের যুগলবন্দী গড়েন মোটি ও ওয়ারিক্যান। ৫৫ রান করা মোটিকে বোল্ড করে প্রতিপক্ষের ইনিংসের ইতি টেনে দেন নোমান। সফরকারীদের অল্পতে আটকে দেওয়ার স্বস্তি দ্রুতই উবে যায় পাকিস্তানের।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলটির ইনিংসে একটি ফিফটিও আসেনি। পরপর তিন ওভারে টপ অর্ডারের তিনজনকে হারায় পাকিস্তান। ইনিংসের ষষ্ঠ ও অষ্টম ওভারে মুহাম্মাদ হুরাইরা ও শান মাসুদকে বিদায় করেন রোচ। মাঝের ওভারে তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজমের স্টাম্প ভেঙে দেন মোটি। কয়েক ওভার পর এই স্পিনারের শিকার কামরান গুলাম। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় সাউদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে। এই দুইজনের ৬৮ রানের জুটিতে একশ পার করে স্বাগতিকরা। ৩২ রান করা শাকিলকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন ওয়ারিক্যান। কয়েক ওভার পর এই স্পিনারকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলে স্টাম্পড হন ৮ চারে ৪৯ রান রিজওয়ান। ২৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪১.১ ওভারে ১৬৩ (ব্র্যাথওয়েট ৯, লুই ৪, জাঙ্গু ০, হজ ২০, আথানেজ ০, গ্রিভস ১, ইমলাখ ০, সিনক্লেয়ার ০, মোটি ৫৫, রোচ ২৫, ওয়ারিক্যান ৩৬*; সাজিদ ১৪-১-৬৪-২, কাশিফ ৪-০-১৬-১, নোমান ১৫.১-৩-৪১-৬, আবরার ৬-১-২৪-১, সালমান ২-০-১০-০)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৭ ওভারে ১৫৪ (মাসুদ ১৫, হুরাইরা ৯, বাবর ১, কামরান ১৬, শাকিল ৩২, রিজওয়ান ৪৯, সালমান ৯, নোমান ০, সাজিদ ১৬, আবরার ২, কাশিফ ০; মোটি ১৩-০-৪৯-৩, রোচ ৬-১-১৫-২, ওয়ারিক্যান ১৭-৪-৪৩-৪, সিনক্লেয়ার ১০-১-৪২-০, ব্র্যাথওয়েট ১-০-১-০)

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হ্যাটট্রিকসহ নোমানের ৬ উইকেট, মুলতানে প্রথম দিনে পড়ল ২০ উইকেট

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: প্রথম টেস্টের মতো এবারও উইকেট স্পিন সহায়ক হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গিয়েছিল আগেই। কিন্তু এতটা ব্যাটিং দুরূহ! স্পিনারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল দুই দলের ব্যাটিং লাইন আপ। তাতে শুরুর দিনেই শেষ হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৩ রান গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি তারাও। স্বাগতিকদের ১৫৪ রানে গুঁড়িয়ে ৯ রানের লিড নেয় সফরকারীরা।

প্রথমে ব্যাটিং করে দুইশর আগে অলআউট হওয়ার পরও নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এনিয়ে চতুর্থবার প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবশেষটি ২৭ বছর আগে, ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন পড়া ২০ উইকেটও একটি রেকর্ড। এশিয়ার কোনো দেশে এর আগে কখনও টেস্টের প্রথম দিনে এত উইকেট পড়েনি। ১৯৮৭ সালে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিল্লি টেস্টের প্রথম দিনে ১৮ উইকেট এতদিন ছিল সর্বোচ্চ।

ম্যাচের প্রথমভাগে আলো ছড়ান নোমান। পাকিস্তানের প্রথম স্পিনার হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড গড়েন ৩৮ বছর বয়সী বাঁহাতি এই স্পিনার। সবমিলিয়ে, টেস্টে তিন বলে তিন উইকেট নেওয়া পাকিস্তানের পঞ্চম বোলার তিনি। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং ধসিয়ে দেওয়ার পথে এদিন ৪১ রানে ৬ উইকেট নেন নোমান। টেস্টে এনিয়ে অষ্টমবার ইনিংসে পাঁচ শিকার ধরলেন তিনি। টানা ৫ টেস্টে দেখালেন ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব। পরে ক্যারিবিয়ান তিন বোলার মিলে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের সেরা বোলার বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যান। আরেক বাঁহাতি স্পিনার গুডাকেশ মোটি ধরেন ৩ শিকার।

আর পেসার কেমার রোচের প্রাপ্তি দুটি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরু থেকেই চাপে রাখে পাকিস্তান। ম্যাচের দ্বিতীয় আর টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান কাশিফ আলি। অভিষিক্ত পেসার ফিরিয়ে দেন মিকাইল লুইকে। পরের ওভারে অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ করেন সাজিদ। ম্যাচের অষ্টম ওভারে আক্রমণে আসা নোমান শিকার ধরতে বেশি সময় নেননি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে বিদায় করেন তিনি। পরের ওভারে আলিক আথানেজকে শূন্যতে ফেরান সাজিদ। নোমানের হ্যাটট্রিক আসে তার তৃতীয় ওভারের প্রথম দিন বলেই। বাড়তি বাউন্স ও টার্নে গালিতে ক্যাচ দেন এক রান করা জাস্টিন গ্রেভস। পরের ডেলিভারিতে ঝুলিয়ে দেওয়া বলে সুইপের চেষ্টায় ব্যাটে-বলে করতে পারেননি টেভিন ইমলাখ। নোমানের জোরাল আবেদনে বেশ খানিকটা সময়ের পর আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার পল রাইফেল।

এরপর হ্যাটট্রিকের উচ্ছ্বাস। তার জোরের ওপর করা ডেলিভারিতে গালিতে ধরা পড়েন কেভিন সিনক্লেয়ার। ৩৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তখন কাঁপছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিছুক্ষণ পর ২১ রান করা ক্যাভাম হজ বিদায় নেন আবরার আহমেদকে সুইপ করে। ৫৪ রানে ৮ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানদের তখন একশ হওয়া নিয়েই শঙ্কা। সেখানে থেকে দলকে টানেন মোটি, রোচ ও ওয়ারিক্যান। এই তিনজনের সৌজন্যে দেড়শ পার করে তারা। ২৫ রান করা রোচকে বিদায় করে ৪১ রানের জুটি ভাঙার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নোমান। ইনিংসের সবচেয়ে বড় ৬৮ রানের যুগলবন্দী গড়েন মোটি ও ওয়ারিক্যান। ৫৫ রান করা মোটিকে বোল্ড করে প্রতিপক্ষের ইনিংসের ইতি টেনে দেন নোমান। সফরকারীদের অল্পতে আটকে দেওয়ার স্বস্তি দ্রুতই উবে যায় পাকিস্তানের।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলটির ইনিংসে একটি ফিফটিও আসেনি। পরপর তিন ওভারে টপ অর্ডারের তিনজনকে হারায় পাকিস্তান। ইনিংসের ষষ্ঠ ও অষ্টম ওভারে মুহাম্মাদ হুরাইরা ও শান মাসুদকে বিদায় করেন রোচ। মাঝের ওভারে তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজমের স্টাম্প ভেঙে দেন মোটি। কয়েক ওভার পর এই স্পিনারের শিকার কামরান গুলাম। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় সাউদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে। এই দুইজনের ৬৮ রানের জুটিতে একশ পার করে স্বাগতিকরা। ৩২ রান করা শাকিলকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন ওয়ারিক্যান। কয়েক ওভার পর এই স্পিনারকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলে স্টাম্পড হন ৮ চারে ৪৯ রান রিজওয়ান। ২৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪১.১ ওভারে ১৬৩ (ব্র্যাথওয়েট ৯, লুই ৪, জাঙ্গু ০, হজ ২০, আথানেজ ০, গ্রিভস ১, ইমলাখ ০, সিনক্লেয়ার ০, মোটি ৫৫, রোচ ২৫, ওয়ারিক্যান ৩৬*; সাজিদ ১৪-১-৬৪-২, কাশিফ ৪-০-১৬-১, নোমান ১৫.১-৩-৪১-৬, আবরার ৬-১-২৪-১, সালমান ২-০-১০-০)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৭ ওভারে ১৫৪ (মাসুদ ১৫, হুরাইরা ৯, বাবর ১, কামরান ১৬, শাকিল ৩২, রিজওয়ান ৪৯, সালমান ৯, নোমান ০, সাজিদ ১৬, আবরার ২, কাশিফ ০; মোটি ১৩-০-৪৯-৩, রোচ ৬-১-১৫-২, ওয়ারিক্যান ১৭-৪-৪৩-৪, সিনক্লেয়ার ১০-১-৪২-০, ব্র্যাথওয়েট ১-০-১-০)