ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

হ্যাকিং ঠেকাতে ২ কোটি ডলারের চ্যালেঞ্জ হোয়াইট হাউজের

  • আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : হ্যাকিংয়ে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। এ অবস্থায় এআই প্রযুক্তিকে সমর্থন, মার্কিন সরকারের সাইবার অবাকাঠামোর দুর্বলতা শনাক্ত এবং সেগুলো সংশোধনের জন্য এক প্রতিযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ যার পুরস্কার দুই কোটি ডলার।
“সাইবার সিকিউরিটি হচ্ছে আক্রমণ বনাম প্রতিরক্ষার এক লড়াই” বলেছেন মার্কিন সরকারের সাইবার এবং উদীয়নমান প্রযুক্তি বিষয়ক উপ নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যান নিউবার্গার। “আমরা জানি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো খুঁজে বের করতে এবং ক্ষতিকর সফটওয়্যার বানাতে হ্যাকাররা এরইমধ্যে এআই কাজে লাগাতে শুরু করেছে,” রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন তিনি। স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে, উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থাসহ অসংখ্য মার্কিন প্রতিষ্ঠান সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এই ধরনের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বিশেষত বিদেশী শত্রুদের কাছ থেকে। নিউবার্গরের মন্তব্য মিলে যায় কানাডার সাইবার সিকিউরিটি প্রধান স্যামি খুরির গত মাসের বক্তব্যের সঙ্গে। ভুয়া তথ্য ছড়াতে ফিশিং ইমেইল থেকে শুরু করে ক্ষতিকর কম্পিউটার কোড লেখাসহ সর্বোপরি এআইয়ের ব্যবহার তার সংস্থা শনাক্ত করেছে বলে তখন বলেছিলেন তিনি। দুই কোটি ডলার পুরস্কারের প্রতিযোগিতাটির মেয়াদ হবে দুই বছর, যেটি পরিচালনা করবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডারপা)। এআই বিপ্লবে সামনের সারির মার্কিন কোম্পানিগুলো এ প্রতিযোগিতার জন্য তাদের প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহার করতে দেবে। এ তালিকায় হোয়াইট হাউজ অ্যালফবেটের গুগল, অ্যানথ্রোপিক, মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআইয়ের নাম উল্লেখ করেছে। যেসব উদীয়মান ঝুঁকি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা হিমশিম খাচ্ছেন, এ প্রতিযোগিতা সেসব মোকাবেলায় সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা বলেই ইঙ্গিত মিলছে। গত বছর মার্কিন কোম্পানিগুলো চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এ প্রযুক্তির সহায়তায় তবে ঠিক আসলের মতো দেখতে ও বিশ্বাসযোগ্য ভিডিও, ছবি, লেখা এবং কম্পিউটার কোড তৈরি করা যাচ্ছে। সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে চীনা কোম্পানিগুলোও অনুরূপ মডেল নিয়ে হাজির হচ্ছে। এইসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই খুবই বড় আকারের হ্যাকিং আক্রমণ কিংবা সোশাল মিডিয়ায় ফেইক অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব এবং মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো সম্ভব। “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ডারপা’র মাধ্যমে একটি বড় সাইবার যোদ্ধা দলের তৈরি, তাদের এআই মডেল ব্যবহারের মাধ্যমে সাইবার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করা এবং জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের গতি বাড়িয়ে এআই সংকট মোকাবেলা করা”-বলেছেন নিউবার্গার। ওপেনসোর্স সফটওয়্যারগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ওপেনসোর্স ফাউন্ডেশন এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সফটওয়্যার কোড নির্ধারণ করে তা যথাযথ ব্যবহারের দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সরকার।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

হ্যাকিং ঠেকাতে ২ কোটি ডলারের চ্যালেঞ্জ হোয়াইট হাউজের

আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : হ্যাকিংয়ে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। এ অবস্থায় এআই প্রযুক্তিকে সমর্থন, মার্কিন সরকারের সাইবার অবাকাঠামোর দুর্বলতা শনাক্ত এবং সেগুলো সংশোধনের জন্য এক প্রতিযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ যার পুরস্কার দুই কোটি ডলার।
“সাইবার সিকিউরিটি হচ্ছে আক্রমণ বনাম প্রতিরক্ষার এক লড়াই” বলেছেন মার্কিন সরকারের সাইবার এবং উদীয়নমান প্রযুক্তি বিষয়ক উপ নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যান নিউবার্গার। “আমরা জানি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো খুঁজে বের করতে এবং ক্ষতিকর সফটওয়্যার বানাতে হ্যাকাররা এরইমধ্যে এআই কাজে লাগাতে শুরু করেছে,” রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন তিনি। স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে, উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থাসহ অসংখ্য মার্কিন প্রতিষ্ঠান সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এই ধরনের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বিশেষত বিদেশী শত্রুদের কাছ থেকে। নিউবার্গরের মন্তব্য মিলে যায় কানাডার সাইবার সিকিউরিটি প্রধান স্যামি খুরির গত মাসের বক্তব্যের সঙ্গে। ভুয়া তথ্য ছড়াতে ফিশিং ইমেইল থেকে শুরু করে ক্ষতিকর কম্পিউটার কোড লেখাসহ সর্বোপরি এআইয়ের ব্যবহার তার সংস্থা শনাক্ত করেছে বলে তখন বলেছিলেন তিনি। দুই কোটি ডলার পুরস্কারের প্রতিযোগিতাটির মেয়াদ হবে দুই বছর, যেটি পরিচালনা করবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডারপা)। এআই বিপ্লবে সামনের সারির মার্কিন কোম্পানিগুলো এ প্রতিযোগিতার জন্য তাদের প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহার করতে দেবে। এ তালিকায় হোয়াইট হাউজ অ্যালফবেটের গুগল, অ্যানথ্রোপিক, মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআইয়ের নাম উল্লেখ করেছে। যেসব উদীয়মান ঝুঁকি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা হিমশিম খাচ্ছেন, এ প্রতিযোগিতা সেসব মোকাবেলায় সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা বলেই ইঙ্গিত মিলছে। গত বছর মার্কিন কোম্পানিগুলো চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এ প্রযুক্তির সহায়তায় তবে ঠিক আসলের মতো দেখতে ও বিশ্বাসযোগ্য ভিডিও, ছবি, লেখা এবং কম্পিউটার কোড তৈরি করা যাচ্ছে। সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে চীনা কোম্পানিগুলোও অনুরূপ মডেল নিয়ে হাজির হচ্ছে। এইসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই খুবই বড় আকারের হ্যাকিং আক্রমণ কিংবা সোশাল মিডিয়ায় ফেইক অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব এবং মিথ্যা তথ্য ছাড়ানো সম্ভব। “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ডারপা’র মাধ্যমে একটি বড় সাইবার যোদ্ধা দলের তৈরি, তাদের এআই মডেল ব্যবহারের মাধ্যমে সাইবার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করা এবং জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের গতি বাড়িয়ে এআই সংকট মোকাবেলা করা”-বলেছেন নিউবার্গার। ওপেনসোর্স সফটওয়্যারগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ওপেনসোর্স ফাউন্ডেশন এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সফটওয়্যার কোড নির্ধারণ করে তা যথাযথ ব্যবহারের দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সরকার।