ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

হোয়াটসঅ্যাপে শিশু নিপীড়নের ছবি শেয়ার থামছেই না

  • আপডেট সময় : ০১:০৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : মেসেজিং পরিষেবা হোয়াটসঅ্যাপ-এ শিশুদের যৌন নির্যাতনের ছবির বিস্তার কিছুতেই থামছে না বলে সতর্ক করেছে এক সাইবার নিরাপত্তা ওয়াচডগ। শিশু সুরক্ষার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মালিক কোম্পানি মেটাকে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন (আইডব্লিউএফ) নামের ওই সংস্থাটি।
এসব বাড়তি পদক্ষেপ শিশু নির্যাতনের মতো কন্টেন্ট শেয়ার বন্ধ করতে পারে বলে আইডব্লিউএফ-এর পরামর্শে উল্লেখ রয়েছে – প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। সংস্থাটি ইন্টারনেটে শিশু নিপীড়নসংশ্লিষ্ট কনটেন্ট শনাক্ত ও অপসারণে সাহায্য করে।
সাম্প্রতি বিবিসি’র কর্মী হুউ এডওয়ার্ডস এ ধরনের কনটেন্টের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাজেভাবে নিজের কর্মজীবন শেষ করেন বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিবিসি।
“অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সরয়াসরি হোয়াটসঅ্যাপে রিপোর্ট করার সুযোগ রয়েছে; যাতে আমরা এমন জঘন্য কনটেন্ট শেয়ার হওয়া আটকে এগুলো ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়েটেড চিলড্রেন’-এ রিপোর্ট করতে পারি।” – বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র। সংশ্লিষ্ট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অশালীন ছবি যাতে ছড়িয়ে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য মেটা “তেমন কিছুই করছে না” বলে দাবি করেছেন আইডব্লিউএফ-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড্যান সেক্সটন। “আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই, এমন ঘটনা মেটা কীভাবে থামাবে? আজকে, আগামীকাল বা তার পরের দিন একই পরিষেবায় এসব ছবি শেয়ার কীভাবে বন্ধ হবে?”
“এ সম্পর্কে আমরা জানি, তারা জানে, পুলিশও জানে, কিন্তু বর্তমানে এ প্ল্যাটফর্মে শিশু নিপীড়নের ছবি ও ভিডিও’র বিস্তার বন্ধ করতে পারে এমন কিছুই নেই।” – আরও যোগ করেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র তাদের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার পক্ষে বলেছেন যে, অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপে “তাদের মত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।” “এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, কমবয়সী ব্যবহারকারীসহ অনলাইনে সবাইকে নিরাপদ রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলোর একটি।” আরও যোগ করেন তিনি।
“আমরা জানি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি চান না তাদের ব্যক্তিগত বার্তা কেউ পড়ুক। তাই আমরা অনলাইন প্রেইভেসি বজায় রেখে অপব্যবহার প্রতিরোধ, শনাক্ত ও এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছি।”
“এসব ছবি শনাক্ত করার মতো প্রযুক্তি আছে। তবে, বেশিরভাগ কোম্পানি নিজেদের প্ল্যাটফর্ম এমনভাবে নকশা করছে, যাতে এ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করা যাচ্ছে না।” – বলেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক গোয়েন্দা বিভাগ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রিক জোনস। জোনস আরও বলেন, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সোশাল মিডিয়া অ্যাপ গ্রাহকদের রক্ষা করতে পারে না, কারণ কোম্পানিগুলো নিজেদের সিস্টেমেই কোনো অবৈধ আচরণ দেখতে পারে না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হোয়াটসঅ্যাপে শিশু নিপীড়নের ছবি শেয়ার থামছেই না

আপডেট সময় : ০১:০৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

নারী ও শিশু ডেস্ক : মেসেজিং পরিষেবা হোয়াটসঅ্যাপ-এ শিশুদের যৌন নির্যাতনের ছবির বিস্তার কিছুতেই থামছে না বলে সতর্ক করেছে এক সাইবার নিরাপত্তা ওয়াচডগ। শিশু সুরক্ষার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মালিক কোম্পানি মেটাকে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন (আইডব্লিউএফ) নামের ওই সংস্থাটি।
এসব বাড়তি পদক্ষেপ শিশু নির্যাতনের মতো কন্টেন্ট শেয়ার বন্ধ করতে পারে বলে আইডব্লিউএফ-এর পরামর্শে উল্লেখ রয়েছে – প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। সংস্থাটি ইন্টারনেটে শিশু নিপীড়নসংশ্লিষ্ট কনটেন্ট শনাক্ত ও অপসারণে সাহায্য করে।
সাম্প্রতি বিবিসি’র কর্মী হুউ এডওয়ার্ডস এ ধরনের কনটেন্টের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাজেভাবে নিজের কর্মজীবন শেষ করেন বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিবিসি।
“অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সরয়াসরি হোয়াটসঅ্যাপে রিপোর্ট করার সুযোগ রয়েছে; যাতে আমরা এমন জঘন্য কনটেন্ট শেয়ার হওয়া আটকে এগুলো ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়েটেড চিলড্রেন’-এ রিপোর্ট করতে পারি।” – বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র। সংশ্লিষ্ট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অশালীন ছবি যাতে ছড়িয়ে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য মেটা “তেমন কিছুই করছে না” বলে দাবি করেছেন আইডব্লিউএফ-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড্যান সেক্সটন। “আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই, এমন ঘটনা মেটা কীভাবে থামাবে? আজকে, আগামীকাল বা তার পরের দিন একই পরিষেবায় এসব ছবি শেয়ার কীভাবে বন্ধ হবে?”
“এ সম্পর্কে আমরা জানি, তারা জানে, পুলিশও জানে, কিন্তু বর্তমানে এ প্ল্যাটফর্মে শিশু নিপীড়নের ছবি ও ভিডিও’র বিস্তার বন্ধ করতে পারে এমন কিছুই নেই।” – আরও যোগ করেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র তাদের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার পক্ষে বলেছেন যে, অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপে “তাদের মত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।” “এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, কমবয়সী ব্যবহারকারীসহ অনলাইনে সবাইকে নিরাপদ রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলোর একটি।” আরও যোগ করেন তিনি।
“আমরা জানি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি চান না তাদের ব্যক্তিগত বার্তা কেউ পড়ুক। তাই আমরা অনলাইন প্রেইভেসি বজায় রেখে অপব্যবহার প্রতিরোধ, শনাক্ত ও এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছি।”
“এসব ছবি শনাক্ত করার মতো প্রযুক্তি আছে। তবে, বেশিরভাগ কোম্পানি নিজেদের প্ল্যাটফর্ম এমনভাবে নকশা করছে, যাতে এ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করা যাচ্ছে না।” – বলেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক গোয়েন্দা বিভাগ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রিক জোনস। জোনস আরও বলেন, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সোশাল মিডিয়া অ্যাপ গ্রাহকদের রক্ষা করতে পারে না, কারণ কোম্পানিগুলো নিজেদের সিস্টেমেই কোনো অবৈধ আচরণ দেখতে পারে না।