প্রত্যাশা ডেস্ক: কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর ‘নির্যাতনে’ নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক।
এ সময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি তৌহিদুলের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসে জিওসির দপ্তরে যান তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার, বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ, দুই ভাগনি মাহবুবা উদ্দিন এবং সানজিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার জানায়, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ওই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দেওয়া হয়।
এ ছাড়া তৌহিদুলের বিরুদ্ধে যারা সেনা ক্যাম্পে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্বজনরা।
তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ঘটনার আগে ও পরের সবকিছু খুলে বলেছি। তিনি (জিওসি) আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। বিচার পেতে সর্বোচ্চ সহায়তা করবেন।
সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট। তৌহিদুলের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে, তাদেরও বিচার হতে হবে।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম (৪০) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করতেন। তার স্ত্রী ও চার মেয়ে আছে। এ ছাড়া তৌহিদুল কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।
শুক্রবার তৌহিদুলের বাবা মোখলেছুর রহমানের কুলখানির আয়োজন করা হয়। আয়োজনের আগের দিন বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে তৌহিদুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তৌহিদুলের মৃতদেহ পান স্বজনরা।